![রাফা ছেড়েছেন প্রায় চার লাখ ফিলিস্তিনি](uploads/2024/05/16/Rafa-1715827539.jpg)
প্রায় সাড়ে চার লাখ ফিলিস্তিনি গত এক সপ্তাহে রাফা ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলি ট্যাংক গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকছে এমন খবর আসার পরপরই তারা রাফা ছাড়তে শুরু করে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘মানুষ ক্রমাগত ক্লান্তি, ক্ষুধা আর ভয়ের মধ্যে রয়েছে।’ ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাফার পূর্বাঞ্চলে ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে অভিযান’ অব্যাহত রেখেছে তারা।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় পুরো গাজাই পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ইসরায়েলি হামলার হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে এর আগে রাফায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নেয়।
গাজার উত্তরাঞ্চলেও অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েল। সে সময় তাদের অভিযানের কারণে আরও এক লাখের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। বিবিসির খবর বলছে, নতুন করে ইসরায়েলের সৈন্যরা আবারও জেইতুন ও জাবালিয়াতে ফিরেছে। সেখানে হামাস পুনরায় সংগঠিত হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েলি বাহিনী। অথচ পাঁচ মাস আগেই তারা জানিয়েছিল, সেখানে হামাসের স্থানীয় ব্যাটালিয়নকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এবারের অভিযানের আগে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের পূর্ব রাফা ও জাবালিয়া খালি করতে বলেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার হামলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ সত্ত্বেও ইসরায়েল হামলা থামায়নি। এমনকি নিজ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কথাতেও কান দেয়নি। হামলা এখনো অব্যাহত আছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৮২ জন মারা গেছে।
রাফায় অবস্থানরত ইউএনআরডব্লিউএ-এর মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘এখনো যেসব পরিবার শহরে আছে তারা ‘যত দ্রুত সম্ভব পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে’ এবং ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের দিকে সমুদ্রসৈকতে তাঁবু গাড়ছে। সূত্র: বিবিসি