ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

পটুয়াখালী জেলা নৌকা ৩, জাপার ১ প্রার্থী বিজয়ী

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৮ এএম
নৌকা ৩, জাপার ১ প্রার্থী বিজয়ী
ছবি : খবরের কাগজ

পটুয়াখালী জেলার চারটি আসনের তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এবং একটিতে জাপা মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত  হয়েছেন।

পটুয়াখালী -১ আসনে (পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও  দুমকি) ১৫৯টি ভোটকেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী জাপা মনোনীত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত  হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন তালুকদার ডাব প্রতীকে পেয়েছেন  ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট। পটুয়াখালী এক নির্বাচনি এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা হল চার লাখ ৭৩ হাজার ২৫৭ জন। 

পটুয়াখালী ২ আসনের (বাউফল) ১১৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ স ম ফিরোজ নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপা প্রার্থী মো. মহসিন হাওলাদার ২৯৫৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। পটুয়াখালী-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা হল ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৪।

পটুয়াখালী-৩ (বাউফল) নির্বাচনি এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা হল ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৮ ভোট। পটুয়াখালী ৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) নির্বাচনি এলাকার ১২৪টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম শাহজাদা নৌকা প্রতীকে ৯৪ হাজার  ৪১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আবুল হোসেন ঈগল প্রতীকে ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়েছেন। পটুয়াখালী ৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৭ ভোট। 

পটুয়াখালী ৪ আসনের (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) ১১০টি ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান মহিব নৌকা প্রতীকে ৫৬ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৪০২ ভোট। পটুয়াখালী-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৪ জন।

শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বা কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে। গত সোমবার থেকে দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। 

প্রত্যয় কর্মসূচি গত পয়লা জুলাই থেকে চালু হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৪০৩টির মতো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যয় স্কিমের আওতায় পেনশন দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এই স্কিম প্রযোজ্য হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাশার চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বেশি সহায়তা করছে। আগামীতে তারা সহায়তা অব্যাহত রাখবে। 

পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা: এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এটি প্রত্যাহারের দাবিতে যখন আন্দোলন করছেন, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ জুলাই ‘প্রত্যয়’ যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশনব্যবস্থায় আনার জন্যই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। প্রত্যয় স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশনব্যবস্থা চালু আছে। বাকি ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ)। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক পেয়ে থাকেন, পেনশন পান না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে সরকারি পেনশনে ‘আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট’ পদ্ধতির পেনশনব্যবস্থা চালু আছে। পেনশনের যাবতীয় ব্যয় বাজেট থেকে মেটানো হয়। এখন ‘ফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট’ পদ্ধতির পেনশনব্যবস্থা চালু হওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার মধ্যে যেটা কম, সেটা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে। যতটুকু কর্তন করা হবে, সেই পরিমাণ অর্থ দেবে প্রতিষ্ঠান। উভয় অর্থ সরকারি হিসাবে জমা হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট পদ্ধতির পেনশনব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বাড়ছে। এটি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ব্যবস্থা নয়। অন্যদিকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশনব্যবস্থায় কর্মীদের চাঁদা এবং বিনিয়োগের মুনাফার ভিত্তিতে একটি তহবিল গঠিত হবে। ফলে এটি দীর্ঘ মেয়াদে একটি টেকসই পেনশনব্যবস্থা। নতুন ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে এ পেনশনব্যবস্থা চালু আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত, তারা আগের মতোই পেনশন সুবিধা পাবেন। কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রোটেকশন ও পে-প্রোটেকশন প্রাপ্ত হন বলে এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে ক্ষেত্রে তাদের বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। তাদের অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয় বলে ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, কন্ট্রিবিউটরি পেনশন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য। এ ক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েক গুণ বেশি মাসিক পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে এবং একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তার নিজ আয়ের মোট জমা করা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান, সে ক্ষেত্রে তার মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ প্রাপ্তি তার জমার প্রায় সাড়ে ১২ গুণ। পেনশনে যাওয়ার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে পেনশনার পাবেন তার জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্বামী বা স্ত্রী এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশনব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। তবে পেনশনারের অবর্তমানে তার স্বামী বা স্ত্রী অথবা নমিনি পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় বাকি থাকবে, সে পর্যন্ত পেনশন পাবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাওয়ার পর ৫ বছর পেনশন পেয়ে এরপর মারা গেলেন। এ ক্ষেত্রে তার স্বামী বা স্ত্রী অথবা নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন পাবেন। বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথাও তুলে ধরা হয়।

ইউরেশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন ভারসাম্য রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনার বেইজিং সফর

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
ভারসাম্য রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনার বেইজিং সফর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল ছবি

এশিয়ার দুই ‘জায়ান্ট’ চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ইউরেশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের আলিঙ্গন থেকে বাংলাদেশকে টেনে আনতে ভারত চমকপ্রদ আক্রমণ চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক মাসের মধ্যে দুবার অতিথি করার পর নতুন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি তার প্রথম সরকারি সফরের জন্য ঢাকাকে বেছে নিয়েছেন।

এদিকে চীন বাংলাদেশে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করছে। যদি চীনা নৌবাহিনী কৌশলগত ঘাঁটিতে প্রবেশ করে, তবে ভারতের পূর্ব নৌ-কমান্ডের নৈকট্য বিবেচনা করে এটি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় হবে। ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রিত প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান। ভারত সরকার তিস্তা নদীর ব্যাপক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিশ্বের অর্ধেক বাণিজ্য হয় বঙ্গোপসাগর রুট দিয়ে। ‘মুক্ত, উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর মার্কিন নীতির জন্য এই অঞ্চলটি অপরিহার্য। চীন দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার চেয়েছে এবং মায়ানমার ও বাংলাদেশ এই অঞ্চলে প্রবেশের সুবিধা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে তার অবস্থানের তালিকায় বাংলাদেশ এবং মায়ানমারকে অন্তর্ভুক্ত করতে প্ররোচিত করেছে, যেখানে বেইজিং সম্ভবত বিদেশি সামরিক স্থাপনা স্থাপনের চেষ্টা করছে।

 

রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯ কোটি টাকা অনুদান ফ্রান্সের

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯ কোটি টাকা অনুদান ফ্রান্সের
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রায় ১৯ কোটি টাকা (১.৫ মিলিয়ন ইউরো) অনুদান দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

ফ্রান্স সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউএনএইচসিআর বলেছে, ফ্রান্সের এই সহায়তায় শরণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের প্রত্যয় বজায় রাখা যাবে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য লাকড়ির বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবস্থা করা যাবে, যার মাধ্যমে বন উজাড় ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ প্রতিরোধ করে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী বলেন, ‘ফ্রান্স রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের এক অবিচল সমর্থক। এই উদার অনুদান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবিক সাহায্য ও সুরক্ষা সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি কক্সবাজারের পরিবেশের সফল পুনর্বাসনের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী পরিস্থিতিতে থাকা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা করবে।’

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অভিবাদন জানিয়ে বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের আরও ভালো সুযোগ তৈরির জন্য কাজ করে যাব। আর আশা করব, তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য।’

পরিশোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাস

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
পরিশোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংহতকরণ, তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিধান প্রণয়নকল্পে জাতীয় সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল-২০২৪ সংসদে পাস হয়েছে। একই দিন ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস করা হয়।  

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সংসদে বিল দুটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। 

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধ দলিল’ ইস্যু, ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে যেকোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয়, এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা যাবে না। এসব বিধান অমান্য করলে সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। 

এছাড়া কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। একইভাবে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেয়া ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘনের সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য হবে। 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিদ্যমান কোনো আইন নাই। বর্তমান ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার-১৯৭২’- এর আর্টিক্যাল ৭এ(ই) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘বাংলাদেশ পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনস্-২০১৪ এবং রেগুলেশনস্ অন ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ২০১৪ এর আওতায় সকল পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংক্রান্ত পৃথক কোনো আইন না থাকায় ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের জন্য বর্ণিত রেগুলেশনস্ পরিপালনের লক্ষ্যে ‘দ্য কনট্রাক্ট এ্যাক্ট,-১৮৭২’-এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া, অ-ব্যাংক (ব্যাংক বহির্ভূত) আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিশোধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণেও বর্তমানে কোনো আইন নাই। ফলে, গ্রাহক-স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর আওতায় নেয়া জরুরি বিধায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ, এস এম ব্রাহানী সুলতান মামুদ ও হামিদুল হক খন্দকার। 

একই দিন সংসদে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন-১৯৯২ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে জাতীয় সংসদে আজ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস করা হয়। সংশোর্ধত এই বিলে, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনে ‘সচিব’ পদনাম পরিবর্তনের জন্য আইনে সংশোধনী আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ এর সংশোধন বিল আনা হয়েছে। এই বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ ও হামিদুল হক খন্দকার।

এলিস/এমএ/

পেনশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চলবে

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
পেনশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চলবে
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপত্তি জানানোর পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তবে এটিতে গোঁজামিল রয়েছে উল্লেখ করে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে তিন দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির ৫ ও ৬ নং পয়েন্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ৮ নং পয়েন্টে যা সংখ্যা দেখিয়েছে সব ঠিক। কিন্তু এটার মধ্যে চরম জালিয়াতি রয়েছে। ২০২৪ সালে টাকা জমা করে ৩০ বছর পরে ২০৫৪ সালে পেনশন পাবেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা পাবেন প্রতি মাসে। এই ৩০ বছরে বেতন বৃদ্ধি, ইনক্রিমেন্ট, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তার পেনশন হওয়া উচিত ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এটা আমরা বুঝিয়ে দিতে পারব। প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ 

ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা এভাবে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে হয় না। আমাদের স্বায়ত্তশাসিত দেখিয়ে আলাদা স্কিম করবে, সেটা হবে না। সেবকের কী সুবিধা, প্রত্যয়ের কী সুবিধা, সেটা উল্লেখ করতে হবে। এগুলো আলোচনা করতে হবে। আমরা তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’ 

যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করছি। এই প্রেস রিলিজের বৈধতা নেই।’