![সীমান্ত ক্রস করে কাউকে আসতে দেব না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী](uploads/2024/02/04/1707069433.haome ministerkk.jpg)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মায়ানমারে যে যুদ্ধ চলছে তা কতদিন চলবে আমরা জানি না। তবে আমাদের সীমান্ত ক্রস করে কাউকে আসতে দেব না। আমাদের বিজিবিকে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না, যুদ্ধ চাইও না। এটা প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বলে দিয়েছি এবং কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দিয়েছি যাতে কোনোভাবেই আমাদের সীমানায় কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক রয়েছি। বাংলাদেশের বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে।
রোহিঙ্গাদের আর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত একটিই, সীমান্তে এখন যুদ্ধ চলছে, এখানে এখন কারও আসা উচিত হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানবাধিকারের প্রশ্ন এখন আসবে না, কারণ যুদ্ধ চলছে। গোলাগুলি চলছে। এখানে কারও আসা উচিত হবে না। যে-ই আসবে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে আবার মায়ানমারে পাঠিয়ে দেব।
মায়ানমারের ভেতরে ভয়াবহ গোলাগুলির মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বাংলাদেশের বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে। ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলমান গোলাগুলিতে কম্পিত পুরো সীমান্ত এলাকা। জানা গেছে, গোলাগুলির ভয়াবহতা দেখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মায়ানমারের ৬৬ জন বিজিপি সদস্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিপির একের পর এক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে আরাকান আর্মি। আমাদের বর্ডারের কাছে যেগুলো ছিল সেগুলো দখল করে নিয়েছে। বিজিপি আত্মরক্ষার্থে ভেতরে ঢুকে সহযোগিতা চেয়েছে। বিজিবি তাদের অবরুদ্ধ করেছেন তাদের অস্ত্র নিয়ে এক জায়গায় আটক করে রাখা হয়েছে।’
তারা আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশে ঢুকেছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাতে তারা এদের নিয়ে যান।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি আশাকরি, খুব শিগগির এদের পাঠিয়ে দেব।’
মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারপরও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
এমএ/