![মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি কমায় কমছে আতঙ্ক!](uploads/2024/02/07/1707300045.1707291121559.jpg)
মিয়ানমারের সীমান্তে সকাল থেকে গোলাগুলি না হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুমে আতঙ্ক কিছুটা কমেছে। তবে এখনও এসব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত বর্তমানে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮টি পরিবারের ১৪০ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশের সদস্য রঞ্জিত বড়ুয়া।
তিনি জানান, গতকাল বিকেল ২টা থেকেই ভয়ে আর আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ আসতে শুরু করেছেন।
আশ্রয় নেওয়া রহিমা বেগম জানান, অধিকাংশ পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে। কেউ কেউ বাড়িতে ফিরলেও বেশিরভাগ মানুষ এখনো রয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
এ অবস্থায় বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এরপর তিনি সেখান থেকে তমব্রু বিওপিতে যান। সেখানে তিনি সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক জানান, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে ওপার থেকে একের পর এক গোলা এসে পড়ছে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তের ভেতরে।
সীমান্তে উদ্ভূত যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি তৎপর রয়েছে জানিয়ে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘টানা কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির হলেও আজ থেকে নেই। তবে আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে আমরা সব কার্যক্রম পরিচালনা করছি, আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, সীমান্তে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না হয় সে বিষয়ে বিজিবি ও অন্য বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
রাহাত রিজভী/ইসরাত চৈতি/অমিয়/