![মায়ানমার থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী](uploads/2024/02/13/1707820039.Asaduzzaman_khan.jpg)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মায়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনিতেই মায়ানমার থেকে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছেন। এখন রোহিঙ্গা বা যেই আসুক না কেন, মায়ানমার থেকে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমারের চতুর্দিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দুই-একজন সেনাসদস্য আমাদের এখানে ঢুকে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন, কেউ অস্ত্র ছাড়া ঢুকেছেন। তবে তারা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্রগুলো রেখে আটক অবস্থায় আমাদের এখানে রেখেছেন। এদের মধ্যে যারা আহত, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা তাদের ফেরত নিতে মায়ানমারকে জানিয়েছি।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মায়ানমার অতি শিগগির জাহাজযোগে তাদের নিয়ে যাবে বলে বার্তা পাঠিয়েছে। আশা করছি, ২-১ দিনের মধ্যেই তাদের সদস্যদের ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো কনফ্লিক্ট নেই, কোনো রকম যুদ্ধ নেই, তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা আত্মরক্ষার্থে এখানে আসছেন, সরকারকে বলেছি তাদের নিয়ে যেতে। তারা নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সবাই অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে। সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, এ সীমানায় তাদের কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও যদি আসে, আমাদের এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বিজিপি সদস্য যারা আশ্রয় নিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণে তাদের কেউ জড়িত ছিলেন কি-না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো লিস্ট নেই। তবে আমরা সে সময় দেখেছি মাইলের পর মাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নদীতে লাশ ভেসে আসতে দেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে যে গণহত্যা চালাতে আমরা দেখেছি সে সময় তাদের আর্মি দাঁড়ানো ছিল। তবে তারাই গণহত্যা করেছেন কি-না জানি না। আন্তর্জাতিক আদালতে এর বিচার চলছে।’
খাজা/সালমান/