![বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাচার দূর করবো : চবি শিক্ষক সমিতি](uploads/2024/02/21/1708509835.Ctg-Pic-CU-(2).jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুন্ন হলেও অনাচার দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দুর্নীতি, অপকর্মে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শিক্ষক সমিতির উপরে যেসব অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অনাচারে নিপতিত। এই অবস্থা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বের করে আনার জন্য আমরা একটা প্রচেষ্টার মধ্যে আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক এবং একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টিকে আইনের চরম লঙ্ঘন বলে জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু যে মন্তব্য করেন তা সম্পূর্ণরূপে সঠিক নয়। কারন এসব বিষয়ে সাধারণ শিক্ষকরা জড়িত নয়। তারা এসবের আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগাভাগি তো দূরের কথা। এসবের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে। যদি তা না হয়, তাহলে ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকদের সম্মানী নির্ধারণ ও আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৮ তারিখে প্রশাসন থেকে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য দাবি করেছেন আমাদের ২৬ দফা দাবির অধিকাংশ পূরণ করেছেন। এটা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। তিনি মাত্র একটি দাবি পূরণ করেছেন আর একটি দাবি পূরণের চেষ্টা করেছেন।’
এসময় তিনি শিক্ষক সমিতির মোট ২৬টি দাবি উত্থাপন করে তা পূরণ না হওয়ার ব্যাখ্যা দেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে, রুলস রেগুলেশনের উর্ধ্বে গিয়ে বর্তমান প্রশাসন যে উদাহরণ তৈরি করেছে সে সম্পর্কে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক। তাহলেই তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যাবে। তারা বলেছে শিক্ষক সমিতির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। কিন্তু যখন তাদের দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে শত শত নিউজ হয় তখন ভাবমূর্তি কই থাকে? আমাদের শিক্ষকদের ২৬টা দাবির কোনোটাই তারা পরিপূর্ণভাবে পূরণ না করেই বলছে তারা অধিকাংশ দাবি পূরণ করেছে। আমাদের কোন দাবিটা অযৌক্তিক? সেসব দাবি পূরণ না করে উপাচার্য শিক্ষক সমিতির নামে মিথ্যাচার করছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ডোবানোর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমরা দ্রুত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।
মাহফুজ শুভ্র/সাদিয়া নাহার/অমিয়/