![দায়ীদের শাস্তি চেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন](uploads/2024/03/03/1709453914.buet.jpg)
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ঘটনায় দায়ীদের শাস্তিসহ ১৪ দাবিতে শনিবার (২ মার্চ) মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুয়েটের শহিদ মিনারের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে আগুনে পুড়ে নিহত বুয়েটের দুই শিক্ষার্থী লামিসা ইসলাম ও নাহিয়ানসহ অন্যদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বেলা পৌনে ২টার দিকে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার, সহ-উপাচার্য আবদুল জব্বার খান, কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ম তামিম, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘আজকে লামিসা কালকে কে?’, ‘আজকে নাহিয়ান কালকে কে?’, ‘দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!’, ‘এই হত্যার দায়ভার কার?’, ‘এই দায়িত্বহীনতার দায়ভার কার?’, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। প্ল্যাকার্ড হাতে পাঁচ মিনিট সেখানে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ১৪ দফা দাবি হলো বেইলি রোডের অগ্নি-দুর্ঘটনার মতো অসাবধানতাজনিত সব দুর্ঘটনার পেছনে দায়ীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, বাণিজ্যিক ও অন্যান্য ভবনে বিল্ডিং কোডসহ জরুরি কোড অমান্যকারী ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়া, প্রতিটি ভবন থেকে রাজউকের দেওয়া নিরাপত্তা লাইসেন্স নিয়মিত নজরদারি করা, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে প্রতিটি বাণিজ্যিক ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়মিত পরিদর্শন, সব বিল্ডিংয়ে অগ্নিনির্বাপণের জন্য জরুরি সব সামগ্রী এবং মার্কিং/চিহ্ন যাতে সব সময় থাকে তা নিশ্চিত করা; গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডারগুলো একটি ভবনে প্রবেশের বা প্রস্থানের পথে/স্থানে না রাখা; প্রতিটি বাণিজ্যিক কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনকল্যাণ কেন্দ্রে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণ/ফায়ার ড্রিল বাধ্যতামূলক করা। প্রতিটি ভবনে প্রয়োজনীয়সংখ্যক এবং প্রশস্ত ইমার্জেন্সি এক্সিটের ব্যবস্থা করা এবং সিঁড়িগুলো ফাঁকা, পরিষ্কার ও ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় রাখা; অনুমোদন ছাড়া ভবন ব্যবহারের প্রকৃতি (যেমন আবাসিক থেকে বাণিজ্যিক) পরিবর্তন না করা; একই ভবনে স্বল্প জায়গা নিয়ে বানানো বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কাঠামো পরিবর্তন করা।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে। গত শুক্রবার পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বুয়েটের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন ও লামিসা ইসলাম রয়েছেন। দুজনই বুয়েটের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।