ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

রমজান ও ঈদে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
রমজান ও ঈদে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাস ও ঈদ সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ওই সব বিষয়ে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিশেষ নির্দেশনাগুলো সচিবদের জানান মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রমজান মাসে কোনোভাবেই যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্যসচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মজুতদারি রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। ইফতার ও সাহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুত আছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।’

মুখ্য সচিব বলেন, ‘রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ, শৃঙ্খল ঠিক থাকে, সে জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে। ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমরা দুবার করে এক কোটি মানুষকে দেব।’ রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মুখ্য সচিব সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের সহজে টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস ও পাটকলশ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

হাতিরপুলে অফিস কক্ষ থেকে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪০ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৪০ এএম
হাতিরপুলে অফিস কক্ষ থেকে যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর হাতিরপুলের নাহার প্লাজার ৯ তলার একটি অফিস কক্ষ থেকে সেজানুর রহমান আনাস (২৩) নামে এক নিখোঁজ যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

আনাস শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার জালাল মুন্সির ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল পশ্চিমপাড়া দরবার শরিফ রোডে থাকতেন। ওই যুবক পেশায় একটি লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোনায়েম। তিনি জানান, খবর পেয়ে নাহার প্লাজার ৯ তলা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবক ফ্যানের হুকের সঙ্গে স্টিলের তার দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন। এতে তার লাশ কিছুটা পচন ধরে গেছে।

তিনি আরও জানান, নাহার প্লাজার ৯ তলায় ঢাকা লিফট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিস। ওই যুবক সেই অফিসের সেলস এক্সিকিউটিভ ছিলেন। ঈদ উপলক্ষে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে বন্ধ ছিল অফিসটি। আর ২৫ জুন থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার দুপুরে কোম্পানির মালিক পারভেজ বাবু অফিসে গিয়ে ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ধাক্কাধাক্কির পর দরজা খুলে যায়। তখন ওই যুবককে অফিসের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চার দিন আগে আনাস অফিসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। 

মৃত আনাসের মামা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাত মাস আগে বিয়ে করে আনাস। কিন্তু বাসা ছোট হওয়ায় স্ত্রীকে বাসায় তুলতে পারছিল না। এসব বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গত ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আসে সে। এরপর থেকে মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। শুক্রবার তার অফিস থেকে ফোন এলে তারা জানতে পারেন, আনাস গলায় ফাঁস দিয়েছে।

খাজা/এমএ/

নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৩০ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৩০ এএম
নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় জাদুঘরে ‘বজলুর রহমান স্মৃতিপদক ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি  বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অবিনশ্বর চেতনার মাপকাঠিতে সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের যে অসীম তৃষ্ণা ছড়িয়ে দিতে পেরেছে, তাতে আমরা আশাবাদী হই। সাহস পাই পরাজিত শক্তিরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, এ মাটির বুক থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, শহিদের রক্তবিন্দুকে মুছে ফেলা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অনন্তকাল আমাদের হাত ধরে থাকবে, পথ দেখিয়ে যাবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২৩ (ইলেকট্রনিক মিডিয়া) পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট লায়লা নওশীন। প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে যুগ্মভাবে পুরস্কার পেয়েছেন ভোরের কাগজের ঝর্ণা মনি ও ডেইলি স্টারের আহমাদ ইসতিয়াক।

সুস্থ আছেন ডেপুটি স্পিকার

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:২৩ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:২৩ এএম
সুস্থ আছেন ডেপুটি স্পিকার
ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। ফাইল ছবি

নিজ সংসদীয় এলাকায় গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। তবে এখন তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক।

শুক্রবার (২৮ জুন) পাবনার বেড়া উপজেলার আব্দুল খালেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখানেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারযোগে দ্রুত ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে পিএস আব্দুল মালেক খবরের কাগজকে জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার এখন সুস্থ আছেন। তিনি সিএমএইচে রয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তিনি কেবিনে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এখনো রিপোর্ট আসেনি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় বেড়া আব্দুল খালেক স্টেডিয়াম থেকে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে বেড়া বিপিন বিহারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধন শেষে নিজ বাড়িসংলগ্ন নৌকা চত্বরে বৃক্ষরোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থতা বোধ করেন‌ এবং হেলে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়।

 

জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০১ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: বাসস

জনসম্পৃক্ততা বিঘ্নিত না করে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ভিভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তাবলয় তৈরিতে সব সহযোগী এজেন্সির সঙ্গে সুসম্পর্ক, নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার পাশাপশি ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখার তাগিদ দেন। খবর বাসসের। 

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

তিনি এসএসএফকে বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। আপনাদের কোনো আচরণে জনগণ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি সদা পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় এসএসএফ সদস্যদের সর্বদা বলিষ্ঠ মনোবল, প্রশ্নাতীত আনুগত্য ও পেশাদারত্বের সর্বোত্তম প্রয়োগ ঘটানোর উপদেশ দেন। এসএসএফের দায়িত্ব পালনের প্রতিটি ক্ষেত্র ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত ও সর্বোপরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়টি সব সময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। 

অতি কঠোরতা ও বাড়াবাড়ির কারণে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ও জনগণের মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব বা ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকটিও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করারও নির্দেশনা প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, নিরাপত্তা আর জনসম্পৃক্ততা দুটিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণ থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করে নয়, বরং জনসম্পৃক্ততা স্বাভাবিক রেখেই পেশাদারত্বের সঙ্গে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসএসএফের সদস্যদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, উন্নত শৃঙ্খলা, সততা, দায়িত্বশীলতা এবং মানবিক গুণাবলি অর্জনের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর পেশাদার, দক্ষ ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি চৌকস বাহিনী হিসেবে এসএসএফ গড়ে তোলা হয়েছে। ১৯৮৬-এর ১৫ জুন, রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, পরবর্তী সময় দেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর একে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামে নামকরণ করা হয়। এসএসএফ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী ভিভিআইপি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান করে এবং ভিভিআইপিদের ওপর সম্ভাব্য হুমকি প্রতিরোধ এবং সক্রিয় হুমকি থেকে ভিভিআইপিদের সুরক্ষায় বেসামরিক প্রশাসন এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভিভিআইপিদের অফিস ও বাসস্থানের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করে এসএসএফ।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

 

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে আ.লীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে আ.লীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
ছবি: বাসস

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ওয়ার্ল্ডের সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়তে চাই। সে জন্য আমি নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।

আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন প্রজন্ম কেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবে, সে বিষয়ে তিনি একটি ছোট লেখা লিখেছেন।

তিনি বিরোধী দলগুলোকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কিছু দল আছে যারা ক্যান্টনমেন্টে বিভিন্ন সামরিক শাসকের পকেট থেকে জন্ম নিয়েছে অথবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল। আরও কিছু দল আছে যারা খুবই দুর্বল এবং কিছু দাবিদাওয়া করা ছাড়া তাদের আর কোনো সক্ষমতা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যাদের বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়। এ দেশের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আওয়ামী লীগ পূরণ করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক দরকার। এটি করার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতির সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের অভিন্ন মূলমন্ত্রের আওতায় আনতে কাজ করছি।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সহসভাপতি কাজী শওকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য ও শাকুর হোসেন শাকু, দপ্তর সম্পাদক আরমান হোসেন অপু প্রমুখ।