ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের পরিবারকে সংবর্ধনা

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ এএম
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ এএম
ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের পরিবারকে সংবর্ধনা
সুখরঞ্জন সমাদ্দারের ছেলে সলীল রঞ্জন সমাদ্দারকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন আয়োজকরা। ছবি: খবরের কাগজ

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর নিজ এলাকায় শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় সাংস্কৃতিক সংগঠন নতুন মুখ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে বানারীপাড়া উপজেলা মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।  

যাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- শহিদ বুদ্ধিজীবী জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার মেয়ে ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা ও সুখরঞ্জন সমাদ্দারের ছেলে সলীল রঞ্জন সমাদ্দার।

উপাচার্য ড. মোহম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে কয়েকশত বুদ্ধিজীবী হত্যা করা হয়। তারা শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, লেখক, চিকিৎসকসহ যেখানে যাকে পেয়েছে হত্যা করেছে। লক্ষ্য ছিল বাঙালিকে মেধাশূন্য করা। যাতে জাতি হিসেবে বাংলাদেশ পঙ্গু হয়ে যায়, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।’ 

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে আমাদের বুদ্ধিজীবীরা মহান অবদান রেখেছেন। এই জনপদ কতটা সমৃদ্ধ তা শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোর্তিময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারকে দিয়েই বোঝা যায়। 

তিনি আরও বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা ও অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দারের জন্মভিটা এই জনপদে হওয়ায় বরিশালের মানুষ গর্বিত। তাদের আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে দিতে এই প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার, পৌরসভার মেয়র সুভাস চন্দ্র শীল প্রমুখ। 

পরে শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ‘জ্যোতির্ময়’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

মঈনুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ৫

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০১ পিএম
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ৫
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন শ্রী অলোক, আতশি, নরেশ, রনজিতা।

বগুড়া সদর থানা‌র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওয়ালিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

জানা গেছে, বিকেল ৫টায় সেউজগাড়ী ইসকন ম‌ন্দির থেকে রথযাত্রা‌টি বের হয়। পথিম‌ধ্যে সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে র‌থের গম্বুজ‌টি সড়কের ওপরে থাকা হাইভোল্টে‌জের বৈদ্যুতিক তা‌রের সংস্প‌র্শে আসে। এতে তারে আগুন লেগে যায় এবং র‌থে থাকা ও আশপাশের অন্তত ২৫ জন আহত হন। প‌রে তাদের বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান‌ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে নি‌য়ে গেলে পাঁচজন মারা যান।

এমএ/সালমান/

শিশু নিখোঁজের গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
শিশু নিখোঁজের গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'শিশু নিখোঁজ‘ সংক্রান্ত পোস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নজরে এসেছে। 'শিশু নিখোঁজ' সংক্রান্ত এ ধরনের পোস্ট নিছক গুজব। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত বা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে।

রবিবার (৭ জুলাই) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স‌‌‌'র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
  
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ তৎপর রয়েছে। কেউ এ ধরনের গুজব ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খাজা/এমএ/

মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে তা নির্ভর করছে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন এখনো শেষ হয়নি। মূল্যায়ন শেষ হলে মূল্যায়ন কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনব। 

মন্ত্রী বলেন, দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব যাচাই বাছাই শেষে যেটি আমাদের জন্য ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ফারুক খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীতকরণ ও  ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি বলেছি এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। 

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলির আগ্রহ রয়েছে। 

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোন কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোন কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও কোন কারণ নেই‌। আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোন কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়েনি। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয় তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তিথি/এমএ/

পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি  গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছবি : সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে পঁচা ডিম মেরে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা নিতে বাধা দেওয়ায় গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মৃণাল বিশ্বাসকে গত পহেলা জুলাই পঁচা ডিম মেরে লাঞ্চিত করা হয়।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিএ অনার্স পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্রের ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালে ৩-৪ জন শিক্ষার্থী দেখাদেখি ও কথা বলছিলেন। তখন ৪০৮নং কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, গোপালগঞ্জের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস। তিনি তাদের বারবার সতর্ক করেন। এ সময় তারা শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে শিক্ষক খাতা নিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পরে কলেজের কাজ শেষ করে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাসের অডিটরিয়াম সড়কে পৌঁছালে তার মাথায় পেছন থেকে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারা হয়। ১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়।

কবির/এমএ/

অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা
ডব্লিউএইচও'র আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় ডব্লিউএইচও-এর কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নগর প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষ করে অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ।

এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি রাজশাহীবাসীর প্রাথমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আমরা আশা করছি ডব্লিউএইচও'র সহায়তায় রাজশাহীর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও আলোচিত ক্ষেত্রসমূহে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারবো। এতে মহানগরবাসীসহ এই অঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। ফলে স্বাস্থ্যখাতে রাজশাহী অনেক এগিয়ে যাবে।

সভার শুরুতে ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভায় ডব্লিউএইচও-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/