ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

রাজধানীসহ পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি, জনজীবনে প্রশান্তি

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০১:১৬ এএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ০১:২০ এএম
রাজধানীসহ পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি, জনজীবনে প্রশান্তি
ছবি : সংগৃহীত

তীব্র তাপপ্রবাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে রাজধানীতে। ফলে জনজীবনে প্রশান্তি ফিরে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। 

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন রাত ১২টা ৩ মিনিটে খবরের কাগজকে বলেন, ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এটা বজ্রসহ বৃষ্টি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পরে হিসাব করে জানানো হবে। রাত সোয়া একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে টানা তাপপ্রবাহে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলজুড়েই বিরাজ করছিল অস্বস্তি। তবে দেশের পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে। অন্যদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তাই হিট অ্যালার্ট আরও ৪৮ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি মাসে কালবৈশাখী আর তাপপ্রবাহের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল যশোর, রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা হওয়ায় রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের কুতুবদিয়ায়, ২৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, কুমিল্লা, সীতাকুণ্ড, মাইজদী কোর্ট, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবানে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে রংপুর ও নেত্রকোনায় সামান্য পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাপপ্রবাহ দেশের কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

তাপপ্রবাহ

বিরাজমান তাপপ্রবাহ পূর্ববর্তী এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সারা দেশে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিস্তার লাভ করতে পারে। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে এবং তাপপ্রবাহের এলাকা কমে যেতে পারে।

হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ চলমান তাপপ্রবাহ রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

মে মাসে কালবৈশাখী, তাপপ্রবাহের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস

চলতি মে মাসে ৮ দিন কালবৈশাখী, দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ ও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাস মেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

দেশে ৩-৫ দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ হালকা ধরনের কালবৈশাখী এবং ২-৩ দিন বজ্র, শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি/তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ১-৩টি মৃদু-মাঝারি এবং ১-২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১টি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯ কোটি টাকা অনুদান ফ্রান্সের

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯ কোটি টাকা অনুদান ফ্রান্সের
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রায় ১৯ কোটি টাকা (১.৫ মিলিয়ন ইউরো) অনুদান দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

ফ্রান্স সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউএনএইচসিআর বলেছে, ফ্রান্সের এই সহায়তায় শরণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের প্রত্যয় বজায় রাখা যাবে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য লাকড়ির বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবস্থা করা যাবে, যার মাধ্যমে বন উজাড় ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ প্রতিরোধ করে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী বলেন, ‘ফ্রান্স রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের এক অবিচল সমর্থক। এই উদার অনুদান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবিক সাহায্য ও সুরক্ষা সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি কক্সবাজারের পরিবেশের সফল পুনর্বাসনের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী পরিস্থিতিতে থাকা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা করবে।’

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অভিবাদন জানিয়ে বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের আরও ভালো সুযোগ তৈরির জন্য কাজ করে যাব। আর আশা করব, তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য।’

পরিশোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাস

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
পরিশোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংহতকরণ, তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিধান প্রণয়নকল্পে জাতীয় সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল-২০২৪ সংসদে পাস হয়েছে। একই দিন ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস করা হয়।  

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সংসদে বিল দুটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। 

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধ দলিল’ ইস্যু, ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে যেকোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয়, এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা যাবে না। এসব বিধান অমান্য করলে সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। 

এছাড়া কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। একইভাবে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেয়া ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘনের সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য হবে। 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিদ্যমান কোনো আইন নাই। বর্তমান ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার-১৯৭২’- এর আর্টিক্যাল ৭এ(ই) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘বাংলাদেশ পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনস্-২০১৪ এবং রেগুলেশনস্ অন ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ২০১৪ এর আওতায় সকল পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংক্রান্ত পৃথক কোনো আইন না থাকায় ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের জন্য বর্ণিত রেগুলেশনস্ পরিপালনের লক্ষ্যে ‘দ্য কনট্রাক্ট এ্যাক্ট,-১৮৭২’-এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া, অ-ব্যাংক (ব্যাংক বহির্ভূত) আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিশোধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণেও বর্তমানে কোনো আইন নাই। ফলে, গ্রাহক-স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর আওতায় নেয়া জরুরি বিধায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ, এস এম ব্রাহানী সুলতান মামুদ ও হামিদুল হক খন্দকার। 

একই দিন সংসদে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন-১৯৯২ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে জাতীয় সংসদে আজ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস করা হয়। সংশোর্ধত এই বিলে, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনে ‘সচিব’ পদনাম পরিবর্তনের জন্য আইনে সংশোধনী আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ এর সংশোধন বিল আনা হয়েছে। এই বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ ও হামিদুল হক খন্দকার।

এলিস/এমএ/

পেনশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চলবে

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
পেনশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চলবে
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপত্তি জানানোর পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তবে এটিতে গোঁজামিল রয়েছে উল্লেখ করে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে তিন দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির ৫ ও ৬ নং পয়েন্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ৮ নং পয়েন্টে যা সংখ্যা দেখিয়েছে সব ঠিক। কিন্তু এটার মধ্যে চরম জালিয়াতি রয়েছে। ২০২৪ সালে টাকা জমা করে ৩০ বছর পরে ২০৫৪ সালে পেনশন পাবেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা পাবেন প্রতি মাসে। এই ৩০ বছরে বেতন বৃদ্ধি, ইনক্রিমেন্ট, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তার পেনশন হওয়া উচিত ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এটা আমরা বুঝিয়ে দিতে পারব। প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ 

ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা এভাবে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে হয় না। আমাদের স্বায়ত্তশাসিত দেখিয়ে আলাদা স্কিম করবে, সেটা হবে না। সেবকের কী সুবিধা, প্রত্যয়ের কী সুবিধা, সেটা উল্লেখ করতে হবে। এগুলো আলোচনা করতে হবে। আমরা তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’ 

যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করছি। এই প্রেস রিলিজের বৈধতা নেই।’

হলি ফ্যামিলিতে আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
হলি ফ্যামিলিতে আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু
ছবি : খবরের কাগজ

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু করেছে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনামধন্য হাসপাতালটির পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় হাসপাতালের শায়লা-হাফিজ মিলনায়তনে বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তিনি নিজেই বহির্বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী দেখেন।

অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবায় একসময় মানুষের আস্থা ও ভরসার জায়গা করে নিয়েছিল এ প্রতিষ্ঠান। তবে বিগত দিনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। হাসপাতালের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনার ধারাবাহিকতায় আজকের এই বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

ভবিষ্যতে হাসপাতালে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য আলাদা বহির্বিভাগ চালু করা হবে। এ ছাড়াও হাসপাতালে একটি ডায়বেটিক সেন্টার চালু করার কথাও জানান তিনি। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তিনি নিজেই বহির্বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী দেখেন।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এস এম খোরশেদ আলম জানান, সপ্তাহে ৬দিন (শনি-বৃহস্পতি) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসাল্টেশন সার্ভিস চলবে। এ সময় হাসপাতালের ১৬টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন। মেডিসিন, গাইনি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক্স, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, চর্মরোগ, শিশু বিভাগ, সার্জারি ইত্যাদি বিভাগগুলো বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। টিকিট কেটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, অবসরপ্রাপ্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কানিজ মওলা, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দৌলতুজ্জামানসহ অন্যরা। 

২০৫০ সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে: এসডো

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
২০৫০ সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে: এসডো
ছবি : সংগৃহীত

এ বছর এপ্রিলে দেশের ইতিহাসে গত ৫২ বছরে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করতে পারে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) এর গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত উইমেনস ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর ফলাফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবগুলোকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফলের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন এসডোর রিসার্চ অ্যান্ড ক্যাম্পেইন অ্যাসোসিয়েট সাদমীন সাদাফ জাহান। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনে যে চারটি প্রধান কারণ দায়ী তা হলো, ১. বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, ২. জলবায়ুর পরিবর্তন, ৩. জীবাশ্ম জ্বালানি এবং শিল্পকারখানা থেকে কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি, যা গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ৪. এল নিনো ইভেন্টের মতো মহাসাগরীয় প্রভাব। এই কারণগুলো সম্মিলিতভাবে সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহকে আরও তীব্র করে তুলেছে।’

গবেষণায় বলা হয়, ১৯৭২ সাল থেকে তাপপ্রবাহের রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে, যা সেই সময় প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে এই তাপপ্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে এবং বয়স্কদের মধ্যে তাপজনিত কারণে ২০৮০ সালের মধ্যে প্রতি ১ লাখে ৩০ জনের মৃত্যু হতে পারে।