![গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ](uploads/2024/05/07/deputikk-1715095089.jpg)
গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে আইনপ্রণেতারা বলেছেন, সরকারও শিশু অধিকার সুরক্ষায় আন্তরিক। এরই মধ্যে আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরপরও বিপুলসংখ্যক শিশু গৃহকর্মীকে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে তারা এসব কথা বলেন।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান। তিনি বলেন, সরকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শিশু অধিকার সনদগুলো স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশের সব শিশুর অধিকার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। ২০০১ সালের ১২ মার্চ ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন নং-১৮২ এবং ২০২২ সালের ২২ মার্চ শিশুদের কাজে প্রবেশের ন্যূনতম বয়সবিষয়ক আইএলও কনভেনশন নং ১৩৮-এ অনুস্বাক্ষর করেছে সরকার। এ ছাড়া এসডিজির আলোকে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। প্রবন্ধে শিশু গৃহকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়।
উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) নির্বাহী পরিচালক এম এ করিমের সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, প্রতিটি শিশুকে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সব ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও শুধু আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন। এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশকে দ্রুত শিশুশ্রমমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেজুতি, রূমা চক্রবর্তী ও অনিমা মুক্তি গমেজ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ফাতেমা খাইরুন্নাহার, ওয়াল্ড ভিশনের ন্যাশনাল অ্যাডভোকেসি অফিসার মো. জামাল উদ্দিন, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, লেবার ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিতু খাতুন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহেফা সামিন ও এএসডির ম. হামিদুর রহমান।
এলিস/এমএ/