![শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট এনআইডি দিলো ইসি](uploads/2024/05/23/EC-1716457128.jpg)
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্বীকৃতি দিলো নির্বাচন কমিশন। শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে বিশেষ স্মার্ট এনআইডি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিলনায়তনে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বিশেষ স্মার্টকার্ড ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি করা বিশেষ এই স্মার্টকার্ডে তাদের নামের আগে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' লেখা রয়েছে।
জাতীয় পরিচয় পত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে খুশি বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বলেন, ‘দেশকে শত্রুমুক্ত করতে আমরা জীবন বাজি রেখেছিলাম। বেঁচে থাকতে এ ধরনের সম্মান পাবো তা ভাবিনি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই বিশেষ স্মার্টকার্ড পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আসলে সম্মান ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা কিছুই চায় না।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে সম্মানিত করার এই উদ্যোগের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানান তারা।
বিশেষ স্মার্টকার্ডকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের স্মারক হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য অসীম। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ ত্যাগ বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। মুক্তিযুদ্ধ বীরত্ব গাঁথা সবসময় বেঁচে থাকে গল্প- কাব্য-নাটকের মাধ্যমে। আমেরিকার মুক্তিযুদ্ধ মরে যায়নি। আমেরিকার মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে আছে। আমাদেরকে এর চেতনা ধারণ করতে হবে। যে চেতনার মূল্যবোধে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালি শহীদ হয়েছে। সেই চেতনার মাধ্যমে আমাদের দেশ যেন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। সেই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের ঝান্ডা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত করতে হয়। এই কার্ড আপনারা হারাবেন না এটা আপনাদের বীরত্বের একটি স্মারক। হয়তো আপনি থাকবেন না। আপনার কার্ডটা থেকে যাবে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্টকার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী।
তিরি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় পত্রে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' খচিত এই বিশেষ স্মার্ট কার্ড তাদের সম্মানিত করার পদক্ষেপ। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে সম্মানিক করার নানা উদ্যোগ চলমান।’
সংস্থাটির সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মোহাম্মদ আলমগীর ও আনিছুর রহমান, এনআইডির মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদারসহ কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্টকার্ড পেতে হলে স্থানীয় উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণপত্র। ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদা কমিশন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এলিস/ইসরাত চৈতী/