নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না। দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। সেই কথা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন সবগুলো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। যাতে এই নির্বাচনগুলো সহিংসতা মুক্ত হয়। মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্র নির্বিঘ্নে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।
বৃহষ্পতিবার (২৩ মে) বেলা ১১টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলোও আমরা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন কমিশন কাউকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করে না। প্রশাসনকেও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণ বিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না। ভোটার যাতে ভোট কেন্দ্রে আসে সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কোন প্রার্থীর কোন অভিযোগ থাকলে কমিশনকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান ইসি।
সভায় নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
