![ঘূর্ণিঝড় রিমাল: উপড়ে পড়া ১১৫টি গাছ সরিয়েছে ফায়ার সার্ভিস](uploads/2024/05/28/fire servicekk-1716833584.jpg)
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় কাজ করছে। ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত দুই জনকে ও চার জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ১১৫টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহাজাহান শিকদার জানান, চট্টগ্রামের চন্দননগরে দেয়াল ধসে নিহত একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয়, বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। বরিশাল বিভাগের বাউফলে গাছচাপায় নিহত একজনকে উদ্ধার করা হয়। নাম মো. আব্দুল করিম খান, বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। এছাড়া আহত দুই জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে উল্টে যাওয়া গাড়িতে চাপাপড়া দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের একজন পুরুষ, বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর; অপরজন মহিলা, বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। আহতদের নাম জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ২টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৫৫টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ১০টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা থেকে ১৮টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ঝড়ে পড়া মোট গাছ অপসারণ করেছে ১১৫টি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বরিশালের গলাচিপা ফায়ার স্টেশনে মোট ১২০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, এখনও সেখানে ৬৩ জন অবস্থান করছেন।
'এছাড়া একই বিভাগের বরগুনার পাথরঘাটা ফায়ার স্টেশনে ১৭ জন, ভোলা ফায়ার স্টেশনে ২০ জন এবং ইন্দুরকানি ফায়ার স্টেশনে ৬ জনকেসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে মোট ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।'
খাজা/এমএ/