![তৃতীয় ধাপে ৯০ উপজেলায় ভোট বুধবার](uploads/2024/05/28/Upazila-Parishad-Election2-1716143646-1716834189.jpg)
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে দেশের ৯০ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী বুধবার (২৯ মে)। সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোট গ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে (২৯ মে অনুষ্ঠেয়) আরও ১৯ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাঙামাটির বাঘাইছড়িসহ আরও ১৯ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে সংস্থাটি। উপজেলাগুলো হচ্ছে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, খুলনার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, দুমকি, মির্জাগঞ্জ; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা।
রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত ও দুর্গত এলাকা বিবেচনায় দেশের উপকূলীয় ওই সব উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সোমবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর ও বাহিনীগুলো প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছিল। কিন্তু উপকূলীয় আট জেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল ব্যাপক আঘাত হেনেছে। ওই সব এলাকায় ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনি ওই সব এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে, বাঁধ ভেঙেছে, কোথাও গাছপালা ভেঙে পড়েছে, কোনো কোনো জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ওই সব উপজেলা নির্বাচন করা সম্ভব নয়। মাঠ প্রশাসনের তথ্য এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ওই সব উপজেলায় ভোট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রথমে ১১২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে আইনি জটিলতায় দুটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত আর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় সব পদে একক প্রার্থী থাকায় ভোটের প্রয়োজন না হওয়ায় ১০৯ উপজেলায় ভোটের প্রস্তুতি নেয় ইসি। সর্বশেষ সোমবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর আগামী বুধবার ভোট গ্রহণ হবে ৯০ উপজেলায়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা এবার নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অন্যদিকে বিএনপির অল্প কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও দলটি উপজেলা পরিষদের এই ভোট বর্জন করেছে।
এলিস/এমএ/