![প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৬ নদীর শাখা নদীও ঝুঁকিতে: আরডিআরসি](uploads/2024/06/11/plastickk-1718117771.jpg)
প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে দেশের সমতল ও পাহাড়ের ৫৬টি নদীর শাখা নদীও বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে বলে জানিয়েছে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। সম্প্রতি সংস্থাটির গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে।
গবেষণায় দেখা যায়, তিন কারণে দূষিত হচ্ছে দেশের নদ-নদী। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী প্লাস্টিক বর্জ্য। এর বাইরে দুই কারণ হল-শিল্প বর্জ্য ও পৌর বর্জ্য। সমতল ও পাহাড়ের ৫৬টি নদীতে এই দূষণের কারণে অন্যান্য শাখা নদীগুলোও ঝুঁকিতে আছে। বিশেষ করে ছোট নদীগুলো বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীগুলোর আশেপাশে কলকারখানার বিস্তৃতি ও বেহাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে এমন বিপর্যয় ঘটছে। গাজীপুর দিয়ে প্রবাহিত লবণদহ নদীর তীরে মিলেছে ২৫০টি কারখানা। এসব কারখানার শিল্পবর্জ্য এ নদীতে পড়েছে।
গবেষণায় আরও জানা যায়, দেশের একাধিক নদীর পাশে গড়ে উঠছে টাইলস, ডায়িং, ব্যাটারি কারখানা। কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের দূষণে এ ধরণের নদীর পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে এসব নদীর নাব্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। শাখা নদীগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি নালা নাকি নদী। প্লাস্টিক ও শিল্পবর্জ্যের পাশাপাশি এখন নদীগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌর বর্জ্য। সমতলের তো বটেই পাহাড়ের শহরগুলোর বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে নদীতে।
আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘নদী দূষণের জন্য অন্যতম দায়ী নানা ধরণের প্লাস্টিক বর্জ্য। বিশেষ করে চিপসের প্যাকেট ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক সবচেয়ে বেশি দূষিত করছে নদীকে। পাহাড়ের নদীগুলোর দূষণের পেছনেও কাজ করছে প্লাস্টিক। মানুষ পাহাড়ে ঘুরতে যায়, হাতে চিপসের প্যাকেট নিয়ে। খাওয়ার পর তা অবলীলায় ফেলে দিচ্ছে নদীতে। এমনকি বিরিয়ানির প্যাকেট ফেলা হচ্ছে এসব নদীতে। এসব বন্ধ করা উচিত। যেভাবেই হোক নদী রক্ষার জন্য এসব বন্ধ করা উচিত।’
কবির/এমএ/