![সহজে এলডিসি উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চাইলেন প্রধানমন্ত্রী](uploads/2024/06/25/Sheikh_hasina-alexandra-1719325710.jpg)
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের সহজ উত্তরণে সুইডেনের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা এলসিডি থেকে সহজভাবে উত্তরণের জন্য সুইডেনের সমর্থন ও সহযোগিতা চাইছি।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় তিনি এই সমর্থন কামনা করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই উত্তরণের জন্য জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদানে সুইডেনকে অনুরোধ করেছেন। জবাবে সুইডেনের দূত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তাদেরও এ ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে।’
সুইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে এবং এর বেশির ভাগই তৈরি পোশাকের (আরএমজি)। রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশ এই খাতে সহযোগিতা প্রসারিত করবে এবং বিশেষভাবে তারা জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশে তাদের প্রতিশ্রুতির কারণে সামাজিক ও পরিবেশগত দিকগুলোকে টেকসই রাখাকে অগ্রাধিকার দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ সম্পর্কে আলেকজান্দ্রা বলেন, ‘এই ডিজিটাল যাত্রায় সুইডেন বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য সুইডেনের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে জানান, তারাও অনুকূল পরিবেশ বিরাজ না করলে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বলবে না।
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার নতুন রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয় বাংলাদেশিরা তাদের চাকরি হারাচ্ছে এবং পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থানে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ ভালো ব্যবস্থা করায় ভাষানচরে রোহিঙ্গারা উন্নত জীবনযাপন করতে পারছে।’
প্রায় সাত বছর ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উদারতার প্রশংসা করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় দুর্দান্ত ব্যবস্থাপনার বাহবা দেন। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুইডেনের আগ্রহের খাত এবং আমরা এসব খাতে আরও উন্নতি ও স্বচ্ছতা আনার উপায় খুঁজে বের করতে সহযোগিতা বাড়াতে চাই।’
এ সময় মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।