![টিকিটিং-এ স্বচ্ছতা আনতে চান বিমানের নতুন এমডি](uploads/2024/06/30/545454kk-1719749357.jpg)
টিকিট নাই, অথচ বিমানের সিট ফাঁকা— এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা। তিনি বলেন, এই সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান করতে চাই। ডিজিটালের পূর্ণ সুবিধা ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা দিতে চাই।
রবিবার (৩০ জুন) কুর্মিটোলায় বিমানের বলাকা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। গত মে মাসে জাহিদুল ইসলাম ভূঞা বিমানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, টিকিট নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না আসে তা নিয়ে কাজ করছি, টিকিট নাই, আবার সিট ফাঁকা এ ধরনের অভিযোগ থেকে বের হতে চাই। এ বিষয়ে পুরোপুরি ডিজিটাল সল্যুশনের পূর্ণ ব্যবহার করতে চাই।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান তিনি। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি করে কেউ এগোতে পারে না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
গত বছর বিমান ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এ বছরও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা করে বলেন, কার্গো থেকে ১২০০ কোটি আয়ের আশা করছি। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের আইএসও সার্টিফিকেশন পেলে এটি বিশাল অর্জন হবে। বিভিন্ন বিভাগ থেকেই আমরা ভালো করছি।
তৃতীয় টার্মিনালে সেবা দিতে বিমান পুরোপুরি প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক হাজার কোটি টাকার যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। জাইকার সঙ্গে মিলে কীভাবে আরও প্রশিক্ষণ বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করছি। তৃতীয় টার্মিনালে সেবা দিতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, বিমান মিডিয়াম রিস্ক ক্যাটাগরি থেকে লো রিস্ক ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া বিমান দুটি উড়োজাহাজের পুরো অর্থ পরিশোধ করেছে। আরও দুটি শোধ হওয়ার পথে।
তিনি আরও বলেন, ২০৩৫ সালে ৪৭টি উড়োজাহাজ যুক্ত হবে। ৬টি উড়োজাহাজ ফেজ আউট হবে। ৩২টি উড়োজাহাজ যোগ হবে।
তিথি/এমএ/