![দেশে পাচারসহ অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট ডেটা নেই: সিআইডি](uploads/2024/06/30/458787872320kk-1719750755.jpg)
বাংলাদেশে পাচারসহ অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট ডেটা নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানিলন্ডারিংয়ের ডেটা আছে। আমাদের এখন জরুরি একটি কেন্দ্রীয় ডেটা সেন্টার। বিশেষ করে ফিনান্সিয়াল সাইটের জন্য। যেখানে সিআইডির প্রবেশাধিকার থাকবে এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি বিকাশ, নগদ রকেট বা উপায় যেটাই হোক, এদের কিন্তু সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এজেন্ট বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান অপরাধ করছে। সন্দেহজনক লেনদেন বা ই-মানি ট্রানজেকশন অপরাধের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটরগুলোকে আইনের আওতায় আনা উচিত।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে সিআইডি সদর দপ্তরে সাবমিশন অব রিসার্চ রিপোর্ট অন চ্যালেঞ্জ অব কন্ট্রোলিং ইলিগ্যাল মানি ট্রান্সফার থো মোবাইল অ্যাপস: এ স্টাডি অন অনলাইন গ্যাম্বলিং' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত যেসব মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে লেনদেন হচ্ছে, বিশেষ করে সন্দেহজনক লেনদেনের ক্ষেত্রে সেখানে নজরদারি রাখতেও দরকার সিআইডির অ্যাকসেস জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেসব এমএফএস বা বিকাশ, নগদ রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটরগুলোকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি। বিকাশ, নগদ, রকেট যাদের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত।
তিনি বলেন, ই-মানির ক্ষেত্রে যখন কোনো বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রেরণ করে তখন কিন্তু টাকার সোর্স তারা কখনো দেখে না। এজেন্টরা যখন টাকা মাঠ থেকে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয় তখন তারাও কিন্তু যাচাই করে না, এজেন্ট কেন কীভাবে কী উদ্দেশ্যে ই-মানি বেশি নিচ্ছে। এই টাকা সে কোথায় পেলো, খতিয়ে দেখে না।
আমরা সিআইডি এখন এই জায়গায় হাত দিয়েছি। আমরা এজেন্টদের সোর্স অব ইনকাম, কেন বেশি টাকা ই-মানি করতে চাইছে? এটা কি বৈধ না অবৈধ আয়ের টাকা? এটা কি তারই না অন্য কারো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে? কারণ বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্লক করে দিয়ে বাংলাদেশি টাকা বাংলাদেশেই সার্কুলার করা হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। বেশ কিছু মামলাও হয়েছে।
খাজা/এমএ/