ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

সরকার দমন-পীড়ন করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটিয়ে চলেছে : গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
সরকার দমন-পীড়ন করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটিয়ে চলেছে : গণতন্ত্র মঞ্চ
ছবি : সংগৃহীত

সরকার দমন-পীড়ন করে মানবাধিকার চরম লঙ্ঘন ঘটিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। অভিযোগ করে তারা বলেন, সরকার চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে এখন আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত হয়ে উঠেছে। খেয়াল-খুশি মতো হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম-খুন, গ্রেপ্তার , অত্যাচার-উৎপীড়ন এবং ফরমায়েসী সাজার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতাকে নিশ্চিহ্ন করতে চাইছে। ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতেই এসব করে চলছে সরকার। 

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নেতারা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সমাবেশ থেকে আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে জোটটি।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে এখন মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার নেই। বড় বড় প্রকল্প নিয়ে বেশি টাকা খরচ করে লুটপাটের উৎসব করছে সরকার। সরকারের কারও আয় বেড়েছে ৫০ গুণ। সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, তাদের জন্য বাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের দাম। উন্নয়নের নাম করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোট হবে না। ওই দিন দেখা যাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। অপেক্ষা করেন সব ঋণ শোধ করতে হবে। যত টাকা লুট করেছেন, তা পাই পাই করে হিসাব দিতে হবে। অপেক্ষা করেন, ঐকমত্য থাকেন। লড়াই চলবে।

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনে ও গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এ দেশের মানুষকে অত্যাচার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। বিরোধী দল করার কারণে বাবাকে না পেয়ে মাকে ধরে নিয়ে গেছে, শিশুসন্তান রাস্তায় বসে কাঁদছে। বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে গাড়ি পোড়ানোর মামলা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে দুনিয়ার দরবারে গুম-খুনের দেশ হিসেবে পরিচিত করছে এ সরকার। এ সরকারকে হটিয়ে সমতার ও মর্যাদার দেশে পরিণত করতে চাই। ন্যূনতম দায়বোধ আছে, এমন মানুষ এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না বলে মন্তব্য করেন। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এ সরকার মানবাধিকার হরণকারী সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত। প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মতো বন্ধুরা বন্ধুরা মিলে তামাশার নির্বাচন মঞ্চস্থ করছে। পোলাও বরাদ্দের মতো আসন ভাগ-বাঁটোয়ারা করছে।

জোট নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশে যে একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আছে সেটাই এখন বোঝা যায় না। এই কমিশন দেশের মানুষের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কোনো উদাহরণ আর রাখছে না। এবং তাদের ন্যূনতম দায়িত্বও পালন না করে সরকারের তাবেদারি করে চলেছে। এইভাবে তারা বাংলাদেশকে এবং দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে স্যাংশনের মুখোমুখি করছে এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ও কূটনৈতিক দিক থেকে ভয়ঙ্কর ও বিপদজনক খাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 

গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন
এরশাদুল্লাহ ও নাজিমুর রহমান

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করে ৩৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির নেতাদের দ্রুত সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস : কর্নেল অলি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস : কর্নেল অলি
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ

আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস হিসেবে কাজ করে আসছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন দেশটি কেউ আমাদের উপহার হিসেবে দেয়নি। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। ভারত পেয়েছে দ্বিখণ্ডিত পাকিস্তান। আমরা উভয়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। সুতরাং হিসাব সমান-সমান। বরং প্রায় লক্ষাধিক পাকিস্তানি সেনা সদস্যের ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সামগ্রী এবং বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার মেশিন ইত্যাদি ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার তখন একটি টু-শব্দ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকারের কোনো এমওইউ স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। বিশেষ করে, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে, তাতে দেশের জন্য অনেকগুলো ক্ষতিকর, সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ যেনতেনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের এবং জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বালাই নেই। তাদের কারণে দেশে ন্যায়বিচার নির্বাসিত, মানবাধিকার পদদলিত।’ 

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে, দলীয় নেতা-কর্মী এবং সেবাদাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বিবাদে দুর্নীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করাসহ অনেকগুলো আইনবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে, দেশের উন্নতি করার জন্য আমরা ক্ষমতা চাই। কিন্তু বাস্তবতা এবং তাদের আচরণ দুইটাই ভিন্ন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বারবার জাতির সামনে বলেছেন যে, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা কখনো ভুলতে পারবে না।’

এ সময় তিনি সংক্ষেপে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অলি আহমদ বলেন, ‘দেশ আজ দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে। সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ রয়েছে। কারণ দেশ ও প্রশাসন পুরাতন জমিদারি পন্থায় পরিচালিত হচ্ছে। যাকে ইচ্ছা ঋণ দেওয়া হয়, যাকে ইচ্ছা ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়, যাকে ইচ্ছা দুর্নীতি করার পর টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সময় দেওয়া হয়। অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গরিব কৃষকদের সুদ মওকুফ করা হয় না। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একই ধরনের আইন বা নিয়ম হওয়া উচিত। সুতরাং যে যেখানেই থাকুক না কেন, প্রত্যেককে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং এটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশেষ করে, সরকারি চাকরির নিয়োগের সময় নিজের মা, বাবা, ভাই, বোনসহ সবার আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।’

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ।

এনাম আবেদীন/সালমান/

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোনো মর্যাদা নেই বললেই চলে।

রবিবার (৭ জুলাই)  কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

জেলা জামায়াতের আমির ও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মুহাম্মদ শাহজাহান। 

গোলাম মিয়া পরওয়ার বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাধারণ জনগণ আজ দিশাহারা। দীর্ঘ ১৫ বছরে অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী। 

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জামায়াত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরও বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামের সোনালি অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহভীরু মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের আসহাবে রাসুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।

জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

ঢাকাসহ ৪ মহানগরে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঢাকাসহ ৪ মহানগরে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি
বিএনপি

কমিটি ভেঙে দেওয়ার ২৩ দিন পর নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি পেল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপি।

রবিবার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চার মহানগরের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক, ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে।

অন্যদিকে, বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানাই। তারা আমাকে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মহানগরের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও সে দায়িত্ব পালন করব। আগামী দিনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার করব।’
 
গত ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম মহানগর ও বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। পাশাপাশি সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

ছাত্রদলের কমিটি নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের ঠাঁই

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ পিএম
নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের ঠাঁই

ছাত্রদলের ২৫৭ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভেতর-বাইরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ‘বন্ধু কোটা’য় অছাত্র এবং বিতর্কিতদের কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে।

পদায়নের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সিনিয়র-জুনিয়র চেইন অব কমান্ড। কমিটিতে ঢাকার বাইরে থেকে কারও ঠাঁই হয়নি। পক্ষান্তরে মামলায় জর্জরিত এবং পরীক্ষিত প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বিতর্কিত এসব নেতার একটি তালিকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দপ্তরে জমা দিয়েছেন পদবঞ্চিত ছাত্রনেতারা। 

সংগঠনের অন্তত আটজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯০ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন। ঢাবিতে ৯০ জনের বাইরেও নেতা-কর্মী নেই বললেই চলে। কমিটিতে ২১ জন নারী থাকলেও শুধু ঢাবির ছাত্রী মাত্র একজন।

তিনি হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মানসুরা আলম। কেউ কেউ রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। আবার কেউ অতিমূল্যায়িত হয়েছেন। পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র না মানায় চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিচার-বিবেচনা করেই যথার্থ কমিটি দিয়েছে হাইকমান্ড। একটা পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ থাকতে পারে, তা নিরসনও করবেন নেতারা।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রদলের আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। এখনো ঢাকার বাইরের নেতাদের যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।’ 

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব খবরের কাগজকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা বিভিন্ন জনকে দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছেন। যারা অভিযোগ করছেন, সবাই আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মী।’ 

জানা গেছে, ছাত্রদলের কমিটি গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও শীর্ষ দুই নেতার। এদের মধ্যে যুবদল নেতা হয়েও ছাত্রদল অনেকটাই নয়নের নিয়ন্ত্রণে; যা নিয়ে নেতাদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির ৭ নম্বর সহসভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। ওই কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন ২ নম্বর সহসভাপতি এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল। ঠিক একইভাবে ঢাবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামকে ৪ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ওই কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম জিসানকে ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সোহেল ও আরিফুলের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অবমূল্যায়নের কারণে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন সহসাধারণ সম্পাদক আরিবা নিশি। সম্প্রতি পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাদের গ্রেপ্তারের পেছনেও সংগঠনের নেতাদের ইন্ধন রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

কমিটিতে নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও বিতর্কিত একাধিক নেতা 
ছাত্রদলের আট নেতার দেওয়া তথ্যমতে, ছাত্রদলের কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মির্জা মারুফ বর্তমানে ইউসিবি ব্যাংকের কর্মকর্তা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নরুজ্জামান রাসেল- দুজনই ঠিকাদার ব্যবসায়ী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান ওরফে সজীব কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সহসভাপতি আপেল মাহমুদ বিএনপির মিডিয়া সেলের ৩৫ হাজার টাকায় বেতনভুক্ত কর্মী। এ দুজনের জন্য তদবির করেছেন মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম একজন ব্যবসায়ী। সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল হোসেন রোমান ও হুমায়ূন কবির নয়ন- দুজনই বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সহসভাপতি জকির উদ্দিন আবিরের নামে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।

সহসভাপতি আনোয়ার পারভেজ ও হাবিবুল বাশার- তারা শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। সহসভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম দিপু পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিয়া আফরিন এলিনা, সহসাধারণ সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন চাঁদপুর মতলব উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম শেখ শেরেবাংলা নগর থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক আহমেদ কামরান রাশেদ সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। রাশেদের হয়ে লবিং করেছেন বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো। 

সহসভাপতি মো. জুয়েল মৃধা ও আশরাফুল ইসলাম রবিন- দুই নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জুয়েলের বয়স ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে। রবিনের এসএসসি সার্টিফিকেট নেই। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করেন। যদিও ছাত্রদল বলছে, ভুল করে জুয়েল রানা বলা হচ্ছে, এটা হবে জুয়েল হোসেন। 

সহসভাপতি জুয়েল মৃধা খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়া। তিনি ২০০৬-০৭ অনার্স ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং এসএসসি দিয়েছেন ২০০৩ সালে। তার নামে ২৬টি মামলা রয়েছে ও সাজাও হয়েছে। তার দাবি, আন্দোলনে তার মতো কেউ বেশি রাজপথে ছিল না।’

আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বলেন, ‘যারা মাঠে ছিলেন না তারা এসব গুজব রটাচ্ছেন।’ হাসনাইন নাহিয়ান সজীব নামে আরেকজন খবরের কাগজকে বলেন, ‘২০২১ সালে যুবদলের কমিটিতে তার নাম ভুলক্রমে চলে আসে। পরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’ 

কমিটিতে অতিমূল্যায়িত হয়েছেন সহসাধারণ সম্পাদক জুবাইদা ইসলাম জেরিন ও জান্নাতুন নওরীন উর্মি। এ ছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাকরি করার ও দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘বন্ধু কোটা’
সংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ‘বন্ধু কোটায়’ কয়েকজনকে পদায়ন হয়েছে। এরা হলেন সভাপতির বন্ধু সহসভাপতি অলিউজ্জামান সোহেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান। সাধারণ সম্পাদকের বন্ধু যুগ্ম সাধারণ ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান তুফান। শাকিলের বনশ্রীতে মুদি দোকান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। 

ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন বিশ্বাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘এত বড় কমিটি। আরও যাচাই-বাছাই করে নেতা সিলেক্টের প্রয়োজন ছিল। হামলা-মামলায় জর্জরিত এবং পরীক্ষিতদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর যারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তারা এই কমিটিতে কীভাবে স্থান পেলেন?’

জানা গেছে, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট দুটি বলয় থেকে নেতা হয়েছেন। ‘পকেট কমিটি’ ‘মাইম্যান’ বলয়ের বাইরেও কাউকে কমিটি রাখা হয়নি। শীর্ষ দুই পদসহ নীতিনির্ধারণী ফোরামের ৩১ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যদের ভূমিকা রাখতে পারবে না। নেতাদের বয়সও ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বেশির ভাগই পড়াশোনায় অনিয়মিত। কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মিত কোর্সে ভর্তি আছেন। নারীদের মধ্যেও অনেকেই অনিয়মিত কিংবা ‘ড্রপ আউট’ শিক্ষার্থী। 

আক্ষেপ করে নেতা-কর্মীরা বলেন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়- মোটাদাগে ঢাকার বাইরে কাউকে রাখা হয়নি। অথচ সারা দেশের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা-মামলা-নির্যাতনের শিকার হন বেশি। বিগত আন্দোলনে ঢাবির অবদান কী? একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি রুহুল কবির রিজভী ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে দেবেন। 

এসব অভিযোগের জবাবে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘২৫০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা শতভাগ যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের কাছেও সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নেই। গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে যারা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন, তাদের দালিলিক প্রমাণসহ কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। ঢালাওভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ 

তিনি বলেন, ‘যারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের আগামীতে আংশিক কমিটির আকার বাড়ালে সক্রিয়তা দেখে পদায়ন করা হবে। ঢাকার বাইরে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

ঢাবিতে কমছে নেতা-নেত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর ‘হল কমিটি’ দেওয়ার জন্য নেতৃত্ব-সংকটে ভুগছে ছাত্রদল। ছেলেদের হল কমিটি দিতে নেতা পেলেও নারীনেত্রী খুঁজে পাচ্ছে না সংগঠনটি। কারণ হিসেবে নেতা-কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে নতুন কর্মী সংগ্রহের সুযোগ কম এবং নতুন কর্মীও তৈরি করতে পারছে না ছাত্রদল। এ ছাড়া ছাত্রলীগের হামলা-মামলা এবং ক্যাম্পাস ছাড়ার ভয়ে অনেকেই ছাত্রদল করলেও তারা পদ-পদবি নিতে চান না।