ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
ছবি : খবরের কাগজ

পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড় দুই আসনের সাংসদ রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড়-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট। 

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অথচ আমাকে না জানিয়ে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আমাকে অব্যাহতি দিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলকে (নির্বাচনকালীন) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। রেলপথমন্ত্রী অন্য কারও কাছে সাধারণ সম্পাদকের পথ হস্তান্তর করতে পারেন না। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে অগঠনতান্ত্রিক এবং স্বেচ্ছাচারী একটি সিদ্ধান্তের ফলে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। তিনি একজন রেলপথমন্ত্রী হয়ে এ ধরনের বক্তব্য পাবলিক মিটিংয়ে দিতে পারেন না। তার এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘তিনি পঞ্চগড়-২ আসনে নির্বাচন করছেন। তিনি ঢাকায় থাকেন। জেলা সবরকম সাংগঠনিক কার্যক্রম আমি পালন করি। এমন কোনো দিন যায়নি দলীয় অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম না। তিনি পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ অথচ পঞ্চগড়-১ আসনে এসে একটি অনির্ধারিত সভায় তিনি এ সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন? এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি গঠনতন্ত্র পড়েছি, গঠনতন্ত্রের কথাও এমন কথা লেখা নেই যে জেলার সভাপতি তার সাধারণ সম্পাদককে সরিয়ে অন্য জনকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিতে পারেন। তিনি পঞ্চগড়-১ আসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্যে এমন একটি সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে কোনো আর্থিক বিষয় থাকতে পারে।’

এ সময় সংবাদ সম্মেলনের জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ পারভেজ হিটলার, প্রচার সম্পাদক রবিউল ইসলাম চানু, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক সপিয়ার রহমান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমানসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পঞ্চগড়-টুনিরহাট সড়কের পাশে এক পথসভায় নূরুল ইসলাম সুজন ঘোষণা দেন যে, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ জন্য তিনি দলীয় দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এমন অভিযোগে সাংগঠনিকভাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।’

রনি মিয়াজী/জোবাইদা/অমিয়/

ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
ভারতের সার্টিফিকেটে সবকিছু করছে সরকার : রিজভী
ছবি : খবরের কাগজ

‘ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, আর চীন উন্নয়নের’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভারতের সার্টিফিকেট থাকলে তারা (সরকার) সবকিছু করতে পারে। গোটা জাতিকে জিম্মি করে তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সদস্যসচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের এস এন তরুণ দে প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সরকারের অপরাধ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের রাজনীতি সমর্থন করেছে। তাই ভারত এখন আওয়ামী লীগের এনার্জি ড্রিংক। কারণ ভারত তাদের সঙ্গে থাকলে তারা সবকিছু করতে পারে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী বীজ বপন করে গোটা জাতিকে আজ বিভক্ত করেছেন। বর্তমানে এরা গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে। তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে বেনজীর-আজিজকাণ্ডের মতো আরও অনেক কাণ্ড ঘটেছে। এটা সামান্য ঘটনা, আরও বড় বড় কাণ্ড আছে। লুটপাট, কালোটাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সক্ষমতায় টিকে আছেন।’ 

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আওয়ামী আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে। যেখানে শেখ হাসিনার আত্মীয়দের পরিবারের এমপি আছে, সেখানে তো ভয়ংকর অবস্থা। সেখানে বিরোধী দলকে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। আপনারা বাগেরহাট, বরিশালে দেখেছেন কয়দিন আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়নি।’

মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ছাত্রলীগ : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ছাত্রলীগ : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্রলীগকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্রজীবন হলো প্রতিটি মানুষের পুরো জীবনের ফাউন্ডেশন। এটাকে যেভাবে তৈরি করবে, জীবনটাও সেভাবে সাজবে। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাহলে কেউ তাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক রাজনীতি করতে হবে। আগামী দিনে সমৃদ্ধ ছাত্রলীগ গঠনে যারা কাজ করবে, আমরা সবাই মিলে তাদের নতুন নেতৃত্বে আনতে চাই। ভুল থেকে সংশোধিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

সম্মেলন উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাজুল হাসান রাফি। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-অটিজমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল কবির দিপু, প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল পিয়াস।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লবের পরিচালনায় সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী প্রমুখ।

পরে সম্মেলনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদকে সভাপতি ও মেহেদি হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন
এরশাদুল্লাহ ও নাজিমুর রহমান

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করে ৩৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির নেতাদের দ্রুত সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস : কর্নেল অলি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস : কর্নেল অলি
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ

আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস হিসেবে কাজ করে আসছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন দেশটি কেউ আমাদের উপহার হিসেবে দেয়নি। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। ভারত পেয়েছে দ্বিখণ্ডিত পাকিস্তান। আমরা উভয়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। সুতরাং হিসাব সমান-সমান। বরং প্রায় লক্ষাধিক পাকিস্তানি সেনা সদস্যের ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সামগ্রী এবং বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার মেশিন ইত্যাদি ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার তখন একটি টু-শব্দ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকারের কোনো এমওইউ স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। বিশেষ করে, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে, তাতে দেশের জন্য অনেকগুলো ক্ষতিকর, সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ যেনতেনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের এবং জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বালাই নেই। তাদের কারণে দেশে ন্যায়বিচার নির্বাসিত, মানবাধিকার পদদলিত।’ 

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে, দলীয় নেতা-কর্মী এবং সেবাদাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বিবাদে দুর্নীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করাসহ অনেকগুলো আইনবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে, দেশের উন্নতি করার জন্য আমরা ক্ষমতা চাই। কিন্তু বাস্তবতা এবং তাদের আচরণ দুইটাই ভিন্ন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বারবার জাতির সামনে বলেছেন যে, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা কখনো ভুলতে পারবে না।’

এ সময় তিনি সংক্ষেপে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অলি আহমদ বলেন, ‘দেশ আজ দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে। সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ রয়েছে। কারণ দেশ ও প্রশাসন পুরাতন জমিদারি পন্থায় পরিচালিত হচ্ছে। যাকে ইচ্ছা ঋণ দেওয়া হয়, যাকে ইচ্ছা ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়, যাকে ইচ্ছা দুর্নীতি করার পর টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সময় দেওয়া হয়। অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গরিব কৃষকদের সুদ মওকুফ করা হয় না। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একই ধরনের আইন বা নিয়ম হওয়া উচিত। সুতরাং যে যেখানেই থাকুক না কেন, প্রত্যেককে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং এটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশেষ করে, সরকারি চাকরির নিয়োগের সময় নিজের মা, বাবা, ভাই, বোনসহ সবার আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।’

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ।

এনাম আবেদীন/সালমান/

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোনো মর্যাদা নেই বললেই চলে।

রবিবার (৭ জুলাই)  কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

জেলা জামায়াতের আমির ও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মুহাম্মদ শাহজাহান। 

গোলাম মিয়া পরওয়ার বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাধারণ জনগণ আজ দিশাহারা। দীর্ঘ ১৫ বছরে অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী। 

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জামায়াত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরও বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামের সোনালি অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহভীরু মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের আসহাবে রাসুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।

জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/