ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল : এবি পার্টি

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল : এবি পার্টি
ছবি : সংগৃহীত

রমজানের দুই সপ্তাহ আগে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে মনে করেন আমার বাংলাদেশ পাটি- (এবি পার্টি)। দলটি মনে করে, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় জনগণের কাঁধে চাপানো হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এসব কথা বলেন। 

এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম-সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্য সচিব অধ্যাপক আবু হেলাল প্রমুখ। 

লিখিত বক্তব্য আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ভুলনীতি ও কমিশনভোগীদের সুযোগ দেওয়ায় বিদ্যুৎ খাতে বড় আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে। যা সরকারের নিজস্ব মূল্যায়ন প্রতিবেদনেও এসেছে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধ করে বিদ্যুৎ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব, অথচ এটি না করে জনগণের কাঁধে এই বোঝা চাপানো হচ্ছে গত দুই যুগ থেকে। 

তিনি বলেন, বর্তমান চড়া মূল্যস্ফীতির সময়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মাসের খরচ, উৎপাদন খরচসহ সব খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষকে কম খেয়ে বেঁচে থাকতে হবে। গত বছর বাংলাদেশের সরকারি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে অপচুক্তি, ভুল নীতি এবং দুর্নীতির কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা ‘ডলারে’ গচ্ছা চলে গেছে। যার পরিমাণ নূন্যতম ১৪ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা বা ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। 

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে বসিয়ে ভাড়া দেওয়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়াকে ‘লুটেরা মডেল’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। 

লিখিত বক্তব্য আরও বলা হয়, সিপিডি ও টিআইবিসহ দেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছে যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও প্রক্রিয়াগত দুর্বলতার কারণে ভর্তুকি বাড়ছে আর সেই বাড়তি ভর্তুকির দায় নিতে হচ্ছে জনগণকে। বাংলাদেশের সরকার ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি’ নামে একটি আইন করে, যা জ্বালানি খাতের ‘দায়মুক্তি আইন’ বলে পরিচিত। ফলে বিদ্যুৎখাতে লোকসান আরও বাড়ছে।
 
রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের মাধ্যমে সরকার দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে উন্মোচিত হয়েছে আরও এক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী আদানি-বিপিডিবি চুক্তি।

সফিক/এমএ/

মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ছাত্রলীগ : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ছাত্রলীগ : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি : খবরের কাগজ

ছাত্রলীগকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংগঠন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্রজীবন হলো প্রতিটি মানুষের পুরো জীবনের ফাউন্ডেশন। এটাকে যেভাবে তৈরি করবে, জীবনটাও সেভাবে সাজবে। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তাহলে কেউ তাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।’ 

রবিবার (৭ জুলাই) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক রাজনীতি করতে হবে। আগামী দিনে সমৃদ্ধ ছাত্রলীগ গঠনে যারা কাজ করবে, আমরা সবাই মিলে তাদের নতুন নেতৃত্বে আনতে চাই। ভুল থেকে সংশোধিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

সম্মেলন উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিনহাজুল হাসান রাফি। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-অটিজমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল কবির দিপু, প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাফিল পিয়াস।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লবের পরিচালনায় সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম কাদের চৌধুরী প্রমুখ।

পরে সম্মেলনে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদকে সভাপতি ও মেহেদি হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন
এরশাদুল্লাহ ও নাজিমুর রহমান

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

রবিবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করে ৩৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির নেতাদের দ্রুত সময়ে নগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবরে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে এসে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস : কর্নেল অলি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস : কর্নেল অলি
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমদ

আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস হিসেবে কাজ করে আসছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। 

রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কর্নেল অলি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন দেশটি কেউ আমাদের উপহার হিসেবে দেয়নি। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। ভারত পেয়েছে দ্বিখণ্ডিত পাকিস্তান। আমরা উভয়ে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। সুতরাং হিসাব সমান-সমান। বরং প্রায় লক্ষাধিক পাকিস্তানি সেনা সদস্যের ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন ও অন্যান্য সামগ্রী এবং বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার মেশিন ইত্যাদি ভারতের সেনাবাহিনী নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকার তখন একটি টু-শব্দ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকারের কোনো এমওইউ স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। বিশেষ করে, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে যে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে, তাতে দেশের জন্য অনেকগুলো ক্ষতিকর, সংবেদনশীল এবং স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ যেনতেনভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের এবং জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতার বালাই নেই। তাদের কারণে দেশে ন্যায়বিচার নির্বাসিত, মানবাধিকার পদদলিত।’ 

এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে, দলীয় নেতা-কর্মী এবং সেবাদাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বিবাদে দুর্নীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করাসহ অনেকগুলো আইনবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় বলে, দেশের উন্নতি করার জন্য আমরা ক্ষমতা চাই। কিন্তু বাস্তবতা এবং তাদের আচরণ দুইটাই ভিন্ন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বারবার জাতির সামনে বলেছেন যে, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা কখনো ভুলতে পারবে না।’

এ সময় তিনি সংক্ষেপে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

অলি আহমদ বলেন, ‘দেশ আজ দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে। সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের যেকোনো সময় দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ রয়েছে। কারণ দেশ ও প্রশাসন পুরাতন জমিদারি পন্থায় পরিচালিত হচ্ছে। যাকে ইচ্ছা ঋণ দেওয়া হয়, যাকে ইচ্ছা ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়, যাকে ইচ্ছা দুর্নীতি করার পর টাকা পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ও সময় দেওয়া হয়। অথচ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও গরিব কৃষকদের সুদ মওকুফ করা হয় না। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একই ধরনের আইন বা নিয়ম হওয়া উচিত। সুতরাং যে যেখানেই থাকুক না কেন, প্রত্যেককে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং এটি বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশেষ করে, সরকারি চাকরির নিয়োগের সময় নিজের মা, বাবা, ভাই, বোনসহ সবার আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করতে হবে। দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।’

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ।

এনাম আবেদীন/সালমান/

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোনো মর্যাদা নেই বললেই চলে।

রবিবার (৭ জুলাই)  কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

জেলা জামায়াতের আমির ও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মুহাম্মদ শাহজাহান। 

গোলাম মিয়া পরওয়ার বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাধারণ জনগণ আজ দিশাহারা। দীর্ঘ ১৫ বছরে অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী। 

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জামায়াত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরও বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামের সোনালি অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহভীরু মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের আসহাবে রাসুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।

জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

ঢাকাসহ ৪ মহানগরে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঢাকাসহ ৪ মহানগরে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি
বিএনপি

কমিটি ভেঙে দেওয়ার ২৩ দিন পর নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি পেল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপি।

রবিবার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চার মহানগরের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক, ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে।

অন্যদিকে, বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানাই। তারা আমাকে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মহানগরের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও সে দায়িত্ব পালন করব। আগামী দিনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার করব।’
 
গত ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম মহানগর ও বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। পাশাপাশি সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/