![নাবালেগ সন্তানের কোরবানি দিতে হবে?](uploads/2024/06/08/qurvan-09-02-1717838184.jpg)
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা কতক নির্দিষ্ট দিনে গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তুর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে।’ (সুরা হজ, আয়াত: ২৮)
আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর কাছে (কোরবানির পশুর)) গোশত ও রক্ত পৌঁছায় না; বরং তোমাদের অন্তরের তাকওয়া পৌঁছায়।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)
কোরবানি অর্থ নৈকট্য অর্জন করা, ত্যাগ স্বীকার করা। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে শরিয়তের বিধান অনুসারে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা হলো কোরবানি। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু, মহিষ ও উট দিয়ে কোরবানি দেওয়া যায়। একটি গরু, মহিষ বা উট সাত শরিকে বা সাতজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যাবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা শুধু একজনের পক্ষ থেকে দেওয়া যাবে।
স্বাভাবিক জ্ঞানসম্পন্ন, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার জন্য একটি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। নিসাব হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা ও ব্যবসার পণ্য বা সম্পদ।
অনেকেই শুধু পরিবারপ্রধানের পক্ষ থেকে কোরবানি করেন। এটা ভুল পদ্ধতি। ইসলাম ব্যক্তিস্বাধীনতায় ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যে বিশ্বাস করে। তাই প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদাভাবে সম্পদশালী হলে প্রত্যেকের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।
নাবালেগ বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান ও শিশু-কিশোর নেসাবের মালিক হলেও তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। অবশ্য তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দিয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করলে তা সহিহ হবে। (বাদায়েউস সানায়ে, ৪/১৯৬; রদ্দুল মুহতার, ৬/৩১৬)। তবে নিজের সম্পদ থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কের নামে কোরবানি দেওয়া অভিভাবকের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং মুস্তাহাব। (রদ্দুল মুহতার, ৬/৩১৫)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক