![মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া যাবে?](uploads/2024/06/10/q-10-02-1718013651.jpg)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবিরা গুরুত্বসহ কোরবানি পালন করতেন। আল্লাহতাআলা বলেন, ‘অতএব আপনি আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ (সুরা কাউসার, আয়াত: ২)
এ নির্দেশের মাধ্যমে কোরবানি করা ওয়াজিব প্রমাণিত হয়। প্রখ্যাত মুফাসসির তাবারি ও ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)সহ বহু তাবেয়িনের বক্তব্য অনুসারে আয়াতে কোরবানির নির্দেশ করা হয়েছে। (তাবারি, ২৪/৬৫৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩১২৩)
মৃতের পক্ষ থেকে কোরবানি করা জায়েজ। মৃত ব্যক্তি যদি অসিয়ত না করে থাকে, তা হলে সেটি নফল কোরবানি হিসেবে গণ্য হবে। কোরবানির স্বাভাবিক গোশতের মতো তা নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবে। আর যদি মৃত ব্যক্তি কোরবানির অসিয়ত করে যায়, তা হলে এর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না; বরং গরিব-মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। (মুসনাদে আহমদ, ৮৪৫; ইলাউস সুনান, ১৭/২৬৮)
আয়েশা (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরবানির ইচ্ছা করলে দুটি মোটাতাজা, মাংসল, শিংযুক্ত, ধূসর বর্ণের ও খাসিকৃত মেষ ক্রয় করতেন। অতঃপর এর একটি উম্মতের; যারা আল্লাহর তাওহিদের ও তার নবুওয়ত প্রচারের সাক্ষ্য দেয়, তাদের পক্ষ থেকে এবং অপরটি মুহাম্মাদ (সা.) ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানি করতেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩১২২)
মৃত ব্যক্তি যদি তার পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়ার জন্য ওয়ারিশদের কাছে অসিয়ত করে যান, তা হলে মৃতের মোট সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ থেকে সেটি আদায় করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেই কোরবানির পশুর মাংস কোরবানিদাতা ওয়ারিশরা ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা খেতে পারবেন না। বরং গরিব-মিসকিনদের দান করে দিতে হবে। (ফতোয়ায়ে শামি, ৬/৩২৬)
লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক