![সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের](uploads/2023/12/05/1701751181.Sl Sports Minister.jpg)
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহের সিদ্ধান্তেই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ক্রিকেট বোর্ড। এরপর অন্তবর্তীকালীন কমিটি করা হয় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে প্রধান করে। এটি মোটেও পছন্দ হয়নি আইসিসির। আইসিসির নীতি ভঙ্গ করায় নিষেধাজ্ঞা আসে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর। সরিয়ে নেওয়া হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরও।
সাবেক এই ক্রীড়ামন্ত্রীর সিদ্ধান্তে লঙ্কান বোর্ড ভেঙে দেওয়া হলেও আদালতের সিদ্ধান্তে আবারও গঠিত হয় আগের বোর্ড। পুনরাইয় পদে ফিরে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর বিপক্ষে সরব রয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) শ্রীলঙ্কার অন্যান্য খেলাধুলার উন্নতির জন্য জাতীয় স্পোর্টস ফান্ডকে একটি তহবিল দিয়েছিল। এই তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির সেই অভিযোগ তদন্তে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
এই অভিযোগ নিয়ে এক্সে (টুইটার) সরাসরি পোস্টও করেছে লঙ্কান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসএলসি যে তহবিল বরাদ্দ করেছিল, জনাব রোশান রানাসিংহে তা কীভাবে ব্যবহার করেছেন, সেসব যথাযথভাবে না জানানোয় এই অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
এসএলসির সেই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘খরচ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রানাসিংহের দেওয়া তথ্য এবং তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) এসএলসির আবেদনের ভিত্তিতে যা জানা গেছে—এই দুইয়ের মধ্যে তারতম্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলো।’
লঙ্কান ক্রিকেটে তুলকালাম ঘটানোর পরই রোশান রানাসিংহে সাবেক হয়ে পড়েছেন। আইসিসির পক্ষ থেকে লঙ্কান ক্রিকেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসার পরেই তাকে বিয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। একই ঘটনার জেরে মন্ত্রীসভায় নিজের পদটাই হারিয়ে ফেলেন তিনি। ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানোর কারণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন এমন অভিযোগও তুলেছিলেন রানাসিংহে। স্বাভাবিকভাবেই আর পদ টেকেনি তার। এবার সেসবের সঙ্গে যুক্ত হলো নতুন আরেক অভিযোগ।
এর আগে ১০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে সাময়িক সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের সদস্য পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর আইসিসির সর্বশেষ বৈঠকেও বহাল রাখা হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা। সহসাই লঙ্কানরা সদস্য ফিরে পাচ্ছে না বলেই সেখান থেকে আসন্ন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে নিজেদের মাটিতে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে তারা।