ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

কথার লড়াই রূপ নিচ্ছে সংঘাতে

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫২ এএম
কথার লড়াই রূপ নিচ্ছে সংঘাতে

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে শোডাউন এবং কথার লড়াই এবার সরাসরি সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরির পাশাপাশি হচ্ছে মামলাও।

জেলা আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের নেতাদের পক্ষ থেকে কর্মী-সমর্থকদের সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি মানার বিষয়ে জোর দিয়ে তারা বলছেন, এভাবে মারামারি করলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন না। আর রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আচরণবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন খবরের কাগজকে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আচরণবিধিই যথেষ্ট। এসব মানানোর জন্য নির্বাচন কমিশন আছে। রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রার্থীদের সহনশীল হতে হবে। তবেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘সংঘাত কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়া হলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চললে সংঘাত হওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের সহনশীল হতে হবে। মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে ভয় পাবেন।’ প্রার্থীদের আচরণবিধি মানাতে বাধ্য করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান। 

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রথম যুদ্ধ ছিল বাছাইয়ে অভিযোগ দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিপক্ষের মনোনয়ন কোনোভাবে বাতিল করা। কেউ কেউ এতে সফলও হয়েছেন। এরপর থেকে চলছে শোডাউন এবং কথার লড়াই। যা এখন কোনো কোনো এলাকায় সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগেই মীরসরাই আসনে নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান রুহেল জমি দখলসহ নানা অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তোলেন গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার পরদিন ওই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চট্টগ্রাম শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। 

তবে কথার যুদ্ধ আর কথাতে থেমে থাকেনি। শেষ পর্যন্ত তা সংঘাতে জড়িয়েছে। গিয়াস উদ্দিনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোরশেদ খবরের কাগজকে জানান, পোস্টার লাগানোর কারণে তাদের এক সমর্থকের ওপর হামলা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ওই সমর্থকের নাম দিল মোহাম্মদ অপু (২২)। তিনি একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে। গুরুতর আহত অপুকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠিয়েছি। যতটুকু জেনেছি পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে নৌকার প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে কথার লড়াই চলছে আরও অনেক আগে থেকে। নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফ এমপি তার নির্বাচনি এলাকায় বড় বড় পোস্টার লাগিয়েছেন। সেখানে তিনি ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ভোট চোরদের ধরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। যারা নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করছেন তাদেরকে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। 

অপরদিকে, চট্টগ্রাম-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে দেশের বাইরে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি একবার খালা ডাকেন আরেকবার ফুফু ডাকেন। ৮৬ সালে জামায়াতের হয়ে নির্বাচন করেছেন। সব খবর আছে আমাদের।’

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী প্রচারকালে তার কর্মী-সমর্থকরা বাধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে ওই আসনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর অভিযোগ, পটিয়ায় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সামশুল হক চৌধুরী ষড়যন্ত্র করছেন। 

বড় ধরনের মারামারি এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া আসনে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থকের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। পরে পাল্টা হামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কয়েকজন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের ঘটনা মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের এক অনুসারী নৌকার মিছিলে হামলার অভিযোগ এনে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমানের ৯ জন সমর্থকের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান খবরের কাগজকে জানান, এ বিষয়ে তারা সতর্ক আছেন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রার্থীদের ডেকে আচরণবিধি মানার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আশা করি তারা তা মেনে চলবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাহাড়ে ভোটার আশাব্যঞ্জক ছিল না

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৩ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
পাহাড়ে ভোটার আশাব্যঞ্জক ছিল না
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার চেঙ্গী ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৭৬৯ জন। তবে একটি ভোটও পড়েনি এই কেন্দ্রে।

খাগড়াছড়ির বেশরভাগ এলাকায় ফাঁকা গুলি ছোড়া হলেও বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

জেলা শহরসহ উপজেলা সদর এবং তার আশপাশের কিছু ভোটকেন্দ্র ছাড়া দুর্গম এলাকার কেন্দ্রগুলো ছিল একেবারেই ভোটারশূন্য। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করলেও তৃণমূল বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাল ভোটের অভিযোগ তুলেছেন।

ভোটের শুরুতে গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের রিয়ংমরমপাড়া, বড়ইতলী ও নাক্রাই এলাকায় ফাঁকা গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে মানিকছড়ি উপজেলার গভামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আশপাশে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং দুপুরে জেলা সদরের স্টেডিয়াম এলাকাতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে তারা। 

এ ছাড়াও সকালে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের বড় পানছড়ি (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে চার যুবককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পানছড়ি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার অঞ্জন দাশ জানান, ছদ্মবেশে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে ওই চার যুবককে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হাসান তাদের প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহিদ হাসান, শওকত মিয়া, মো. হালিম ও মো. ফুল মিয়া। তারা সবাই পানছড়ির লোগাং এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোর সদর এবং এর আশপাশের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় কিছু ভোটার দেখা গেলেও দুর্গম এলাকাগুলোতে এবার উল্লেখ করার মতো ভোটার কেন্দ্রে যাননি। কয়েকটি কেন্দ্রে কেবল হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার চোখে পড়েছে। মূলত, খাগড়াছড়ির প্রভাবশালী একটি আঞ্চলিক সংগঠনের নির্বাচন বর্জন এবং ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেওয়ায় ভয়ে কেউ ভোট দিতে যাননি।
 
প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ভোট বর্জনের পাশাপাশি ভোটারদের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। অপরদিকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা ভোটারদের হুমকি ও ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কয়েকটি কেন্দ্রের আশপাশে গুলি বর্ষণের অভিযোগ করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধেও জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার। 

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা বলেন, ‘নির্বাচনে চরম অনিয়ম হয়েছে। সদরকেন্দ্রিক ভোটকেন্দ্রগুলোতে জাল ভোটের মহোৎসব করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।’ 

এ ছাড়া জাতীয় পাটির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজাও বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে খাগড়াছড়িতে এমন নির্বাচন কেউ কখনো দেখেনি। এটি নির্বাচনের নামে প্রহসন।’

খাগড়াছড়ি আসনে এবার মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা (সোনালি আঁশ) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তফা (আম প্রতীক)।

খাগড়াছড়ি আসনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬২ হাজার ৬১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৮৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন। নতুন ভোটার ৭৩ হাজার ৬০৩ জন। খাগড়াছড়ি আসনের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের। 

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং এখানকার ভোটের সমীকরণ সমতলের অন্যান্য সংসদীয় আসনের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে অনিবন্ধিত পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠনগুলো।

খাগড়াছড়ি জেলায় বর্তমানে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক, সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এবং মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস সংস্কার) এই চারটি গ্রুপের সশস্ত্র প্রভাব রয়েছে। তবে এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে সবচে বেশি আধিপত্য প্রসিত খীসার ইউপিডিএফের। ভোটের মাঠেও বরাবরই ফ্যাক্টর প্রভাবশালী এই সংগঠনটি। বিগত সব স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে এই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হলেও এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে তারা।

শুধু তাই নয়, এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ ও যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে পানছড়ি উপজেলায় সন্ধ্যা ৬টার পর যানবাহন চলাচল না করতে অলিখিত নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে সংগঠনটি।

এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পানছড়ি উপজেলার হারুবিল এলাকায় দুই নির্মাণ শ্রমিকের ওপর ব্রাশফায়ার করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ওই দুই শ্রমিক। সেদিন দুপুর ২টার দিকে পানছড়ি উপজেলার ধুদুকছড়া এলাকায় নির্বাচনি প্রচারকাজ করতে গিয়ে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা ও তার কর্মী-সমর্থকরা হামলার শিকার হয়েছেন।

ওই হামলায় আহত হয়েছেন প্রার্থী উশ্যেপ্রু মারমা নিজেও। ভাঙচুর করা হয়েছে তার নির্বাচনি প্রচারে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও মাইক্রো বাসসহ ১২টি মোটরসাইকেল। আর ওই ঘটনায় প্রসিত খীসার ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।

জামালপুরে ভোট বর্জন ও সংঘর্ষের মধ্যেই নির্বাচন

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
জামালপুরে ভোট বর্জন ও সংঘর্ষের মধ্যেই নির্বাচন
জামালপুর ৫ সদর আসনের ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নির্বাচনি প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর। খবরের কাগজ

জামালপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন, প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জন আহত ও পুলিশের ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

জামালপুর-৫ সদর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের তমালতলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পোলিং এজেন্টদের মারধর করে সব কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়া, প্রকাশ্য সিল মারাসহ ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে জামালপুর-৫ সদর আসনের নির্বাচন স্থগিত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু।

এদিকে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর সামছুল আলম ভোট বর্জন করেছেন। দুপুরে তার নির্বাচনি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি ভোট বর্জনের কথা জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের আশ্বাস দিলেও মাঠে নির্বাচনের সেই পরিবেশ ছিল না। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিটি কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা লাঙলের এজেন্টদের বের করে দিয়ে সিল মারার মহোৎসব চালায়।

এ ছাড়াও জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ। দুপুরে উপজেলা জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ৯২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩০টি ভোটকেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার মহোৎসব চলছে। 

অপরদিকে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও ট্রাকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় নৌকার এজেন্টসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও বেলা ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নৌকার এজেন্ট মুমিনুল ইসলাম ও রমজান আলী আহত হন। মুমিনুলকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান জানান, চর আদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেতরে নৌকার প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।

বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আরিফুর রহমান জানান, ট্রাক ও নৌকা প্রার্থীর এজেন্টদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

কেউ জাল ভোট দিতে পারবে না : আরএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৯ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
কেউ জাল ভোট দিতে পারবে না : আরএমপি কমিশনার

‘ভোট হবে ভোটের মতো’ জানিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, “কেউ কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিতে পারবে না। ভোটে কোনো ধরনের জালিয়াতিও হবে না। ভোটে অনিয়ম হবে না মানে হবে না। ভোট হবে ভোটের মতো। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

গতকাল শনিবার সকালে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া পুলিশ ও আনসার সদস্যদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে প্যারেড ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। 

আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘ভোটারদের কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের মতো করে ভোট দিয়ে বের হবেন। মাঝখানে কেউ বাধা দিতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওসিদের প্রতি নির্দেশ থাকল, ভোটকেন্দ্রে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। এর পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। অপরাধ বিবেচনায় তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে সাজা দেবেন। তা না হলে থানায় মামলা হবে। আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, একটা কথা আছে যে রাতে ভোট হয়ে যায়। তাই এবার ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। এই ভোট বাধাগ্রস্ত করতে একটা মহল নানা কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাদের মোকাবিলার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ যেন কোনো ধরনের ব্যাগ কিংবা টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারেন।

এই প্যারেডে ২ হাজার ১৯৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৩৪৪ জন আনসার সদস্য অংশ নেন। ভোটকেন্দ্রে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে তাদের দিকনির্দেশনা দেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা রাজশাহীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। এই ব্রিফিং প্যারেডে আরএমপির অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমপির অধীনে এবার সদর আসনসহ চারটি সংসদীয় এলাকা পড়েছে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২১৩টি। এর মধ্যে ২৪টি ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন।

এ ছাড়া পুলিশের ৪৭টি মোবাইল টিম, ২০টি স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম এবং আরএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট মাঠে থাকবে। এ ছাড়া র‌্যাবের চারটি দল, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ৪ প্লাটুন আনসার ও ৬ প্লাটুন সেনাসদস্য টহলে থাকবে রাজশাহীতে।

এদিকে ৭ জানুয়ারি ভোটের মাঠে থাকবেন জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও। শনিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে দেখা গেছে। রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি প্রবেশমুখ এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাসদস্যরা। 

অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনা হচ্ছে: তৈমূর

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনা হচ্ছে: তৈমূর

অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

গতকাল শনিবার দুপুরে রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় তার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘সরকার কোন মুখে বলে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছে। সরকার কী বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে, তারা সফলভাবে দেশ পরিচালনা করছে। বাসে আগুন লাগা সরকার বন্ধ করতে পারে না। ট্রেনের বগি জ্বালিয়ে দেওয়া নিত্যনৈমিত্যিক ব্যাপার হয়ে গেছে। প্রতিদিন ট্রেনে মানুষ মরছে। নির্বাচনে প্রকাশ্যে টাকা বিলি হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে পারে না। সরকার যে বারবার বলে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে, কিন্তু পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও পুলিশের অ্যাকশন নেই। সরকার কোন মুখে বলে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারছে।’

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রূপগঞ্জে শকুনের থাবা পড়েছে। ভূমিদস্যুদের শকুনি থাবা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকা বিলি হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনা হচ্ছে।’

রূপগঞ্জের ভূমিদস্যুরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা টাকা বিলি করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া ডামি প্রার্থী রাখা নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ড। কারণ তার জন্য রাষ্ট্রের ও জনগণের টাকা খরচ হয়। রূপগঞ্জে অর্থের ছড়াছড়ি খুবই ন্যক্কারজনক। নির্বাচন কমিশনকে আমি এই অর্থ বিলি বন্ধ করতে অনুরোধ করব।

খুলনায় ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
খুলনায় ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা
প্রতীকী ছবি

খুলনায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে ৭৯৩টি কেন্দ্রের ৪৭২০টি ভোটকক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকে ভোটের সরঞ্জামাদি নিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছান প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা। 

একই সঙ্গে কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তারা ভোটকক্ষ তৈরি ও ভোটকেন্দ্রের নির্দিষ্ট দূরত্বে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেন। খুলনার ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২ জন।

খুলনা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন খবরের কাগজকে বলেন, ‘এরই মধ্যে নির্বাচনের সব দাপ্তরিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এখন শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা
খুলনা জেলায় ৭৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচ শতাধিক কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ভৌগলিক অবস্থান ও এরই মধ্যে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলা হচ্ছে। সাধারণ কেন্দ্রের চেয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রে একজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ বেশি থাকবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরীর ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২২৬টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৪টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে তালিকা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। নির্বাচনের আগে ও পরে মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন থাকবে।’