ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

জবি ইনডোর ক্যারমে চ্যাম্পিয়ন মুনা

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
জবি ইনডোর ক্যারমে চ্যাম্পিয়ন মুনা
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুবিন আক্তার মুনা। ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ইনডোর গেমস ক্যারম প্রতিযোগিতায় (মহিলা একক) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুবিন আক্তার মুনা। 

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ বিল্ডিংয়ে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মুনা। 

চ্যাম্পিয়ন হয়ে মুনা বলেন, চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি, গত বছর আন্ত:বিশ্ববিদ্যায় রানার্সআপ ছিলাম, তাই নিজের প্রতি কনফিডেন্স ছিলো, এর সুবাধেই এই ফলাফল করতে পেরেছি।

জবির শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপপরিচালক গৌতম কুমার দাস বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলে আরও ভালো করবে, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ভালো করবে এই প্রত্যাশা রাখছি।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২০ মে ভাষা শহিদ রফিক ভবন চত্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া উপকমিটির আয়োজনে শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় ষষ্ঠ আন্তঃবিভাগীয় ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতা-২০২৪ উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম। এবারের ইনডোর গেমসে দাবা, ক্যারম, টেবিল টেনিসসহ ব্যাডমিন্টন ও টেনিস খেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/

বাস-টোয়াস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির দুই গবেষক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
বাস-টোয়াস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির দুই গবেষক
বাস-টোয়াস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির দুই গবেষক । ছবি: খবরের কাগজ

গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর বাস-টোয়াস ইয়ং সাইন্টিস্ট প্রাইজ ইন ফিজিক্যাল সায়েন্সেস ফর দ্যা ইয়ার-২০১৫ এবং বাস-টোয়াস ইয়ং সাইন্টিস্ট প্রাইজ ইন বায়োলজিকাল সায়েন্সেস ফর দ্যা ইয়ার-২০১৮ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) দুইজন গবেষক।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ফিজিক্যাল সায়েন্সেস-এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস-এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

ফিজিক্যাল সায়েন্স এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে দুই ক্যাটাগরিতে দুইজন গবেষককে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। 

এদিকে গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান এবং ২০২১ সালে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

ইসফাক/তাওফিক/ 

অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম
অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস
ছবি : খবরের কাগজ

উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দ্বন্দ্বে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। সেই দ্বন্দ্বের উত্তাপ লাগছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। গত কয়েক দিন ধরে উপাচার্যের পক্ষে-বিপক্ষে সভা-সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন শিক্ষকরাও। এসব কারণে ববির প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য জানান, তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে ববির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ববি প্রতিষ্ঠাকালে সহ-উপাচার্যের পদটি শূন্য ছিল। প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর গত ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ববির উপ-উপাচার্যের হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানিকে নিয়োগ দেন। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। আর একাডেমিক দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা বলেন, উপ-উপাচার্যের যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা প্রশাসনিক জটিলতা ও বিভাজন শুরু হয়। উপ-উপাচার্য যোগদানের দিন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর তিনি ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে যোগদানপত্র জমা দেন। তবে যোগদানের পর থেকে উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি আবাসন ও যানবাহন। তাকে অফিস কক্ষ দেওয়া হলেও তার কাছে কোনো ফাইল পাঠানো হতো না। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে গত ৯ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন একাডেমিক অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান উপ-উপাচার্য।

কিন্তু উপাচার্যের নির্দেশের সব বিভাগের চেয়ারম্যানদের পাল্টা চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম। চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নির্বাহী কর্মকর্তা উপাচার্য। তার নির্দেশ ও অনুমোদন ছাড়া দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা বা অন্য কেউ শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর উদ্দেশে কোনো পত্র পাঠাতে পারেন না। সংগত কারণে উপ-উপাচার্যের পত্রটি নিয়মবহির্ভূত। চিঠিটি কোনো শিক্ষককে আমলে না নেওয়ার জন্য উপাচার্যের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। 

শিক্ষক ও কর্মকর্তারা আরও জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিন্ডিকেটের দুই শিক্ষক প্রতিনিধিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বেশির ভাগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপাচার্যের ওপর ক্ষুব্ধ হন। এ ছাড়া গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তার পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে তারা উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর আগে গত নভেম্বরে ড. শুচিতা শারমিন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে ববি একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাকরিকাল গণনা সংক্রান্ত কমিটি, একাডেমিক কমিটি এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্য করেন।

এরপর শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে গত ১৯ নভেম্বর অধ্যাপক কলিমুল্লাহকে সব কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৬ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেন উপাচার্য। এই নিয়োগ নিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে আবু হেনা মোস্তফার নিয়োগ বাতিল করা হয়। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছিলেন ড. কলিমুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহচর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওইসব শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র আছে, যারা সব আমলেই উপাচার্যর কাছাকাছি থেকে সুবিধা নিয়েছিল। সেই চক্রটিই উপাচার্যকে নানা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গন্ডগোল পাকাচ্ছেন। চক্রটি রাজনৈতিক সুবিধাবাদী হিসেবে পরিচিত। তারা সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরবর্তীতে তারা সাবেক মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। 

৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সুযোগে তারাই আবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগবিরোধী সেজে উপাচার্যের কাছে মানুষ হয়ে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। উপাচার্য তাদের সেই কূটকৌশলে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। 

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে পুনর্বাসন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। তিনি ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের জন্য গোপনে সিন্ডিকেটের সভাও ডেকেছেন। আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর শুচিতা শরমিন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে একের পর এক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখে উপাচার্য একটি বলয় সৃষ্টি করছেন। জুলাই বিপ্লবের চেতনার পক্ষের শিক্ষকদের নানাভাবে হেনস্তা করছেন। দুজন শিক্ষক প্রতিনিধিকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দিয়েছেন। গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান ফ্যাসিস্টের সহযোগী দুজন শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। 

সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম মিয়া বলেন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তফা কামালের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আমি আন্দোলন করেছিলাম। এ জন্য উপাচার্য সিন্ডিকেট থেকে আমাকে বাদ দিয়েছেন।

একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, উপাচার্য দুজন শিক্ষক প্রতিনিধিকে মেয়াদপূর্ণ হওয়ার আগে সিন্ডিকেট থেকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শূন্য পদ পূরণ করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে স্বৈরাচারের দোসররা দায়িত্বে আছেন। 

এ বিষয়ে ববির উপাচার্য খবরের কাগজকে বলেন, ‘উপ-উপাচার্যের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব আছে বলে আমি মনে করি না। যেভাবে গণমাধ্যমে নিউজগুলো আসছে তা অনিয়ম ও অনুচিত হচ্ছে। সবার বিশ্ববিদ্যালয় আইন জানা দরকার। আর সঠিক জায়গায় সঠিক কাজ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি হারাবে।’ 

তিনি বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে ফ্যাসিস্টদের দিয়ে। সব রিক্রুমেন্টও ফ্যাস্টিদের। তাই সবাইকে বাদ দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হবে। যা সম্ভব নয়। তবে ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনো ভাবে করা হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকে দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে একটি চক্র পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তবে আমি কোনো ভাবেই কাউকে বরিশাল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে অস্তিত্বশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেব না। শিক্ষা গ্রহণের জন্য সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ গড়ে মানসম্মত আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা আমার দায়িত্ব। সে জন্য সব ধরনের কাজ আমি করে যাব। নতুন বাংলাদেশে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়। সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করছি।’ 

সার্বিক বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমার সঙ্গে উপাচার্যের কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব নেই। আর শিক্ষার্থীরা যে সব ইস্যুতে আন্দোলন করছেন, সেগুলো তাদের বিষয়। আমি যোগদানের পর সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কোনো দায়িত্ব পাইনি। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য উপাচার্যকে মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপাচার্য আমাকে অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি।
 
তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দেখভাল ও দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে একাডেমিক কার্যক্রমের অগ্রগতি ও সার্বিক অবস্থা জানার জন্য আমি বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভার আহ্বান করেছিলাম। কিন্তু কি কারণে তিনি পালটা একটি চিঠি দিয়েছেন আমার জানা নেই। তার পরেও তার প্রতি সম্মান রেখেই সেই সভা বাতিল করেছি। 

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙলেও চলবে অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ পিএম
ঢাবি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙলেও চলবে অবস্থান কর্মসূচি
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসা ঢাবির ৪ শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে শহিদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম। ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ও বিচার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙিয়েছেন জুলাই বিপ্লবে শহিদ রানা তালুকদারের মা রুবি বেগম। অনশন ভাঙালেও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তাদের অনশন ভাঙানো হয়। এ সময় শহিদ রানার স্ত্রী রানু তালুকদার ও ছেলে মেহরাজ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

রুবী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের স্বজন হত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালাতে হবে। কিন্তু আমরা আর কোনো সন্তান হারাতে চাই না। তাই অনশন না করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করুন। আমরা শহিদ পরিবারসহ দেশবাসী আন্দোলনে থাকব।’

এরপর তারা ডাবের পানি পান করিয়ে ছাত্রদল নেতা মো. ওমর ফারক ও আবু সাঈদ এবং বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ ও ফজলুর রহমানের অনশন ভাঙান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে আবদুল ওয়াহেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘চব্বিশের বীর শহিদ রানা তালুকদারের মা, তার স্ত্রী-সন্তানসহ এসে আমাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করলে আমরা অনশন ভাঙি। আজ থেকে যতদিন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হবে, ততদিন রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে।’

বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ বইমেলা শুরু মঙ্গলবার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০০ এএম
বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ বইমেলা শুরু মঙ্গলবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী সংবাদ সম্মেলনে শহিদ আবু সাঈদ বই মেলা-২০২৫ এর তথ্য জানান। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো শহিদ আবু সাঈদ বই মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুর ২.৩০ মিনিটে শহিদ আবু সাঈদ বই মেলার উদ্বোধন করা হবে। উপাচার্যের সভাপতিত্বে শহিদ আবু সাঈদের বাবা ও শহিদ ফেলানীর বাবা এই বই মেলা উদ্বোধন করবেন।

প্রশাসন থেকে প্রথমবারের মত আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী এই বই মেলা চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বই মেলায় থাকছে ১৮টি প্রকাশনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি সক্রিয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ মোট ৪০টি স্টল। 

তিনি আরও বলেন, বই মেলায় পাঁচ দিনব্যাপী মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। লেখক-পাঠক আড্ডা, বিতর্ক, আবৃত্তি, বুক রিভিউ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিদিন দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত। বই মেলায় ২১শে ফেব্রুয়ারি উপস্থিত থাকবেন কবি আব্দুল হাই শিকদার এবং সমাপণী দিনে উপস্থিত থাকবেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। 

উল্লেখ্য, শহিদ আবু সাঈদ বই মেলার আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.ইলিয়াছ প্রামানিক এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.শাহজাহান।

গাজী আজম হোসেন/মাহফুজ

চবিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও গণজমায়েত

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
চবিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও গণজমায়েত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও গণজমায়েত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংস্কারের দাবিতে পদযাত্রা ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় জটিল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া দূর করার পাশাপাশি টেকসই জ্বালানির জন্য একটি সুগম পথ তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চবি ক্যাম্পাসে আইএসডিই বাংলাদেশ, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর নেতৃত্বে এই প্রচারণা কর্মসূচি পালিত হয়। 

প্রচারণা কর্মসুচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, উন্নয়ন কর্মী, সামাজিক আন্দোলনের কর্মী ও জলবায়ু যোদ্ধারা অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারীরা চবি জিরো পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন প্লে কার্ড, ফেস্টুন ও দাবি সম্বলিত ব্যানার প্রদর্শন ও স্লোগান দিয়ে পদযাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অনুষদের এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। যেখানে পুরনো অবকাঠামো, অসংগঠিত নীতিমালা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগের মতো বাধাগুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। 

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ’র নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হবার আগেই বিদ্যুৎ সংকট চরমে পৌঁছেছে। তাই দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানো না হলে জ্বালানি সংকট সমাধান কঠিন হবে। আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র কার্যকর নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তর নিশ্চিত করতে পারি।

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি ও এনভায়রনমেন্ট শিক্ষক ড. খালেদ মিজবাহউজ্জমান, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ড. চন্দন কমার, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি রাব্বি তৌহিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলাম, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ইয়ুথ পিপলস অব বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক সিরাতুল মুনতাহা, আইএসডিই বাংলাদেশ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আবু হাসান আজমীসহ স্থানীয় নেতা, শিক্ষার্থী এবং পরিবেশ কর্মীরা অংশগ্রহণ করে। 

মাহফুজ/