ঢাকা ১২ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

‘বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন করা প্রয়োজন’

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
‘বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন করা প্রয়োজন’
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘থ্রাইভ ইন বাংলাদেশ: অ্যাকশনেবল ইনসাইটস অ্যান্ড সল্যুশনস ফর কোরিয়ান বিজনেস’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা বলেন, দেশে অবকাঠামো, বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রবাহ ও টেকসই অর্থায়নকে আরও বেগবান করার ওপর জোর দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার সুযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বাংলাদেশে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র দূতাবাস, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ ব্যাংক ও কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (কেবিসিসিআই)। 

অনুষ্ঠানে দেশে কোরিয়ার ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। অবকাঠামো, বাণিজ্য, বিনিয়োগ প্রবাহ ও টেকসই অর্থায়নকে আরও বেগবান করার ওপর জোর দেন বক্তারা। দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার ওপর আলোচনা করা হয়। সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নীতিনির্ধারক ও খাতসংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। 

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধিতে অবিরাম সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস হিসাবে দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে কোরিয়া। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এ দুই দেশের পারস্পারিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগে বৈচিত্র্য বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, কার্যকরভাবে বিনিময় হারের পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ ও অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর সমাধানের সুযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যেকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে টেকসই অর্জন ও বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতিনির্ভর দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া। আলোচনায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সহযোগিতা, তহবিলনির্ভর প্রকল্প, কোরিয়ান সরকারের কাছ থেকে গৃহিত ঋণ এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের বিষয়গুলো এসেছে। যদিও বাংলাদেশে শ্রমিক খরচ কম, কিন্তু ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির যুগে অন্যান্য দিকেও দেশটির সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশকে অবশ্যই ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে হবে। গুণগত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

বিডার নির্বাহী সদস্য (আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রচার) মোহসিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং ও বিডার বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচেষ্টার সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত করা আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা এবং বিভিন্ন খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা আমাদের উদ্দেশ্য। বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে আমরা বিশ্বব্যাংকের সুপারিশকৃত বিভিন্ন সংস্কার বাস্তবায়ন করেছি এবং বিডার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচিও তৈরি করেছি।’

তিনি ১২৪টি পরিষেবা সম্বলিত বিডার অনলাইন ওয়ান-স্টপ সার্ভিস পোর্টালে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচিতে সংস্কারের সাতটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির মহাপরিচালক স্যামসু কিম বলেছেন, ‘কোরিয়ার কোম্পানিগুলো ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পে বিনিয়োগ করেছে। তবে অন্যান্য উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ এখনও কম। টেক্সটাইল শিল্পের জন্য কৃত্রিম ফাইবারের সাপ্লাই চেইনের মতো শিল্প অবকাঠামো উন্নত করা অপরিহার্য। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান ও কর প্রক্রিয়াকে সহজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, লাইসেন্সিং, প্রশাসনিক পদ্ধতি ও শুল্কছাড়পত্রে বিলম্ব কমানে গেলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের পরিচালক আবু ছালেহ মুহম্মদ সাহাব উদ্দীন বলেন, ‘কোরিয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। কোরিয়ার একাধিক প্রতিষ্ঠান বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সেমিনার আয়োজনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক জুন ২০২৩ নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীরা যে কোনো স্থান থেকে বিনিময় ক্ষতি কমানোর উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় ইকুইটি তহবিল ধরে রাখতে পারবেন। বিনিয়োগকারীরা তাদের লভ্যাংশ বাংলাদেশের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারবেন এবং এই অ্যাকাউন্টে থাকা ব্যালেন্স বিদেশে পাঠাতে বা আরও পুনঃবিনিয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীরা মূল্য প্রদর্শন করে যেকোনো ক্রেতার কাছে শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন।  বিনিয়োগকারীরা এখন বিডার ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অস্থায়ী অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ব্যক্তিগত উপস্থিতি বা স্থানীয় সহায়তা প্রয়োজন হবে না। বাংলাদেশে বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান স্থানীয় ব্যাংক থেকে চলতি মূলধন ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণসহ নমনীয় অর্থায়নের সুযোগ নিতে পারছে। কোরিয়ার সংস্থাগুলো বিডা নির্দেশিকা অনুসারে প্রকল্প-সংলগ্ন শাখা স্থাপন করতে এবং তাদের সদরদপ্তর থেকে পুঁজি স্থানান্তর করতে পারে।’ 

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের করপোরেট কভারেজ বিভাগের প্রধান এনামুল হক বলেছেন, ‘এ যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য বিডার ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম, বিশ্বব্যাংকের নীতি কাঠামোর সংস্কার অ্যাজেন্ডা এবং সম্মানিত গ্রাহকদের সহায়তায় একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে খাতসংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনকে বেগবান করা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিচালনায় কোরিয়ান ব্যবসায়িকদের সহায়তা করার জন্য বদ্ধপরিকর।’

দেশের একটি প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

দেশে কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে ও  সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনায় সাহায্য করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ গঠন করেছে কোরিয়া ডেস্ক।

কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায় সহায়তার জন্য ব্যাংকটি কোরিয়ান ও ইংরেজি উভয় ভাষায় রচিত ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি গাইড বই  চালু করেছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কোরিয়ার গ্রাহকদের জন্য বাংলাদেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সঙ্গে সুবিশাল নেটওয়ার্ক তৈরির পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াতেও একটি শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করে। 

এ লক্ষ্যে নগদ ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য পরিষেবা, সিকিউরিটিজ পরিষেবা, ডিজিটাল ব্যাংকিং, আর্থিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প অর্থায়নসহ অন্যান্য বিশেষায়িত অর্থায়ন সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাপক সহায়তা করে ব্যাংকটি। 

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

রোমো রউফ চৌধুরী আবারও ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
রোমো রউফ চৌধুরী আবারও ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত
রোমো রউফ চৌধুরী

আবারও ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রোমো রউফ চৌধুরী। 

রবিবার (২৩ জুন) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

রোমো রউফ চৌধুরী ব্যাংকটির একজন স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর পরিচালক। তিনি লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রিধারী। ৩০ বছরেরও অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রোমো রউফ চৌধুরী বর্তমানে র‌্যানকন গ্রুপের চেয়ারম্যান। 

গ্রুপটির ৩০টিরও বেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো র‌্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেড, র‌্যানকন মোটরস লিমিটেড, র‌্যাংগস লিমিটেড, র‌্যাংগস প্রপার্টিজ লিমিটেড, র‌্যানকন অটোমোবাইলস লিমিটেড, র‌্যানকন ওশেনা লিমিটেড, র‌্যানকন সি ফিশিং লিমিটেড ও র‌্যানকন ইলেকট্রনিকস লিমিটেড।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

প্রাইম ব্যাংকের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম
প্রাইম ব্যাংকের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

চট্টগ্রামে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি’র এএমএল অ্যান্ড সিএফটি ডিভিশনের উদ্যোগে ‘এএমএল অ্যান্ড সিএফটি কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গত ৮ জুন নগরীর একটি কনফারেন্স হলে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন।

প্রাইম ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২২টি শাখার অপারেশন ম্যানেজার ও ম্যানেজারসহ মোট ১৫০ জন কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে মোট চারটি সেশনে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধবিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। 

রিসোর্স পার্সন হিসেবে সেশনসমুহ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান এবং এএমএল এন্ড সিএফটি ডিভিশনের কর্মকর্তারা।

প্রশিক্ষণে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

পূবালী ব্যাংকের ঢাকা স্টেডিয়াম শাখা নতুন ঠিকানায়

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
পূবালী ব্যাংকের ঢাকা স্টেডিয়াম শাখা নতুন ঠিকানায়

পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ঢাকা স্টেডিয়াম কর্পোরেট শাখা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন শাখা উদ্বোধন করেন ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পূবালী ব্যাংকের ঢাকা স্টেডিয়াম কর্পোরেট শাখা প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক আলমগীর জাহান। 

সংস্থাপন ও সাধারণ সেবা বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক মোসাম্মৎ সাহিদা বেগম; নারায়ণঞ্জ অঞ্চল প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা বলেন, বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে ১৯৫৯ সাল থেকে গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা দিয়ে আসছে পূবালী ব্যাংক। গ্রাহক সেবা বাড়ানোর জন্য এবং ব্যাংকের আধুনিক সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ঢাকা স্টেডিয়াম কর্পোরেট শাখা নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। তিনি শাখার প্রাত্যহিক কার্যক্রমের সুষম সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজের গতি বাড়াতে দিকনির্দেশনা দেন এবং ব্যাংকের ব্যবসা বাড়াতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ঊর্ধতন নির্বাহী, গ্রাহক ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/

দেশের শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়া মারা গেছেন

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
দেশের শীর্ষ করদাতা কাউছ মিয়া মারা গেছেন
কাউছ মিয়া

টানা ১৫ বছর ধরে দেশের শীর্ষ করদাতা ও হাকিমপুরী জর্দা প্রস্তুতকারী কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. কাউছ মিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার (২৪ জুন) রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

কাউছ মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বাদ জোহর ঢাকার আরমানীটোলা মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। 

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া প্রতিবছর সর্বোচ্চ করদাতা হন। ২০০৮ সাল থেকে টানা ১৫ বছর তিনি সর্বোচ্চ করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন।

জানা যায়, ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এক নম্বর করদাতা হয়েছিলেন কাউছ মিয়া।

কাউছ মিয়ার জন্ম চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরে। তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও আট মেয়ে রেখে গেছেন।

অমিয়/

আমান্ বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে জার্মান দূত

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
আমান্ বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে জার্মান দূত
আমান্ বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স ইয়ান রল্ফ ইয়ানোভস্কি

গাজীপুরের মাওনায় আমান্ গ্রুপ জার্মানির সিস্টার কনসার্ন আমান্ বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স ইয়ান রল্ফ ইয়ানোভস্কি। 

সোমবার (২৪ জুন) তিনি এ প্ল্যান্ট পরিদর্শনে যান।

এ সময় আমান্ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, এফসিএ চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্সকে স্বাগত জানান। 

তিনি বাংলাদেশে আমান্ এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যাত্রা ইতিহাস তুলে ধরেন। 

সেইসঙ্গে তিনি প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত গৃহীত উদ্যেগগুলো সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।

পরবর্তীতে, চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স আমান্ বাংলাদেশের শেড গ্যালারি উদ্বোধন করেন এবং বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপন করেন।

১৮৫৪ সাল থেকে প্রায় দুই শ বছর ধরে আমান্ উচ্চ-গুণগত মানসম্পন্ন সেলাই (সিউইং থ্রেড) ও এম্ব্রয়ডারি সুতা এবং স্মার্ট ইয়ার্ন তৈরিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উৎপাদকদের মধ্যে অন্যতম নেতৃস্থানীয় হিসাবে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যেগে আমান্ গ্রুপের সিস্টার কন্সার্ন আমান্ বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করে।

এ সময় চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স এই সফরের আয়োজন করার জন্য মো. রোকনুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশে জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক কাজ সহজতর করতে উন্নয়ন এবং সহযোগীতার সম্ভাবনা সংক্রান্ত কিছু বিষয় তুলে ধরেন।

এ সময় আমান্ বাংলাদেশের কো- চেয়ারম্যান এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসনাত মোশাররফসহ প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/অমিয়/