ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

উপকূলে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুঝুঁকি

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
উপকূলে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুঝুঁকি

খুলনার উপকূলীয় কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সর্বশেষ ২০ জুন কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় একই দিনে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়। বৃষ্টির সময় খোলা জায়গায় নদী বা ঘেরে মাছ ধরার সময়, মাঠে গরু আনতে যাওয়া বা কৃষিকাজে থাকার সময় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বেশি। এ ছাড়া নিজ ঘরে অবস্থান, মোবাইল টাওয়ারের নিচে থাকা ও ইটভাটায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বজ্রপাতে হতাহতদের বিবরণ ও অনুদানের তালিকা থেকে এসব তথ্য জানা যায়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ জুন বজ্রপাতে কয়রার ঘড়িলাল গ্রামে মোহাম্মদ আলীর ছেলে এনায়েত আলী (৩৭), মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে আল আমিনের ছেলে নাজমুল (৮), পাইকগাছায় দেলুটি ইউনিয়নের পতিত মণ্ডলের ছেলে শ্রীকান্ত মণ্ডল (২৫) ও বটিয়াঘাটায় মনি চৌকিদারের ছেলে আল মামুন (১৭) মারা যান। এর মধ্যে পাইকগাছার শ্রীকান্ত মৎস্য ঘেরের কর্মচারী ছিলেন। বৃষ্টিপাতের সময় ঘেরের একটি ঝুপড়ি ঘরে অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া বেড়াতে গিয়ে বৃষ্টির মধ্যে আলাদা একটি মৎস্য ঘেরের বাসায় আশ্রয় নেন কয়রার এনায়েত ও নাজমুল। হঠাৎ সেখানে বজ্রপাত হলে তাদের মৃত্যু হয়। 

একইভাবে ৫ জুন খুলনার ডুমুরিয়া খর্নিয়ায় ত্রিশ বছর বয়সী দিদারুল শেখ, ১১ মে ডুমুরিয়া মাগুরাঘোনা গ্রামে সোহান গাজী (২৮), ৩ এপ্রিল ডুমুরিয়ায় ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৭) বজ্রপাতে মারা যান।

পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রাম কৃষ্ণ টিকাদার খবরের কাগজকে বলেন, কয়েক বছর ধরেই উপকূলীয় এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এই এলাকায় বজ্রপাতে যারা মারা যান, তাদের বেশির ভাগই দরিদ্র জেলে বা কৃষক, যারা জীবনের তাগিদে বৃষ্টির মধ্যেও নদীতে মাছ ধরা বা খোলা মাঠে কাজ করেন। এ ছাড়া বাড়ি ফেরার পথে বা ঘরে অবস্থানের সময় বজ্রপাতেও কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় মাঠে বা খোলা জায়গায় যেখানে উঁচু কোনো গাছ নেই বা বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা নেই, সেখানে যারা অবস্থান করেন বজ্রপাতের মৃত্যুঝুঁকি তাদের বেশি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশে গড়ে বজ্রপাতে কম-বেশি ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়।

খোলা জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি
খুলনা জেলা প্রশাসন ২০১৫ থেকে ২০১৮, ২০২২ ও ২০২৩ সালে বজ্রপাতে নিহত ৪১ জনের পরিবারকে প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা অনুদান দেয়। তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছায় বৃষ্টির মধ্যে নদীতে বা ঘেরে মাছ ধরার সময় ১৮ জন, জমিতে কৃষিকাজ বা গরু নিয়ে ফেরার পথে ১৫ জন, মোবাইল টাওয়ারের নিচে অবস্থানের সময় একজন, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুজন ও ইটভাটায় কাজ করার সময় দুজনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনের মৃত্যু হয় নিজ ঘরে অবস্থানের সময়ে। নিহতদের মধ্যে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সের ২১ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১-৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন ও শিশু চারজন। নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৩০ ও ১১ জন নারী আছেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস’- এসএসটিএএফ ফোরাম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বজ্রপাতে মারা যাওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল জানান, বৃষ্টির মধ্যে অসতর্কতাবশত খোলা মাঠে থাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাই বেশি। এ ছাড়া নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। 

মোবাইল, ব্যাটারি বাড়ায় বজ্রপাতের ঝুঁকি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, মোবাইল, ব্যাটারি (স্থির বিদ্যুৎ) বা এ ধরনের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ব্যবহারের পর তা প্রকৃতিতে ফিরে যায়। মূলত যেখানে ঘরবাড়ি বা গাছপালা থাকে না- এমন খোলা জায়গায় এসব জমা হয়। এখানেই বজ্রপাতে বিদ্যুতের আকর্ষণটা বেশি থাকে। ফলে খোলা জায়গায় ধানখেতে মানুষ বেশি মারা যায়। মোবাইল, ব্যাটারি, চার্জার ব্যবহারের মাত্রা যত বাড়ছে, বজ্রপাতের ঝুঁকিও তত বাড়ছে। 

তিনি বলেন, একজন মানুষের পায়ে যদি স্যান্ডেল থাকে, তা হলে তার বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। গ্রামে খোলা মাঠে যারা কাজ করেন, তাদের পায়ে স্যান্ডেল থাকে না। ফলে বিদ্যুৎটা তার সারা শরীরে প্রবাহিত হয়।

বজ্রপাতে মৃত্যু এড়াতে বৃষ্টির মধ্যে যারা মাঠে-ঘাটে কাজ করেন, তাদের রাবারের স্যান্ডেল পরে কাজে যাওয়া উচিত। এ ছাড়া বেশি বেশি গাছ লাগানো, বজ্রনিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া উচিত। 

ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
ঝালকাঠিতে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঝালকাঠির রাজাপুরে জমি ও পূর্বশত্রুতার জেরে আসিফ রহমান লিয়ন নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ জুন) ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাশকাঠি গ্রামের কাটাখালী বাজারে লিয়নকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। লিয়ন মধ্য চরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমের ছেলে এবং খুলনা বিএল কলেজে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের বাবা শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘জমি ও পূর্ববিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার ছেলে লিয়ন ও অনিকের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ আলম সিকদারের ছেলে সজিব, হাসান, লিখন, চয়নসহ ১০-১৫ জন। হামলাকারীরা অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিয়নের মাথায় ও পেটে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। লিয়নকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা লিয়নকে মৃত ঘোষণা করেন।’ 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সালেক নামে একজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন। নিহত সালেক ক্যাম্প-৮ ইস্ট ডি-৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, সকালে মো. সালেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫০ ব্লক থেকে তার নিজস্ব ব্লকে আসার পথে তিন-চারজন অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে পথেই সালেকের মৃত্যু হয়। 

ওসি বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’ কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসছিল দুইজনের মরদেহ
ছবি : খবরের কাগজ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের গলনার চর ও বাইনকার চর এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সোনা মিয়া (৫০) ও ফারুক হোসেন (৪৮) একই উপজেলার কাতলামারি ও দক্ষিণ উদখালি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুইদিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ওই দুই ব্যক্তি। পরে খোজাখুঁজির একপর্যায়ে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে স্বজনরা সোনা মিয়া ও ফারুক মিয়ার পরিচয় নিশ্চিত করেন। 

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিফুজ্জামান বসুনিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

রফিক খন্দকার/ইসরাত চৈতী/

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার দুটি পৃথক স্থানে দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।

নিহতদের মধ্যে কাজল (৬০) মাগুরা সদর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবমোড় এলাকার মৃত গোলামের ছেলে। আর আবু ইছা (৬৫) সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের বুধইর পাড়া এলাকার মোকলেস বিশ্বাসের ছেলে।
 
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজল তার বাড়ির একটি আম গাছের ডাল ছাঁটায় করতে গিয়ে নিচে পড়ে যান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই সময় আবু ঈছা বাড়ি তৈরির জন্য ইটবোঝাই নাটা গাড়ি (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত এক ধরনের যান) ধাক্কা দিয়ে উঠানোর সময় গাড়িটি পিছনে সরে যায়। এতে নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
 
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল জানান, তাদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাশেমুর রহমান/পপি/

চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
চাকরির প্রলোভনে ভারতে পতিতালয়ে বিক্রি, ২ নারী গ্রেপ্তার
আটক দুই নারী। ছবি: খবরের কাগজ

বিভিন্ন পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (২৮ জুন) র‍্যাব ৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন জালিয়াপাড়া এলাকার মো. তারেকের স্ত্রী ঝুমু (৩০) ও
বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বালুচড়া এলাকার বাসিন্দা পারভিন আক্তার (২৫)।

র‍্যাব জানায়, সম্প্রতি সময়ে মানব পাচার চক্রের প্রলোভনে পড়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি হওয়া এক নারী পালিয়ে আসার পর তার লোমহর্ষক বর্ণনায় বেরিয়ে আসে নারী পাচার চক্রের ভয়াবহ সিন্ডিকেটের কথা। ওই নারী গত ২৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে, আসামি ঝুমু ও পারভিন আক্তার চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন বালুচড়া এলাকার নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশনে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই মামলার আরেক আসামি মো. তারেককে গত ২৪ জুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আমাদের অভিযানে এ চক্রের আরও দুইজন ধরা পড়ে। তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই সিন্ডিকেট চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি থেকে শুরু করে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মানব পাচার চক্রে বেশ কিছু দালাল জড়িত। সীমান্ত পারাপার করতে সহায়তা করে লাইনম্যান। আইনি পদক্ষেপ নিতে তাদের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

তারেক মাহমুদ/ইসরাত চৈতী/