![ঝুঁকিতে গাবুরা, বেড়িবাঁধ ধসে নদীগর্ভে বিলীন ৫০ মিটার বাঁধ](uploads/2024/06/23/satkhira-1719118963.jpg)
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ইউনিয়নের ৯নং সোরা, ডুমুরিয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুততম সময়ের ভেতরে বাঁধ সংস্কার করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে প্লাবিত হতে পারে সমস্ত এলাকা। ভেসে যেতে পারে অসংখ্য মাছের ঘের।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে গাবুরার ৯ নম্বর সোরা গ্রামের মালী বাড়ি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো-১) ১৫নং পোল্ডারে ভাঙন দেখতে পান স্থানীয়রা।
এ সময় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করলেও দুপুরের পর ৪০ থেকে ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের ফলে বর্তমানে বাঁধের কিছু অংশ (দুই-তিন হাত) অবশিষ্ট রয়েছে। এটিও যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
সোরা গ্রামের বাসিন্দা হুদা মালী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাঁধের যে স্থান ধসে গেছে সেখানে আর মাত্র হাত দুই অবশিষ্ট আছে। বাঁধের মাটি নদীর ঢেউয়ে ধুয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ ভাঙনের পরিধি বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কখন কী ঘটবে সেটা বলা যাচ্ছে না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুনজুর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে এলাকার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ওই সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলেও তারা গুরুত্ব দেননি। পাউবোর অবহেলার খেসারত ভোগ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম খবরের কাগজকে জানান, আকস্মিক বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধের ভয়াবহ অবস্থা। বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। বাঁধ মেরামত না করা পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবে না।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দীন জানান, বাঁধের ৪০-৫০ মিটার এলাকাজুড়ে অবস্থা একটু খারাপ। আকস্মিক এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি।
নাজমুল শাহাদাৎ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/