![জাবিতে গণধর্ষণ : মামুন-মুরাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি](uploads/2024/02/09/1707488009.87878kk.jpg)
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম দুই আসামি মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে আদালত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠান।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২-এর বিচারক শেখ মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতে আশুলিয়া থানার জিআরও মো. সাইফুল ইসলাম শুক্রবার দৈনিক খবরের কাগজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারীসহ এই দুজনকে গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে ও ধর্ষণে সহায়তাকারী মো. মুরাদকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বহিরাগত ও মাদক ব্যবসায়ী মামুন প্রায় ২০ বছর আগে জুরাইনে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ৮টি মামলাও রয়েছে এবং ৪ বার জেল খেটেছেন তিনি।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া মুরাদ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। তার বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামে।
বুধবার রাতে র্যাব-২, র্যাব-৪ এবং র্যাব-৫-এর টিম টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও তারা গণধর্ষণে তাদের জড়িত থাকা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন বলে র্যাব জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার মামুন ৬ থেকে ৭ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রতি মাসে কয়েক দফায় প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার ইয়াবা সংগ্রহ করে তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাসহ আশপাশের এলাকা ও বেশ কিছু মাদকসেবী শিক্ষার্থীর মধ্যে তা সরবরাহ করতেন।
মামুন মাদক বিক্রির সুবাদে ধর্ষণ মামলার ১ নম্বব আসামি মোস্তাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। সেই সুবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে মাদকসহ রাতে থাকতেন এবং অন্য ছাত্রদের সঙ্গে মাদক সেবন করতেন।
এমএ/