ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১৬

প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
মোহাম্মদপুরে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১৬
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) র‍্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান ও চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. লিটন মিয়া ওরফে সিএনজি লিটন (২৮), ইসমাইল (২১), আরিফ (২১), ইমন (২৫), নাজমুল (২৩), নাদিম (৩৩), মো. ওয়াকিল (৩৬), মো. মোজাক্কিন (২০), মান্না (২১), সোহেল (৩৫), জাহিদ (৩৫), বেলাল (৩০), মো. দিপু (২১), মো. শান্ত (২০), মো. তাওসীফ (১৯) এবং মো. তপু (১৯)। 

সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম জানান, গতকাল র‍্যাব-২-এর একাধিক আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান ও চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ডেগার, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, এন্টি কাটার ও বিভিন্ন দেশীয় ধারালো অস্ত্র। 

তিনি জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। বিভিন্ন মার্কেট ও সড়কগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করছিল তারা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বেড়িবাঁধ এলাকায় চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে রাতের আঁধারে একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যেত। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বেড়িবাঁধসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত।

লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ২
ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ায় মানব পাচারকারী চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইমের একটি টিম। শুক্রবার (২৮ জুন) সিআইডি সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাদশা মিয়া  ও আরজু বেগম। আরজু বেগম বাদশার সহযোগী। দুজনেরই বাড়ি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার পাহাড়িয়াখালীতে। মানব পাচারকারী চক্রটি বিদেশগামী অসহায় লোকদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে প্রথমে ভিজিট ভিসায় দুবাই নিয়ে যায়। পরে লিবিয়ায় অবস্থানরত আরজু বেগমের স্বামী রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে আটক করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অন্য চক্রের কাছে হস্তান্তর করে।

সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. আজাদ রহমান জানান, এ চক্রটি ভিকটিমদের পরিবারের কাছে ইমোতে কল দিয়ে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করত। মুক্তিপণ পাওয়ার পর ভিকটিমদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠানো হতো।

তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় অনেক ভিকটিম সাগরে মৃত্যুবরণ করেছেন। কিছু লোক উদ্ধার হয়েছে, আর অল্পসংখ্যক ইউরোপে পৌঁছাতে পেরেছেন।’

খাজা/এমএ/

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি, গ্রেপ্তার ২
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তেজগাঁও থানার বাউলবাগ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও মো. মোরশেদ (২৯)।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। 

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম ট্রাক ভাড়া করে এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি করেন। সাদ্দাম ট্রাক ভাড়া করে প্রথমে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্পটে ঘোরেন। এরপর সুযোগ বুঝে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন মালামাল চুরি করেন। বৃহস্পতিবার এক্সপ্রেসওয়েতে দায়িত্ব পালনকালে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা সিসিটিভিতে মালামাল চুরির বিষয়টি শনাক্ত করেন। সাদ্দাম এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে সেখানে থাকা রোড ব্যারিয়ার চুরি করেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সাদ্দাম পুলিশকে জানান, চুরি করা এসব মালামাল তিনি বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির কাছে বিক্রি করেন৷

গ্রেপ্তার সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে।

খাজা/এমএ/

কাজাকিস্তানের নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
কাজাকিস্তানের নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত কাজাকিস্তানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় এক বেলারুশ নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না হওয়ায় দুই বেলারুশ নাগরিককে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ট্রেস্ট রোসেমের কর্মকর্তা মাতাভিয়েভ ভ্লাদিমির (৪৩)। 

এই মামলা থেকে উরবানোভিচাস ভিটালি এবং ফেডারোভিচ গেনেডি নামে অপর দুই বেলারুশ নাগরিক খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ মার্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিদেশিদের আবাসিক এলাকা নতুনহাট গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে সেভেত্স ভ্লাদিমির নামের এক কাজাকিস্তান নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ এবং তার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তিন বেলারুশ নাগরিককে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিকিমত কোম্পানির পরিচালক ভেদোরোভ ইউরি। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৭ মে তিন বেলারুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুকুল বিশ্বাস ও হেদায়েত উল ইসলাম। 

এ ছাড়াও দোভাষী হিসেবে বাদীপক্ষে এস এম আরিফ আলম এবং আসামির পক্ষে কে এম মুরাদুজ্জামানন সহযোগিতা করেন।

পার্থ হাসান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি
ছবি : সংগৃহীত

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন শতকোটি টাকা। 

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত আইজিপি জানান, গ্রেপ্তাররা হলেন মেহেদী হাসান (২৫), তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

এ চক্রের নেতৃত্ব দিতেন মেহেদী হাসান ও জাহিদ বিন সুজন। তারা আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্ট ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিতেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হতো নগ্ন ছবি। এরপর শুরু হতো ব্ল্যাকমেইল। শুধু তা-ই নয়, ফাঁদে পড়া মেয়েদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হতো। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে যৌন ব্যবসা চালাতেন এই দুই ভাই। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করে সেখানে থাকা লাখো দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হতো। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। 

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করার কাজে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয়। এরপর ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের দেহ ব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর কার্যক্রম চালায়। চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণী পারিবারিক ভাঙনের শিকার এবং আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করে। কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এরপর বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নেয়। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদামতো টাকা ও প্রয়োজন মেটায় তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।’

তিনি জানান, এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।  খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলেন। জাহিদ কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা দুজন আরও কিছু সহযোগী নিয়ে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি করতেন এবং সেগুলো টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দিতেন। 

এসব অনৈতিক কাজের মাধ্যমে গত সাত বছরে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে দাবি করে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তাদের আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।’

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকেন। অর্থ লেনদেনের জন্য চক্রটি ব্যবহার করত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস। এ ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রটি তরুণীদের সঙ্গে ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর তাদের বাধ্য করা হতো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌনদাসীতে পরিণত হন শত শত তরুণী।

এমপি আনার হত্যা : খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
এমপি আনার হত্যা : খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ২
ছবি : সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির আভিযানিক দল।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনার খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। পরে ১৯ মে দেশে ফিরে আসেন তারা। তারা দুজনই খুলনার ফুলতলার বাসিন্দা। হত্যার মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুই আসামির কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। 

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ৬ জন গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। হত্যা নিশ্চিত হওয়ার ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এমপি আনারের মরদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যার দিকে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আনারের মরদেহের টুকরো কি-না, সেটা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

সালমান/