![পাবনায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা](uploads/2024/06/22/Pabna-1718995484.jpg)
পাবনার সুজানগর উপজেলায় পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২১ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের রানীনগর ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আল-আমিন মিয়া (৩৮) রানীনগর ইউনিয়নের মৃত শহিদুর রহমান মিয়ার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে যুবলীগ নেতা আল-আমিন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রানীনগর ক্লাবের সামনে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আল-আমিনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার রাজু আহমেদ বলেন, আল-আমিন রানীনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মাসুদ আলম বলেন, ‘সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আগে থেকে ওই এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর সূত্র ধরে শুক্রবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা গেছেন। আমরা ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
প্রথম ধাপে গত ৯ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়লাভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। নির্বাচনের পর থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব ও সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের মধ্যে রানীনগরে বেশ কিছুদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর আগে কয়েকবার তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিহত আল-আমিন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।
পার্থ হাসান/এমএ/