![বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা](uploads/2024/06/19/bogura-killing-1718778214.jpg)
বগুড়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) রাতে শহরের নিশিন্দারা এলাকায় মো. রুমন শেখ ও নোমান আহম্মেদ নামে দুই যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ সারজিল আহম্মেদ টিপুর ব্যক্তিগত গাড়ির সঙ্গে মো. রুমন শেখের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে ওই গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রুমনের। পরে রুমন শেখকে আটক করে নোমান আহম্মেদ ওরফে শরিফকে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়।
রাত ১২টার পর দুর্বৃত্তরা নোমান ও রুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মো. হোসাইন ওরফে বুলেট নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। বুলেট শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইয়ান ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ঘটনাস্থলে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবি আহম্মেদ মিঠু, তার ছোট ভাই সৈয়দ সারজিল আহমেদ টিপু ও বগুড়া পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমু। এ তিনজন ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তলের গুলির দুটি খোসা পাওয়া গেছে।’
ওসি জানান, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে মো. রুমন শেখের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে একটি আর নোমান আহম্মেদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে সাত-আটটি। তবে দুইজনেরই পা ভাঙা।
এ বিষয়ে সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ঘটনায় খবর জেনে তিনি ও তার ভাই এবং স্থানীয় কাউন্সিলর সেখানে যান। তবে খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই তারা জড়িত নন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সূত্রপাত হয় তার বাড়িতে আসা এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায়।’
বিলু/সাদিয়া নাহার/অমিয়/