ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

মোবাইল ফোনে দেখা যাবে ‘ভাগের মানুষ’

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
মোবাইল ফোনে দেখা যাবে ‘ভাগের মানুষ’
ভাগের মানুষ নাটকের একটি মুহূর্ত

শুরুতে ঢাকা পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দুই দেশের মঞ্চেই সাড়া ফেলেছিল নাটকটি। ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশ-বিদেশে বহুবার মঞ্চস্থ হয়েছে। এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওটিটি প্লাটফর্মে জায়গা করে নিয়েছে এটি। এখন মোবাইল ফোনেও দেখা যাবে নাট্যদল সময়ের জনপ্রিয় নাটক ‘ভাগের মানুষ’।

ঈদুল আজহার আগে গত শুক্রবার থেকে চ্যানেল আইয়ের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে উঠেছে  ‘ভাগের মানুষ’। 

উপমহাদেশের প্রখ্যাত লেখক সাদত হাসান মান্টোর ছোটগল্প ‘টোবাটেক সিং’ অবলম্বনে ‘ভাগের মানুষ’-এর নাট্যরূপ দিয়েছিলেন প্রয়াত খ্যাতিমান নাট্যকার মান্নান হীরা এবং নির্দেশনা দিয়েছিলেন আরেক কিংবদন্তিতুল্য নাট্যজন আলী যাকের। তার সহযোগী নির্দেশক ছিলেন মো. আকতারুজ্জামান। 

চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, ‘মঞ্চনাটককে দর্শকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য মঞ্চের মানুষেরা যা করছেন, আমরা তাদের সঙ্গে মিলে সেই কাজটিই করতে চাই। সে জন্যই মঞ্চনাটককে ওটিটিতে তুলেছি।’

‘ভাগের মানুষ’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আকতারুজ্জামান, মানসুরা আক্তার লাভলী, রেজাউর রহমান, ফখরুল ইসলাম মিঠু, তোফায়েল সরকার, পাভেল ইসলাম, সুনীতা বড়ুয়া, আলমগীর হোসেন, মাহমুদুল আলম, ইয়ামিন জুয়েল, সাইফুল বাবু, সানি, মো. আনোয়ার হোসেন, চন্দন বোস, সাবিহা সুলতানা শিমু, সাঈফ, রাকিব আল হাসান ও ফাতিকা বিনতে ইফতেখার মৈত্রী প্রমুখ।

আলোক পরিকল্পনা করেছেন ঠান্ডু রায়হান, পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মানসুরা আক্তার লাভলী, কণ্ঠশিল্পী সুনীতা বড়ুয়া এবং রূপসজ্জা করেছেন মোহাম্মদ আলী বাবুল।

এতে দেখানো হয়েছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের কয়েক বছর পরের ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখনো কমেনি, সাম্প্রদায়িক বিষবাস্পের তেজ তখনও নিভে যায়নি। ভৌগোলিক সীমায় মানুষকে বেঁধে একধরনের নাগরিক স্বস্তি দেওয়ার প্রয়াস শুরু হয়েছে মাত্র। অথচ হতাশা, ক্ষোভ, যন্ত্রণা, প্রিয়জন হারানোর বেদনা তখনও জ্বলজ্বল করছে মানুষের বুকে। মানুষের ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, প্রেমকে দ্বিখণ্ডিত করে উপমহাদেশের এই মাটিতে রচিত হয় ভারত ও পাকিস্তান নামের আলাদা দুটি রাষ্ট্র। অথচ দেশভাগ মানেই তো মানুষের ভাগ, মানচিত্রের ভাগ, ভূগোলের ভাগ। শুরু হয় দুদেশের মধ্যে বিনিময়-বিনিময় খেলা। মানুষের বিনিময়ে মানুষ, ধর্মের বিনিময়ে ধর্ম, পাগলের বিনময়ে পাগল। এভাবেই এগিয়ে যায় ‘ভাগের মানুষ’ নাটকের গল্প।

আইস্ক্রিনে মাসে ৮৯ টাকা, ছয় মাসে ২৬৯ টাকা এবং বছরে ৪৬৯ টাকা খরচ করে নানা রকম কন্টেন্ট উপভোগ করা যায়। 

নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ওটিটির সুবিধা হলো যখন খুশি তখন দেখা যায়। এই প্ল্যাটফর্ম যতদিন টিকে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই প্রোগ্রামগুলো দেখতে পাব। আমরা চাই, ইতিহাসটা এখানে থাকুক। এর মধ্য দিয়ে আমরা যদি কিছু দর্শক তৈরি করতে পারি। যদি প্রযোজনা ভালো হয়, তাহলে যে সুবিধাটা হবে, হয়তো যে বাড়িতে বসে দেখছে, তার ইচ্ছে করবে মঞ্চে গিয়ে নাটকটি দেখি।’

নেই পরিচিতি-মৌলিক গান টেলিভিশনে তারাই সরব কেন?

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
টেলিভিশনে তারাই সরব কেন?
ছবি: এআই

অডিও বাজারে ধস নেমেছে অনেক আগেই। চারদিকে ভাইরাল শিল্পীদের জয়জয়কার। অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন আর গানের জন্য বেশি টাকা লগ্নি করে না। তাদের মূল ব্যবসা এখন নাটক তৈরি করা। নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য তারা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লগ্নি করছে। বছরে কিছু গান তৈরি হয় শিল্পীদের নিজ উদ্যোগে। হাতেগোনা কয়েকজন শিল্পীই বছরে দু-একটি করে মৌলিক গান করে থাকেন। এভাবেই চলছে বর্তমান সময়ের সংগীতাঙ্গন। 

তবে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ঘুরেফিরে গানের অনুষ্ঠানগুলোতে দেখা যায় নতুন শিল্পীদের। তাদের নিজস্ব মৌলিক ও জনপ্রিয় গান না থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই টেলিভিশনগুলোতে অন্য শিল্পীদের জনপ্রিয় গান নিয়ে হাজির হন তারা। কীভাবে তারা দেশের জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে গান গাওয়ার সুযোগ পান তা নিয়ে রয়েছে নানান গুঞ্জন। সংগীতাঙ্গনের অনেকেই বলেছেন টেলিভিশনের কিছু অসাধু প্রযোজকের সহযোগিতায় এসব নামসর্বস্ব শিল্পী টিভি পর্দায় নিজেদের চেহারা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের প্রায় সব চ্যানেলেই এসব শিল্পী বর্তমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ শিল্পী হিসেবে সাধারণ শ্রোতাদের কাছে যাদের পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে তারাই অবহেলার কাতারে। কালেভদ্রে তাদের দেখা মেলে টেলিভিশনের পর্দায়।

তবে অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় গান গেয়ে অচেনা, অপরিচিত ও মানহীন শিল্পীরা আর কতদিন টেলিভিশনে নিজেদের প্রদর্শন করবেন। এভাবে আর কতদিন চলবে? তা নিয়ে মাঝে মাঝেই সংগীতাঙ্গনের অনেক পরিচিত ও জনপ্রিয় শিল্পীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার স্যোশাল মিডিয়াতে একটি স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনিও দাবি করেছেন, প্রকৃত ও জনপ্রিয় মৌলিক গানের শিল্পীরা যেন বেশি বেশি টেলিভিশনে গান গাওয়ার সুযোগ পান। তার স্ট্যাটাসে দেশের অনেক জনপ্রিয় শিল্পী সহমত পোষণ করে কমেন্ট করেছেন।
দেশের টেলিভিশনগুলোর মধ্যে বাংলাভিশন, এনটিভি, আরটিভি, দেশটিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, মাছরাঙা টেলিভিশন, একুশে টিভি, গ্লোবাল টেলিভিশন, নাগরিক টিভি, মোহনা টিভি, মাই টিভি, এসএ টিভি, এশিয়ান টেলিভিশনসহ আরও কয়েকটি চ্যানেল নিয়মিত গানের অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। এর মধ্যে মোহনা টিভি, এশিয়ান টেলিভিশন, মাই টিভি, গ্লোবাল টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশি মানহীন শিল্পীদের গানের সুযোগ বেশি দেওয়া হয়। তবে অন্য টেলিভিশনগুলোও ঘুরেফিরে ওসব অপরিচিত ও মানহীন শিল্পীরাও কম বেশি গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান প্রধান নওয়াজীশ আলী খান বলেন, ‘আমরা জনপ্রিয় শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদেরও আমন্ত্রণ জানাই। কারণ একসময় সবাই নতুন থাকে। আজকে যারা নতুন, তারাই একসময় পুরোনো ও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আর জনপ্রিয় শিল্পীরা অনেক বাজেট চেয়ে থাকেন। একটা অনুষ্ঠানের জন্য সব সময় সঠিক বাজেট থাকে না। তাই নতুনদের ডাকা হয়।’

এ সম্পর্কে বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান তারেক আখন্দ বলেন, ‘আমাদের চ্যানেলে সংগীত নিয়ে জানাশোনা নেই এমন শিল্পীদের সুযোগ দেওয়া হয় না। তবে অনেক সময় মৌলিক গান গাইবে এমন শিল্পীদের ডাকা হয় না। যাদের ডাকা হয় তারা হয়তো একটা-দুইটা মৌলিক গান করেন আবার কিছু কাভার গান করেন। এটা একটা বাণিজ্যিক বিষয়। চ্যানেলে নির্দিষ্ট একটা বাজেট থাকে। সেই বাজেটে চাইলেই ন্যানসি, কনা, ইমরানের মতো আরও যারা জনপ্রিয় শিল্পীরা আছেন তাদের দিয়ে গান গাওয়ানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। অন্য চ্যানেলগুলোর কী পলিসি সেটা তো আমি জানি না। তবে আমরা চেষ্টা করি অনুষ্ঠানের মান ঠিক রাখতে।’

মাছরাঙা টেলিভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান এ এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘এর দায় প্রথমত শিল্পীদের। কারণ মৌলিক গানের প্রতি তাদের চাহিদা থাকা দরকার। অন্যের গান গেয়ে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। আর দ্বিতীয় দায় হচ্ছে অনুষ্ঠান আয়োজকদের। কারণ প্রকৃত শিল্পীদের মূল্যায়ন করা উচিত। তবে মাছরাঙা টেলিভিশনে আমরা ভালো ভালো শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানাই। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা হয়তো মৌলিক গানের পাশাপাশি কিছু কাভার গানও করে থাকেন দর্শকদের অনুরোধে। তবে যারা প্রকৃতপক্ষে গান শিখেছেন, গান সম্পর্কে ভালো ধারণা- তাদেরই আমন্ত্রণ জানাই।’

তবে প্রকৃত শিল্পীরা দেশের টেলিভিশনগুলোতে আবারও গানে গানে নিয়মিত হয়ে উঠবেন বলে চ্যানেলগুলোর প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন সংগীতসংশ্লিষ্টরা।

জাহ্নবী

ক্যারিয়ারে ৬০-এ রুনাকে সংবর্ধনা

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
ক্যারিয়ারে ৬০-এ রুনাকে সংবর্ধনা
কেক কেটে সংগীত জীবনের ৬০ বছর উদযাপন করছেন রুনা লায়লা

উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা। গতকাল তার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে। সংগীত ক্যারিয়ারে মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। এ উপলক্ষে তাকে সম্মান জানিয়ে এ দিনটি উদযাপন করেছে শিল্পী, সুরকার ও সংগীতজ্ঞরা।

চ্যানেল আই সরাসরি ‘রুনা লায়লা সংগীত জীবনের ৬০ বছর।’ অনুষ্ঠানটি প্রচার করেছে।

চ্যানেল আইয়ে গাড়ি থেকে নামার পরে লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে রুনা লায়লাকে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে রুনা লায়লা বলেন, ‘আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসা, আশীর্বাদ শ্রদ্ধা যেন চিরকাল থাকে আমার সঙ্গে।’

রুনা লায়লার স্বামী বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীর বলেন, ‘রুনা কাজের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস। ৬০ বছর টিকে থাকা এরকম সিরিয়াস না হলে, এরকম প্র্যাকটিস না করলে কোনো দিন সম্ভব নয়।’ অনুষ্ঠানে আরও কথা বলেছেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, মো. খুরশিদ আলম, কাজী হায়াৎ, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, ওমর সানী, লীনু বিল্লাহ, মানাম আহমেদ, ফুয়াদ নাসের বাবু, শওকত আলী ইমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, শফিক তুহিন, আঁখি আলমগীরসহ খ্যাতিমান শিল্পীরা। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রুনা লায়লার ভাই, মেয়ে ও স্বজনরা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের তারকারাও। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী সনু নিগাম বলেন, ‘আপনি এত ভালো শিল্পী, আপনি এত সুন্দর, আপনার ব্যবহার এত ভালো, আপনার সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। যখন থেকে আমার চোখ খুলেছে, তখন থেকে আপনাকে শুনছি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।’

পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাস শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনি বাকি জীবন গাইতে থাকুন, পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জানাই।’

অনুষ্ঠানের শেষে ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ গানটি গেয়ে শোনান এ প্রজন্মের জনপ্রিয় কয়েকজন শিল্পী।

জাহ্নবী

‘পাঁচালী থেকে অস্কার’

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
‘পাঁচালী থেকে অস্কার’

নিয়মিত ‘সত্যজিৎ পাঠ’-এর মধ্য দিয়ে আগামী দিনের একজন নবীন নির্মাতা তার সঠিক পথটি খুঁজে পাবে। ঋদ্ধ করতে পারবে তার নির্মাণ শৈলী পাশাপশি সত্যজিৎ চলচ্চিত্র অনুধাবনের মধ্য দিয়ে হতে পারে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ। এই বোধকে উপজীব্য করে বাংলা চলচ্চিত্রের মহান পুরুষ সত্যজিৎ রায় স্মরণে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ময়মনসিংহ শহরে আয়োজন করা হয়েছে ‘পাঁচালী থেকে অস্কার’ শীর্ষক সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও কর্মশালা। এতে আরও রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, ময়মনসিংহ জেলা শাখা। সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে ইনাবেলা ফাউন্ডেশন ও ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া।

আগামী ৩০ জুন বিকেল ৪টায় জয়নুল আবেদিন পার্কের উন্মুক্ত বৈশাখী মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনের ৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন কার্যক্রম শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত।

অনুষ্ঠান উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ফরিদ খান। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন ভালুকা-১১-এর সংসদ সদস্য এম এ ওয়াহেদ, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীসহ শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ প্রদর্শীত হবে। দ্বিতীয় দিন একই স্থানে ‘তিন কন্যা’ ও ‘অশনিসংকেত’ দেখানো হবে।

‘পাঁচালী থেকে অস্কার’ শীর্ষক আয়োজনের দ্বিতীয় অংশ ‘দ্য আর্ট অব ফিল্ম ডিরেকশন’ কর্মশালা। আগামী ১ থেকে ৩ জুলাই প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালাটি পরিচালনা করবেন ভারতের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক, শিল্পী, সত্যজিৎ রায়ের সহযোগী ও সত্যজিৎ গবেষক শ্রী উজ্জ্বল চক্রবর্তী। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রসমূহ বিশ্লেষণ ও ছবি আঁকার মাধ্যমে ‘চলচ্চিত্র পরিচালনা’-এর বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হবে। কর্মশালা শেষে সবার মধ্যে সনদপত্র প্রদান করা হবে। তা ছাড়া নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থীদের দ্বারা ময়মনসিংহভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণে আগ্রহী ময়মনসিংহ শহরের বাইরের প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য রয়েছে স্বল্প খরচে থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা।

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে জয়নুল আবেদিন পার্কের উন্মুক্ত বৈশাখী মঞ্চে প্রতিদিনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

জাহ্নবী

‘লোকে আমাদের কথা জানে না’

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
‘লোকে আমাদের কথা জানে না’

অনেক দিন পর একসঙ্গে পর্দায় ফিরেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও তাহসান খান। এ নিয়ে দর্শক ও অনুরাগী মহলে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। একটি পক্ষ বলছে, অন্তত সন্তানের কথা ভেবে সংসারটা না ভাঙলেও পারতেন তারা। আরেকটি পক্ষ বলছেন, কেবল টাকার জন্য পর্দায় মুখোমুখি হয়েছেন দুজন। কিন্তু মিথিলা বলছেন ভিন্ন কথা। তার বক্তব্য হচ্ছে, বিচ্ছিন্ন হলেও দুজন ভালো আছেন।

ঈদুল আজহায় চরকিতে অবমুক্ত হয়েছে তাহসা-মিথিলা অভিনীত সিরিজ ‘বাজি’। সেখানে একজন ক্রীড়া সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা গেছে মিথিলাকে। এরই মধ্যে সিরিজটি থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেতে শুরু করেছেন নির্মাতারা। সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা জানিয়েছেন, এখন ব্যতিক্রম গল্পগুলোই তাকে টানে। সাবেক স্বামীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন কেবল গল্পের প্রতি আকর্ষণ ছিল বলে, অন্য কোনো কারণে নয়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আর তাহসান চৌদ্দ বছর একত্রে ছিলাম। সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে আমাদের পরিচয়-পথচলা। দুজন দুজনকে ভালো করে জানি। এখন একসঙ্গে নেই বটে, কিন্তু লোকে তো আমাদের সুসম্পর্কের কথা জানে না। সেটা তো সন্তানের স্বার্থেই। তার মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ইগোর যুদ্ধে বাচ্চার ক্ষতি হয়। যদিও আমাদের সন্তান আয়রা সৃজিতকে ‘আব্বু’ আর তাহসানকে ‘বাবা’ বলে ডাকে। আর আমি এ দুইয়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে।’’

দুই বাংলার নির্মাতাদের কাছে কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠেছেন মিথিলা। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘কাজলরেখা’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন তিনি। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে নির্মিত ‘ও অভাগী’ এবং ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’ সিনেমাতেও দেখা যাবে তাকে। প্রেমের গল্পের নায়িকার ভূমিকা করতে করতে ক্লান্ত মিথিলা। তাই ব্যতিক্রম এসব চরিত্র টানছে তাকে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রেমিকার চরিত্রে প্রচুর অভিনয় করেছি। প্রেম শেষ, আর না। প্রেমের গল্পে অভিনয় করতে চাই, কিন্তু সেই গল্পটি ইন্টারেস্টিং হতে হবে। তাতে আমার চরিত্রও অন্য রকম হতে হবে।’

আসছে ৫ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে মিথিলা অভিনীত সিনেমা ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’। যেখানে একজন সেবিকার ভূমিকায় দেখা যাবে মিথিলাকে। রহস্যগল্পের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন দুলাল দে।

জাহ্নবী

বিরল রোগে আক্রান্ত আনুশকা

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:২২ পিএম
বিরল রোগে আক্রান্ত আনুশকা

বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন দক্ষিণ ভারতের অভিনেত্রী আনুশকা শেঠি। যদিও এ সমস্যাকে ‘রোগ’ বললে ভুল হবে। তাতে সবাই মনে করতে পারেন এটি কোনো শারীরিক সমস্যা। যদিও এটি একটি বিরল সমস্যা, আনুশকার জন্য যা রীতিমতো একটি রোগের পর্যায়ে চলে গেছে।

সমস্যাটি নতুন। নাম ‘সিনড্রম অব লাফিং ডিজিজ’। এই রোগে একবার হাসি শুরু করলে নাকি থামাই যায় না। ‘বাহুবলী’ ছবির অভিনেত্রী সম্প্রতি নিজেরি এ সমস্যার কথা নিজেই স্বীকার করেছেন। একবার হাসতে শুরু করলে তিনি তা থামাতেই পারেন না। অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট টানা হাসতে থাকেন তিনি। আনুষকা বলেন, ‘আমি একবার হাসতে শুরু করলে আর থামতে পারি না। টানা ১৫-২০ মিনিট হেসে যাই। অনেকের হয়তো মনে হবে, হাসি কি কোনো সমস্যা? হ্যাঁ, আমার কাছে এটা একটা সমস্যা। কখনো কোনো হাসির দৃশ্য দেখলে আমি হাসি থামাতে পারি না। এমনও হয়েছে যে, শুটিং ফ্লোরে হাসির কোনো ঘটনা ঘটেছে আর আমি হাসতে শুরু করেছি। শেষ পর্যন্ত গড়াগড়ি খেয়েছি ফ্লোরে। আমার হাসির জন্য শুটিংও বন্ধ করে দিতে হয়েছে অনেক বার।’

আনুশকার এই রোগকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে, সিউডোবালবার এফেক্ট। নানান কারণে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত নিউরোলজিক্যাল কোনো সমস্যা থেকে এই রোগ হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের হাসি বা কান্নার প্রবণতা খুব বেশি। একবার হাসি বা কান্না শুরু করলে সহজে তারা থামতে পারেন না। এমনকি তুচ্ছ কোনো কারণেও তারা হাসতে বা কাঁদতে শুরু করেন, যা সহজে থামানো যায় না। এই রোগের সঙ্গে মানসিক রোগের কোনো সমস্যা নেই। ফলে যারা এই রোগের শিকার, তাদের মানসিক রোগীও বলা যাবে না।

২০১৫ সালে মুক্তি পায় ‘বাহুবলী’। সেখানে দেবসেনা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনুশকা। দারুণ জনপ্রিয়তা পায় ছবিটি। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় বাহুবলীর দ্বিতীয় পর্ব। সেখানেও প্রভাস-আনুশকা জুটিকে লুফে নেন দর্শক। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে আসছে আনুশকা অভিনীত নতুন সিনেমা ‘কাথানার’।

জাহ্নবী