বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে রাসেলস ভাইপার। এই আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। এখন পর্যন্ত ২৮টিরও বেশি জেলায় দেখা মিলেছে এই সাপের। পৃথিবীর সব সাপই মানুষকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু রাসেলস ভাইপারের বৈশিষ্ট্য একটু আলাদা। এরা আক্রমণের ক্ষেত্রে এতটাই ক্ষিপ্র যে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্য মতে– রাসেলস ভাইপার এক সেকেন্ডে ষোলো ভাগের একভাগ সময় নেয় কামড় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
প্রতিবছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এই রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মারা যায়। এদের বিষদাঁত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ভয়ংকর এই রাসেলস ভাইপারের বাংলা প্রতিশব্দ চন্দ্রবোড়া। তবে রাসেলস ভাইপার নামে সমধিক পরিচিত। রাসেলস ভাইপার যে মানুষকে কামড় দেয়, তাকে বাঁচানো খুবই দুঃসাধ্য। অন্যান্য সাপের বেলায় ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেই রোগীকে নিরাপদ ভাবা গেলেও রাসেলস ভাইপারের ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরও মারা যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ২৫ বছর পরে ভয়ংকর এই বিষধর রাসেলস ভাইপারের দেখা মেলে ২০১২ সালে।
গবেষকদের ধারণা, দীর্ঘ ২৫ বছর বিলুপ্ত থাকার পরে বন্যার পানিতে ভেসে ভারত থেকে এই সাপ বাংলাদেশে এসেছে। কারণ পদ্মার তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপস্থিতি সব থেকে বেশি। তবে চরিত্রগতভাবে এই সাপ স্থলে যতটা ক্ষিপ্র, পানিতে ততটাই দুর্বল থাকায় বন্যার পানিতে ভেসে আসা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এস এম রাহমান জিকু
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
[email protected]