![নাইকো দুর্নীতিতে তারেকের সম্পৃক্ততা আবার সামনে এল](uploads/2023/12/31/1703962674.nikokk.jpg)
নাইকো দুর্নীতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্প্রতি একটি শুনানি হয়। সেই শুনানিতে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তারেকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে।
নাইকো দুর্নীতির বিষয়ে গত ১১-১৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটসে (আইসিএসআইডি) একটি শুনানি হয়। শুনানিতে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং প্রভাবের অপব্যবহারের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। তাতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য লবিস্টদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে তারেক রহমানের প্রভাব থাকার বিষয়টি আবাব সামনে আসে।
আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ফোলি হোগ এলএলপির সঙ্গে পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার মঈন গনি এ শুনানি করেন।
মঈন গনি জানান, মামলার ফলাফল দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে একটি সংকেত পাঠাবে।
শুনানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)-এর এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এরাই নাইকোর ঘুষের তদন্ত করেন। তারা বলেন, কানাডায় নাইকোর সদর দপ্তর থেকে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল সেই অ্যাকাউন্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এবং তৎকালীন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের নামে ছিল।
আরসিএমপির কেভিন ডুগান এবং সাবেক এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট ডেব্রা ব্র্যাগ এতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় তারা বেশ কয়েক বছরের তদন্তের ফলাফল উপস্থাপন করেন, যা এই দুর্নীতির স্বরূপ প্রকাশ করেছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় থাকার শেষ সময় তারেক এবং তার সহযোগীরা হাওয়া ভবনকে একটি বিকল্প পাওয়ার হাউস বানিয়েছিল, যা দেশের আইনকে উপেক্ষা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাইকো বাংলাদেশে লাভজনক চুক্তি পাওয়ার জন্য ঘুষের আশ্রয় নেয় এবং তাদের প্রভাবের অপব্যবহার করে।
১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাইকো একটি অযাচিত চুক্তি পেতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নাইকো ২০০৩ সালে ছাতক ও ফেনীতে দুটি ‘প্রান্তিক’ গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য বাপেক্সের সঙ্গে বিতর্কিত যৌথ উদ্যোগ চুক্তি (জেভিএ) স্বাক্ষর করে। প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্রগুলো ইতোমধ্যেই অন্বেষণ করা হয়েছে, ব্যবহার করা হয়েছে এবং পরে পরিত্যক্ত হয়েছে।
তারেকের ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০০৩ সালে নাইকোকে ছাতকের নতুন গ্যাসক্ষেত্রটিকে ব্যবহৃত বা প্রান্তিক হিসেবে দেখিয়ে এটি দখলে সহায়তা করেছিলেন।