ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ওয়াশিংটনে শুনানি নাইকো দুর্নীতিতে তারেকের সম্পৃক্ততা আবার সামনে এল

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
নাইকো দুর্নীতিতে তারেকের সম্পৃক্ততা আবার সামনে এল
ছবি : সংগৃহীত

নাইকো দুর্নীতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্প্রতি একটি শুনানি হয়। সেই শুনানিতে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তারেকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। 

নাইকো দুর্নীতির বিষয়ে গত ১১-১৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটসে (আইসিএসআইডি) একটি শুনানি হয়। শুনানিতে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং প্রভাবের অপব্যবহারের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। তাতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য লবিস্টদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে তারেক রহমানের প্রভাব থাকার বিষয়টি আবাব সামনে আসে।  

আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ফোলি হোগ এলএলপির সঙ্গে পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার মঈন গনি এ শুনানি করেন। 

মঈন গনি জানান, মামলার ফলাফল দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে একটি সংকেত পাঠাবে। 

শুনানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)-এর এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এরাই নাইকোর ঘুষের তদন্ত করেন। তারা বলেন, কানাডায় নাইকোর সদর দপ্তর থেকে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল সেই অ্যাকাউন্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এবং তৎকালীন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের নামে ছিল। 

আরসিএমপির কেভিন ডুগান এবং সাবেক এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট ডেব্রা ব্র্যাগ এতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় তারা বেশ কয়েক বছরের তদন্তের ফলাফল উপস্থাপন করেন, যা এই দুর্নীতির স্বরূপ প্রকাশ করেছে।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় থাকার শেষ সময় তারেক এবং তার সহযোগীরা হাওয়া ভবনকে একটি বিকল্প পাওয়ার হাউস বানিয়েছিল, যা দেশের আইনকে উপেক্ষা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাইকো বাংলাদেশে লাভজনক চুক্তি পাওয়ার জন্য ঘুষের আশ্রয় নেয় এবং তাদের প্রভাবের অপব্যবহার করে।

১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নাইকো একটি অযাচিত চুক্তি পেতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নাইকো ২০০৩ সালে ছাতক ও ফেনীতে দুটি ‘প্রান্তিক’ গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য বাপেক্সের সঙ্গে বিতর্কিত যৌথ উদ্যোগ চুক্তি (জেভিএ) স্বাক্ষর করে। প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্রগুলো ইতোমধ্যেই অন্বেষণ করা হয়েছে, ব্যবহার করা হয়েছে এবং পরে পরিত্যক্ত হয়েছে।

তারেকের ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০০৩ সালে নাইকোকে ছাতকের নতুন গ্যাসক্ষেত্রটিকে ব্যবহৃত বা প্রান্তিক হিসেবে দেখিয়ে এটি দখলে সহায়তা করেছিলেন।

এমপি আনার হত্যা: এবার মোস্তাফিজুরের দায় স্বীকার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ এএম
এমপি আনার হত্যা: এবার মোস্তাফিজুরের দায় স্বীকার
ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে (আনার) হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে করা মামলার অন্যতম আসামি মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই জবানবন্দি দেন তিনি। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর রহমান স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় পুলিশ এদিন আদালতে তাকে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তা রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। এ নিয়ে এই মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিলেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল গত ২৬ জুন আনার হত্যায় জড়িত  ফয়সাল আলী সাহাজী ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরের দিন ২৭ জুন আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া যাবেন শুক্রবার

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:০৪ এএম
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া যাবেন শুক্রবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ জুলাই শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন। পরের দিন ৬ জুলাই নির্ধারিত কর্মসূচি শেষে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নুর এলাহি মিনা। 

তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত ছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে।

সম্পদের হিসাব দিতে মতিউর ও স্ত্রী-সন্তানকে দুদকের নোটিশ

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৯ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৯ এএম
সম্পদের হিসাব দিতে মতিউর ও স্ত্রী-সন্তানকে দুদকের নোটিশ
এনবিআরের সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ। ছবি: সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে মতিউরের দুই স্ত্রী- লায়লা কানিজ ও শাম্মী আখতার শিভলী, প্রথম পক্ষের বড় সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতাকে ২১ দিন সময় বেঁধে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে নিজ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে থাকা যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন এই নোটিশ জারি করেছেন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গত ৪ জুন সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরে ২৩ জুন দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু হলে তাদের নামে থাকা অর্থসম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, বিএসইসি, সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসে চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের চিঠি পেয়ে বিএফআইইউ ও বিএসইসি স্ব-উদ্যোগে মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি অন্তত ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ১৬টি বিও অ্যাকাউন্টের তথ্য দুদকে পাঠিয়েছে। এদিকে ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স, সাভার, নরসিংদীর রায়পুরা, গাজীপুর সদর ও ময়মনসিংহের ভালুকাসহ বিভিন্ন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে অন্তত ৫৫টি দলিলের তথ্য-উপাত্ত দুদকে এসেছে। 

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ওই একজনের মৃত্যু ছাড়াও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

ওই সূত্র অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৭৫১ জন। মারা গেছেন ৪৬ জন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রীরা আড়াই হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে, সংসদে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
আড়াই হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে, সংসদে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে গত মে পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

মন্ত্রী বলেন, ‘১০০ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা’র মাধ্যমে আরও ৫ হাজার একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। বনভূমি উদ্ধারের পর বন বিভাগের আওতায় এনে বনায়ন করা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

ইতোমধ্যে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত পাঁচ মাসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ কোটি ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে অবৈধ ২৫০টি ইটভাটা।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশে ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ: পর্যটনমন্ত্রী

দেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রায় ১.৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। 

মন্ত্রী আরও জানান, ‘দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রিশপ) স্থাপন করা হয়েছে।’

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনাধীন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কার্যক্রম সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আওতাভুক্ত। তাদের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য উক্ত কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

১৫ বছরে ১১ হাজার ৪০২ কিলোমিটার খাল খনন হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক বিগত ১৫ বছরে দেশব্যাপী ১১ হাজার ৪০২ কিলোমিটার বিভিন্ন শ্রেণির খাল খনন ও পুনঃখনন করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।

মন্ত্রী জানান, খাল খননের মাধ্যমে বিস্তৃত এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭১ মেট্রিক টন ডাল উৎপাদন হয়েছিল এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে উৎপাদন দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮ হাজার ৪৭ মে. টন।’ 

বিল পাসের আলোচনায় এমপিরা

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে চলমান বিশৃঙ্খলা এবং সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিশোধ-নিষ্পত্তিব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।

গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তিব্যবস্থা বিল’ সম্পর্কে তারা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কথা এলে সবার মধ্যে আতঙ্ক চলে আসে। হরহামেশাই বড় কোম্পানিগুলোর সুদ মওকুফ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না।

তবে সদস্যদের সমালোচনার কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ হবে আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য।

এলিস/এমএ/