![ইন্টারনেট-ওটিটি প্লাটফর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে: বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন](uploads/2024/04/27/1714236651.jpg)
বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক অধিকার। তাই ইন্টারনেটে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া বা ওটিটি প্লাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি হোটেলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর আয়োজনে "ওটিটি/ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার" শীর্ষক একমত বিনিময় সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক সচিব ড. বিকর্ণকুমার ঘোষ বলেন, আমরা পরাধীনতার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি, সেই সাথে মুক্তি পেয়েছি অর্থনৈতিকভাবে। বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের মৌলিক অধিকার। তাই ইন্টারনেটে লাইভ টেলিভিশন দেখতে চাওয়া বা ওটিটি প্লাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে চাওয়া গ্রাহকের অধিকার। এখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা সমীচীন নয়। তিনি আরো বলেন, ওটিটিতে লাইভ টিভি বন্ধ করা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। সরকারের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে অবশ্যই ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সরকার এবং সকল পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
আই এসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, অন্যান্য দেশে আগে পলিসি তৈরি হয় তারপর গ্রাহক তৈরি হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টোটা। এখানে গ্রাহক আগে তৈরি হয় তারপরে সমস্যা তৈরি হয় লাইসেন্সধারীদের মধ্যে পরবর্তীতে পলিসি তৈরি হয়। এখানে হয়তো দেশের ভিতরে পরিচালনাকারী অপারেটরদের প্লাটফর্মে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে কিন্তু নেটফ্লিক্স, এমাজন এর মত প্লাটফর্ম কি আপনি বন্ধ করতে পারবেন? কেবল ব্যবসায়ীদের ৭০ ভাগ অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের ইন্টারনেট ব্যবসা করার আইনগত অধিকার নেই অথচ তারা করছে। আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না কিন্তু তারা আমাদের ইন্টারনেট ব্যবসার মধ্যে হস্তক্ষেপ করছে যা মোটেও কাম্য নয়। পৃথিবীর কোন দেশেই ইন্টারনেট আর কেবল ব্যবসা আলাদা করা নাই এই সিস্টেম একমাত্র বাংলাদেশে আর এসব কারণেই অতিরিক্ত তারের জঞ্জাল। ওটিটি প্লাটফর্মে লাইভ টিভি বন্ধ করা উচিত হয়নি। খুব দ্রুত তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিটিআরসি এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সমস্যার সমাধান করা না হলে দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে বিদেশে টাকা চলে যাবে।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশকে নির্মাণের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে। যেখানে সরকার ঘরে ঘরে শতভাগ মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সে সময় তিন কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে ওটিটি প্লাটফর্মে লাইভ টিভি দেখতে না দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
আলোচনা সভায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিলা রহমানসহ আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকসহ অনেকে।
তিথি/এমএ/