ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন চালক, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় সুস্থ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮ পিএম
রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন চালক, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় সুস্থ
ছবি : সংগৃহীত

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রাজধানীতে চলন্ত রিকশা থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান এক রিকশাচালক। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অধীনে যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে একজন রিকশাচালক চলন্ত অবস্থায় রিকশা থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে ট্রাফিক সদস্যগণ তার মাথায়, চোখে-মুখে পানি ছিটিয়ে দেন। তারপর যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে নিয়মিতভাবে সাধারণ জনগণের জন্য বিলি করা পানি ও স্যালাইন অসুস্থ রিকশাচালককে খাওয়ালে তিনি ক্রমাগত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

প্রচণ্ড গরমের কারণে তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বলে রিকশাচালক জানান।

উল্লেখ্য, যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের আয়োজনে গত ছয়দিন যাবত পথচারী এবং অসহায় মানুষদের জন্য পানীয় ও খাবার স্যালাইন বিতরণ চলছে। তার সুফল হিসেবে আজ অসুস্থ রিকশাচালককে সুস্থ করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়েছে।

এমএ/

ইউরেশিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন ভারসাম্য রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনার বেইজিং সফর

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
ভারসাম্য রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনার বেইজিং সফর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল ছবি

এশিয়ার দুই ‘জায়ান্ট’ চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ইউরেশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের আলিঙ্গন থেকে বাংলাদেশকে টেনে আনতে ভারত চমকপ্রদ আক্রমণ চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক মাসের মধ্যে দুবার অতিথি করার পর নতুন ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি তার প্রথম সরকারি সফরের জন্য ঢাকাকে বেছে নিয়েছেন।

এদিকে চীন বাংলাদেশে একটি সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করছে। যদি চীনা নৌবাহিনী কৌশলগত ঘাঁটিতে প্রবেশ করে, তবে ভারতের পূর্ব নৌ-কমান্ডের নৈকট্য বিবেচনা করে এটি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় হবে। ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রিত প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান। ভারত সরকার তিস্তা নদীর ব্যাপক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে।

বিশ্বের অর্ধেক বাণিজ্য হয় বঙ্গোপসাগর রুট দিয়ে। ‘মুক্ত, উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর মার্কিন নীতির জন্য এই অঞ্চলটি অপরিহার্য। চীন দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার চেয়েছে এবং মায়ানমার ও বাংলাদেশ এই অঞ্চলে প্রবেশের সুবিধা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগকে তার অবস্থানের তালিকায় বাংলাদেশ এবং মায়ানমারকে অন্তর্ভুক্ত করতে প্ররোচিত করেছে, যেখানে বেইজিং সম্ভবত বিদেশি সামরিক স্থাপনা স্থাপনের চেষ্টা করছে।

 

রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯ কোটি টাকা অনুদান ফ্রান্সের

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
রোহিঙ্গাদের জন্য ১৯ কোটি টাকা অনুদান ফ্রান্সের
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য প্রায় ১৯ কোটি টাকা (১.৫ মিলিয়ন ইউরো) অনুদান দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

ফ্রান্স সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউএনএইচসিআর বলেছে, ফ্রান্সের এই সহায়তায় শরণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের প্রত্যয় বজায় রাখা যাবে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য লাকড়ির বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবস্থা করা যাবে, যার মাধ্যমে বন উজাড় ও কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ প্রতিরোধ করে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী বলেন, ‘ফ্রান্স রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের এক অবিচল সমর্থক। এই উদার অনুদান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবিক সাহায্য ও সুরক্ষা সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি কক্সবাজারের পরিবেশের সফল পুনর্বাসনের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী পরিস্থিতিতে থাকা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা করবে।’

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অভিবাদন জানিয়ে বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের আরও ভালো সুযোগ তৈরির জন্য কাজ করে যাব। আর আশা করব, তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য।’

পরিশোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাস

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
পরিশোধ-নিষ্পত্তি ব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পরিশোধ, নিকাশ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংহতকরণ, তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিধান প্রণয়নকল্পে জাতীয় সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল-২০২৪ সংসদে পাস হয়েছে। একই দিন ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস করা হয়।  

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সংসদে বিল দুটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন। 

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ‘অগ্রিম পরিশোধ দলিল’ ইস্যু, ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে যেকোনো প্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ঋণ প্রদান, অর্থ সংরক্ষণ বা আর্থিক লেনদেন উদ্ভব হয়, এরূপ কোনো অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা যাবে না। এসব বিধান অমান্য করলে সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। 

এছাড়া কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ, পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা ইলেকট্রনিক মুদ্রায় পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। একইভাবে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নেয়া ছাড়া কোনো পরিশোধ ব্যবস্থা পরিচালনা বা পরিশোধ সেবা দিতে পারবে না। এই বিধান লঙ্ঘনের সাজা হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য হবে। 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিদ্যমান কোনো আইন নাই। বর্তমান ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার-১৯৭২’- এর আর্টিক্যাল ৭এ(ই) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘বাংলাদেশ পেমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনস্-২০১৪ এবং রেগুলেশনস্ অন ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ২০১৪ এর আওতায় সকল পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। এই সংক্রান্ত পৃথক কোনো আইন না থাকায় ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের জন্য বর্ণিত রেগুলেশনস্ পরিপালনের লক্ষ্যে ‘দ্য কনট্রাক্ট এ্যাক্ট,-১৮৭২’-এর অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া, অ-ব্যাংক (ব্যাংক বহির্ভূত) আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিশোধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণেও বর্তমানে কোনো আইন নাই। ফলে, গ্রাহক-স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর আওতায় নেয়া জরুরি বিধায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ, এস এম ব্রাহানী সুলতান মামুদ ও হামিদুল হক খন্দকার। 

একই দিন সংসদে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন-১৯৯২ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে জাতীয় সংসদে আজ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২৪ পাস করা হয়। সংশোর্ধত এই বিলে, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনে ‘সচিব’ পদনাম পরিবর্তনের জন্য আইনে সংশোধনী আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন আইন, ১৯৯২ এর সংশোধন বিল আনা হয়েছে। এই বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, স্বতন্ত্র সদস্য পংকজ নাথ ও হামিদুল হক খন্দকার।

এলিস/এমএ/

পেনশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চলবে

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
পেনশন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চলবে
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপত্তি জানানোর পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তবে এটিতে গোঁজামিল রয়েছে উল্লেখ করে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে তিন দফা দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির ৫ ও ৬ নং পয়েন্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ৮ নং পয়েন্টে যা সংখ্যা দেখিয়েছে সব ঠিক। কিন্তু এটার মধ্যে চরম জালিয়াতি রয়েছে। ২০২৪ সালে টাকা জমা করে ৩০ বছর পরে ২০৫৪ সালে পেনশন পাবেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬০ টাকা পাবেন প্রতি মাসে। এই ৩০ বছরে বেতন বৃদ্ধি, ইনক্রিমেন্ট, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় তার পেনশন হওয়া উচিত ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এটা আমরা বুঝিয়ে দিতে পারব। প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ 

ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা এভাবে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে হয় না। আমাদের স্বায়ত্তশাসিত দেখিয়ে আলাদা স্কিম করবে, সেটা হবে না। সেবকের কী সুবিধা, প্রত্যয়ের কী সুবিধা, সেটা উল্লেখ করতে হবে। এগুলো আলোচনা করতে হবে। আমরা তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’ 

যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করছি। এই প্রেস রিলিজের বৈধতা নেই।’

হলি ফ্যামিলিতে আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
হলি ফ্যামিলিতে আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু
ছবি : খবরের কাগজ

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালু করেছে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বনামধন্য হাসপাতালটির পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় হাসপাতালের শায়লা-হাফিজ মিলনায়তনে বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তিনি নিজেই বহির্বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী দেখেন।

অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সেবায় একসময় মানুষের আস্থা ও ভরসার জায়গা করে নিয়েছিল এ প্রতিষ্ঠান। তবে বিগত দিনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটির স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। হাসপাতালের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনার ধারাবাহিকতায় আজকের এই বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

ভবিষ্যতে হাসপাতালে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য আলাদা বহির্বিভাগ চালু করা হবে। এ ছাড়াও হাসপাতালে একটি ডায়বেটিক সেন্টার চালু করার কথাও জানান তিনি। এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসকদের উৎসাহিত করতে তিনি নিজেই বহির্বিভাগে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী দেখেন।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এস এম খোরশেদ আলম জানান, সপ্তাহে ৬দিন (শনি-বৃহস্পতি) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসাল্টেশন সার্ভিস চলবে। এ সময় হাসপাতালের ১৬টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন। মেডিসিন, গাইনি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিক্স, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, চর্মরোগ, শিশু বিভাগ, সার্জারি ইত্যাদি বিভাগগুলো বৈকালিক বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। টিকিট কেটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, অবসরপ্রাপ্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কানিজ মওলা, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ দৌলতুজ্জামানসহ অন্যরা।