ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগের বরাদ্দ বাড়ল

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১১:১০ এএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ১১:২৫ এএম
সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগের বরাদ্দ বাড়ল
সুপ্রিম কোর্ট

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য চলতি বছরের (২০২৩-২৪) তুলনায় ৩০৫ কোটি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের জন্য চলতি বছরের তুলনায় ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়। ফলে সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগের বরাদ্দ বাড়ছে ৩১৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য ২ হাজার ২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছর (২০২৩-২৪) অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ হয় ১ হাজার ৭১৭ কোটি ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ৩০৫ কোটি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। সুপ্রিম কোর্টের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ২৪৭ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। চলতি বছর সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৩৭ কোটি ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে সুপ্রিম কোর্টের জন্য বরাদ্দ বাড়ছে ১০ কোটি ৬৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। হিসেব অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগের জন্য মোট বরাদ্দ ২ হাজার ২৭০ কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। সব মিলে সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও বিচার বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ৩১৫ কোটি ৬৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা। 

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মোহাম্মদ আলী।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। তবে, সংশোধিত বাজেটে ১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের জন্য ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলেও সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ হয় ২৩৬ কোটি টাকা। 

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা। তবে, সংশোধিত বাজেটে সেটি হয় ১ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। একই অর্থবছরে সুপ্রিম কোর্টের জন্য বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৩০ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ হয় ২০৯ কোটি টাকা।

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ওই একজনের মৃত্যু ছাড়াও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

ওই সূত্র অনুসারে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৭৫১ জন। মারা গেছেন ৪৬ জন।

প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রীরা আড়াই হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে, সংসদে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৩ পিএম
আড়াই হাজার একর বনভূমি অবৈধ দখলে, সংসদে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, বন বিভাগের ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৫৮ একর বনভূমি অবৈধ দখলে রয়েছে। এর মধ্যে গত মে পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৬২ একর বনভূমির জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বনভূমি উদ্ধারে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 

মন্ত্রী বলেন, ‘১০০ কর্মদিবস অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা’র মাধ্যমে আরও ৫ হাজার একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। বনভূমি উদ্ধারের পর বন বিভাগের আওতায় এনে বনায়ন করা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

ইতোমধ্যে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত পাঁচ মাসে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ কোটি ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে অবৈধ ২৫০টি ইটভাটা।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশে ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ: পর্যটনমন্ত্রী

দেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রায় ১.৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। 

মন্ত্রী আরও জানান, ‘দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটনসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রিশপ) স্থাপন করা হয়েছে।’

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনাধীন: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কার্যক্রম সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আওতাভুক্ত। তাদের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য উক্ত কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’

১৫ বছরে ১১ হাজার ৪০২ কিলোমিটার খাল খনন হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক বিগত ১৫ বছরে দেশব্যাপী ১১ হাজার ৪০২ কিলোমিটার বিভিন্ন শ্রেণির খাল খনন ও পুনঃখনন করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।

মন্ত্রী জানান, খাল খননের মাধ্যমে বিস্তৃত এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭১ মেট্রিক টন ডাল উৎপাদন হয়েছিল এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে উৎপাদন দাঁড়ায় ১০ লাখ ৮ হাজার ৪৭ মে. টন।’ 

বিল পাসের আলোচনায় এমপিরা

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে চলমান বিশৃঙ্খলা এবং সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিশোধ-নিষ্পত্তিব্যবস্থা ও ট্যারিফ কমিশন বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।

গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক পরিশোধ সেবাদানকারীদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তিব্যবস্থা বিল’ সম্পর্কে তারা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কথা এলে সবার মধ্যে আতঙ্ক চলে আসে। হরহামেশাই বড় কোম্পানিগুলোর সুদ মওকুফ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছে না।

তবে সদস্যদের সমালোচনার কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ হবে আমলযোগ্য, অজামিনযোগ্য এবং অ-আপসযোগ্য।

এলিস/এমএ/

 

আছাদুজ্জামানের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
আছাদুজ্জামানের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিষয়টি কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে আলোচনার জন্য উঠলেও নির্বাচন কমিশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিকেলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানানো হবে। 

অস্বাভাবিক অর্থ-সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে কিছুদিন ধরেই ব্যাপক আলোচনায় আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এখন বিপুল সম্পদ অর্জন নিয়ে নতুন আলোচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। আছাদুজ্জামান মিয়ার অবৈধ সম্পদ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয় ঈদুল আজহার আগের দিন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট, ছেলের নামে একটি বাড়ি ও মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এল ব্লকের লেন-১-এ ১৬৬ এবং ১৬৭ নম্বরে ১০ কাঠা জমির ওপর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী আফরোজা জামানের মালিকানায় ছয়তলা একটি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীর ইস্কাটনেও আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ধানমন্ডিতে। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরীতে আছাদুজ্জামানের মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের চাঁদখোলা মৌজায় ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সর্বমোট ১০৬ শতক জমি কেনা হয় আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে। 

এ ছাড়া ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইল-কায়েতপাড়া মৌজায় আফরোজার নামে ২৮ শতক জমি কেনা হয়। একই বছর একই মৌজায় আরও ৩২ শতক জমি কেনা হয় তার নামে। পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি রয়েছে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে। এ ছাড়া আছাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর আফতাবনগরে ২১ কাঠা জমি রয়েছে। নিকুঞ্জ-১-এ আছাদুজ্জামানের ছোট ছেলের নামেও একটি বাড়ি রয়েছে।

দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, ৫৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১১ পিএম
দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, ৫৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৪ ও নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় ১ জন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোররাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০২টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওই দিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

সব ক্ষেত্রে সততা-জবাবদিহি-স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে: ড. মিজানুর রহমান

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:০২ পিএম
সব ক্ষেত্রে সততা-জবাবদিহি-স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে: ড. মিজানুর রহমান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান

আমাদের অবশ্যই রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সততা, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে বলেছেন, তিনি ও তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছেন। আমাদের উচিত, ওই নীতি বাস্তবায়নে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে এখন অনেক চাটার দল। তাদের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও মানবাধিকার সংস্থা এম্পাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) আয়োজনে ‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সমাজের মূলভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে দেয়। এই মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারকে দুষ্টচক্রকে (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ দিতে হবে।’ 

তিনি আরও বলেন,  ‘নাগরিকদের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও দেশের ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে।’ 

সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার অভিযোগ করেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে নেন। গ্রামীণ ব্যাংকের অবকাঠামো, লোকবল ও সুনাম ব্যবহার করে। তিনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুমোদন ছাড়া একান্ত অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। প্রতিষ্ঠানগুলোতে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন।’