![শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের ডিসি](uploads/2024/06/25/ctg-dc-1719299575.jpg)
সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে শুদ্ধাচার পুরস্কার (২০২৩-২৪) প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের কাছ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতোই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের নৈতিকতা কমিটি ও বাছাই কমিটির সভায় সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কার্যাবলি পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। কর্মক্ষেত্রে তার পদচারণা নিঃসন্দেহে সবার জন্য অনুসরণীয় এবং একই সঙ্গে অনুপ্রেরণাদায়ক।
‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান (সংশোধন) নীতিমালা-২০২১’ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।
গ্রেড ২-৯ ভুক্ত কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য গুণাবলির মধ্যে অন্যতম হলো- সততা ও নৈতিকতা, সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদান, পেশাগত দক্ষতা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, অধস্তন কর্মচারীদের তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ, দলগত কাজে সমন্বয়, সময়ানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তৎপরতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও সংস্কার কার্যক্রমে আগ্রহ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো/অমিয়/