![ভোট বর্জন-বয়কট করার আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের](uploads/2023/12/21/1703169970.gonotontro manchkk.jpg)
একতরফা ভোট বর্জন ও বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্রের মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করার নির্বাচনে কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে পারে না। বাংলাদেশেরে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি যদি সামান্য অঙ্গিকার থাকে তাহলে প্রহসনের ভোট আয়োজনে সহযোগিতা করার কোনো প্রশ্ন নেই। এই অবৈধ সরকারকে সব দিক থেকে দেশবাসীকে অসহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংযোগপুর্ব ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটা মিছিল মতিঝিল গিয়ে শেষ হয়।
নেতারা বলেছেন, বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ মোট ৬৩ টি দল যারা নির্বাচন বয়কট করেছে। সরকারের অধীনে এই বিরোধীরা কোনো নির্বাচন করবে না। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মিছিল মিটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জনগণ মানেনি। এজন্য সরকার নানা অপকৌশল ও নানা নাশকতার আশ্রয় নিয়েছে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৭ তারিখের তামাশার নির্বাচনে, ভোটাধিকার হরণ করার নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ তারা ভোট দিতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতি, দেশের নাগরিকদের প্রতি, বর্তমান প্রজন্মের প্রতি যদি সামান্য অঙ্গীকার আমাদের থাকে তাহলে আমরা কেউ এই ভোটকে সহযোগিতা করতে পারি না, এই ভোটকে জায়েজ করতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল বানাতে চায়। জাতীয় পার্টির যে চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাহেব তার এক-দুই বছরের বক্তৃতায় মনে হয়েছে উনি বোধ হয় জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন। মানুষ একটু নতুনভাবে এই দলটিকে দেখা শুরু করেছিল। কিন্তু তিনি পারলেন না। আমরা শুনেছি, পুলিশ ঘেরাও করে, গোয়েন্দা সংস্থা ঘেরাও করে তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। দেশি-বিদেশি চাপে নির্বাচনে গিয়েছেন।’