ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

অবশেষে জেরিনের চোখের পানির অবসান

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
অবশেষে জেরিনের চোখের পানির অবসান

অমাবস্যার কালো আঁধার কেটে গিয়ে অবশেষে চাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। ঈদের দিন সকালবেলা জেরিন সাততলা বস্তি থেকে এক টুকরো গোশতের জন্য গুলশানের আলিশান অট্টালিকার দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ায়। সারা দিন ঘোরার পরও তার বিড়ম্বিত ভাগ্যে মেলেনি এক টুকরো গোশত। এ ঘটনাটি এনটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেদিন জেরিনের মতো অনেক অসহায় মানুষও তেমন জোটাতে পারেনি গরুর গোশত। 

সে দৃশ্য দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে। যেখানে লুটেরা একটা খাসি কেনেন ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। লাখ লাখ টাকা দামের গরু হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে; সেখানে জেরিনরা বছরে একবার এক টুকরো গরুর গোশতের জন্য কাঁদবে তা মেনে নেওয়া যায় না। অসহায় জেরিন তার মা-বাবার সঙ্গে সাততলা বস্তির ছোট একটা ঘরে ভাড়া থাকে। ঈদের দিন সকালে তাই জেরিন বের হয়েছিল এক টুকরো মাংসের খোঁজে। সবাই পরে দেবে বলে শুধু তাড়িয়েই দিয়েছিল। 

কোথাও গোশত না পেয়ে জেরিন বসে বসে কাঁদছিল। পড়ন্ত বিকেলে তার ছল ছল চোখের জল ধরা পড়ে এনটিভির ক্যামেরায়। অবশেষে গ্রিস ও ওমানপ্রবাসী আলাউদ্দিন আর নাজিমদ্দিন অসহায় জেরিনের পরিবারকে তিন কেজি গরুর গোশত এবং নগদ ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। তাতে করে জেরিনের মায়ের চিকিৎসা এবং তার পড়ালেখা করার একটা উপায় হলো। আর তার চাঁদের মুখে উঁকি দিল প্রশান্তির একটা হাসি। 

তাওহীদ হোসাইন নাঈম
শিক্ষার্থী, ইদ্রিস আলী মাদবর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মুন্সীগঞ্জ 
[email protected]

রাস্তা দখল করায় যানজটের সৃষ্টি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০০ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০০ এএম
রাস্তা দখল করায় যানজটের সৃষ্টি

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হলেও রাস্তা খুবই সংকীর্ণ ও সরু। অতিরিক্ত বাস, প্রাইভেট কার, রিকশা ও অন্যান্য যানবহনের কারণে রাস্তায় চলাচল করাই বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তার পরও কিছু কিছু রাস্তায় দেখা যায় রাস্তা দখল করে ভ্যান, রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। প্রশস্ত রাস্তা থাকলেও এক পাশ দিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করছে। নিত্যদিনের এ রকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে ঢাকার বাংলামোটর থেকে হাতিরপুল পর্যন্ত প্রধান সড়কে। এই সড়কের দুই পাশে অনেক টাইলসের দোকান গড়ে ওঠায় রাস্তার দুই পাশে অনেক ভ্যান, পিকআপ ও রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। 

এদের চালকও খুঁজে পাওয়া কঠিন। রাস্তা দখল করে এসব যানবাহন প্রতিনিয়ত জায়গা দখল করে রেখেছে। এই সড়কের রাস্তা দখলের চিত্র সিটি করপোরেশন বা পুলিশ কি দেখে না? দেখেও তারা না দেখার ভান করে। কারণ চারদিকে টাইলস ও অন্য ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এই সুবিধাগুলো পুলিশ দিয়ে থাকে। এর কি কোনো পরিত্রাণ নেই। এভাবে রাস্তা দখল করে থাকায় যানজটসহ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর থেকে জনগণ মুক্তি চায়। তাই সিটি করপোরেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ঢাকার রাস্তা দখল করে থাকা যানবাহনগুলো অপসারণসহ যানজটমুক্ত রাস্তা বজায় রাখুন। 

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি খারাপ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি খারাপ

সম্প্রতি বাংলাদেশের কোনো এক জেলা শহরের জজ কোর্টে গিয়ে বেশ করুণ অভিজ্ঞতা হলো। উকিলবাবুর সঙ্গে বার লাইব্রেরিতে বসে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলা দরকার ছিল, কিন্তু বসার জায়গায় প্রস্রাবের এত ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে আসছিল যে, থেকে থেকে গা গুলিয়ে উঠছিল। বার লাইব্রেরিসংলগ্ন উকিলবাবুদের জন্য চিহ্নিত শৌচাগার থেকে গন্ধটি বাতাসে ছড়াচ্ছিল। 

শুনলাম, শৌচাগারটি কালেভদ্রে পরিষ্কার করা হয়। লাগাতার অবহেলায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে, উকিলবাবুরা এ ব্যাপারে এতটা উদাসীন কী করে থাকতে পারেন। তারা কি তাদের প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন? বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরের এমন বার লাইব্রেরির সভাপতির উচিত বিষয়টির প্রতি নজর দেওয়া। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

কোটা বাতিল হোক

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:১৮ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:১৮ এএম
কোটা বাতিল হোক

সরকারি চাকরির প্রত্যাশা সবাই করে। সেখানেও যদি বৈষম্য দেখা যায়, তাহলে শিক্ষিত তরুণরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে এ ধরনের বৈষম্যের কারণে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে গেছে। 

কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে চার দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। 

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন যৌক্তিক দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।  সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হোক, কোটার ভিত্তিতে নয়। বেকারত্ব দেশের বড় জাতীয় সমস্যা। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হোক এবং মেধার ভিত্তিতে সবাইকে চাকরি পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। 

নিপাতন সন্ধি
হাতিরপুল, ঢাকা

ব্যাটারিচালিত যানবাহনই লোডশেডিংয়ের কারণ

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:১৭ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১১:১৭ এএম
ব্যাটারিচালিত যানবাহনই লোডশেডিংয়ের কারণ

ব্যাটারিচালিত যানবাহনে যতদিন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বৈধভাবে বা চুরি করে চার্জ দেওয়ার কার্যক্রম চলবে, ততদিন পর্যন্ত বাসাবাড়িতে ঠিকভাবে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। কারণ, বিদ্যুতের তো একটা লিমিটেশন আছে। উৎপাদনের চেয়ে বেশি ব্যয় হলে তো লোডশেডিং হবেই। তা ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় তো ব্যাটারিচালিত যানবাহনেও চার্জ দেওয়া হবে, এ হিসাব করা হয়নি। 

একটি বাসাবাড়িতে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা, যে বাসায় এসি আছে সেখানে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ খরচ পড়ে ২ হাজার টাকার মতো। আর সেখানে একটি ব্যাটারিচালিত যানবাহনেই খরচ পড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বা এর চেয়েও বেশি। আবার গ্যারেজে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনে চার্জ দেওয়াও হচ্ছে। সুতরাং ব্যাটারিচালিত যানবাহনে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যাবে কি না, এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর তা না হলে চিরকাল লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় ভুগতে হবে। তা ছাড়া ব্যাটারিচালিত যানবাহনে বিদ্যুৎ চার্জ দেওয়ার পক্ষে যারা তাদের উচিত হবে না এসব প্রশ্ন তোলা, লোডশেডিং হচ্ছে কেন? সারা রাত ধরে বিদ্যুৎ এল না কেন? 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা দেশের শত্রু

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:১৯ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:১৯ এএম
দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা দেশের শত্রু

দেশে একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকরিজীবী অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। আবার পুলিশের একশ্রেণির কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন সম্পর্কে গণমাধ্যমে দুর্নীতির যে চিত্র এসেছে সেখানেও বিপত্তি। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন তাদের দুর্নীতি সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছে তা দুঃখজনক। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। পুলিশ কেন, এনবিআরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তার পরিবার যেভাবে অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে তা দেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। 

দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও ঋণখেলাপিরা দেশের শত্রু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মানুষ টাকা-পয়সা ও অবৈধ সম্পদের দিকে পা বাড়ায়, পরবর্তী সময়ে তারাই মামলা খেয়ে দেশ থেকে পালায়। তা হলে সেই অর্থসম্পদ বানিয়ে লাভ কী হলো। প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। সে যে-ই হোক না কেন, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। দুর্নীতি আমাদের দেশের সন্তানদের আশা-ভরসা ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে বসেছে। বাংলাদেশের মানুষ দেশটাকে দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চায়। 

দুর্নীতি বন্ধে সরকারি কর্মচারীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। বছর বছর সম্পদের হিসাব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সমাজ থেকে বয়কট করতে হবে। আশা করি, সরকার দেশ ও জাতির স্বার্থে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, এটাই প্রত্যাশা। 

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী, ১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]