![অবশেষে জেরিনের চোখের পানির অবসান](uploads/2024/07/04/postoffice-1720069147.gif)
অমাবস্যার কালো আঁধার কেটে গিয়ে অবশেষে চাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। ঈদের দিন সকালবেলা জেরিন সাততলা বস্তি থেকে এক টুকরো গোশতের জন্য গুলশানের আলিশান অট্টালিকার দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ায়। সারা দিন ঘোরার পরও তার বিড়ম্বিত ভাগ্যে মেলেনি এক টুকরো গোশত। এ ঘটনাটি এনটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেদিন জেরিনের মতো অনেক অসহায় মানুষও তেমন জোটাতে পারেনি গরুর গোশত।
সে দৃশ্য দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছে। যেখানে লুটেরা একটা খাসি কেনেন ১৫ লাখ টাকা দিয়ে। লাখ লাখ টাকা দামের গরু হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে; সেখানে জেরিনরা বছরে একবার এক টুকরো গরুর গোশতের জন্য কাঁদবে তা মেনে নেওয়া যায় না। অসহায় জেরিন তার মা-বাবার সঙ্গে সাততলা বস্তির ছোট একটা ঘরে ভাড়া থাকে। ঈদের দিন সকালে তাই জেরিন বের হয়েছিল এক টুকরো মাংসের খোঁজে। সবাই পরে দেবে বলে শুধু তাড়িয়েই দিয়েছিল।
কোথাও গোশত না পেয়ে জেরিন বসে বসে কাঁদছিল। পড়ন্ত বিকেলে তার ছল ছল চোখের জল ধরা পড়ে এনটিভির ক্যামেরায়। অবশেষে গ্রিস ও ওমানপ্রবাসী আলাউদ্দিন আর নাজিমদ্দিন অসহায় জেরিনের পরিবারকে তিন কেজি গরুর গোশত এবং নগদ ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। তাতে করে জেরিনের মায়ের চিকিৎসা এবং তার পড়ালেখা করার একটা উপায় হলো। আর তার চাঁদের মুখে উঁকি দিল প্রশান্তির একটা হাসি।
তাওহীদ হোসাইন নাঈম
শিক্ষার্থী, ইদ্রিস আলী মাদবর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]