দেশে একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকরিজীবী অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। আবার পুলিশের একশ্রেণির কর্মকর্তার অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন সম্পর্কে গণমাধ্যমে দুর্নীতির যে চিত্র এসেছে সেখানেও বিপত্তি। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন তাদের দুর্নীতি সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছে তা দুঃখজনক। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। পুলিশ কেন, এনবিআরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তার পরিবার যেভাবে অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে তা দেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও ঋণখেলাপিরা দেশের শত্রু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মানুষ টাকা-পয়সা ও অবৈধ সম্পদের দিকে পা বাড়ায়, পরবর্তী সময়ে তারাই মামলা খেয়ে দেশ থেকে পালায়। তা হলে সেই অর্থসম্পদ বানিয়ে লাভ কী হলো। প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। সে যে-ই হোক না কেন, দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। দুর্নীতি আমাদের দেশের সন্তানদের আশা-ভরসা ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে বসেছে। বাংলাদেশের মানুষ দেশটাকে দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চায়।
দুর্নীতি বন্ধে সরকারি কর্মচারীদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। বছর বছর সম্পদের হিসাব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক ব্যালেন্স সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সমাজ থেকে বয়কট করতে হবে। আশা করি, সরকার দেশ ও জাতির স্বার্থে দুর্নীতি বন্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী, ১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা
[email protected]