কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান চেয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সেই সমস্যাগুলো হলো সূর্যোদয়ের পরও বিদ্যুৎকর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথবাতি জ্বলতে থাকা। গ্যারেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি। চলার পথের ওপর গৃহস্থের সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ ছুড়ে ফেলা। খাল, ডোবা, বিল, নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে ফেলা।
টলমলে অবস্থায় একশ্রেণির মাতালের চলার পথের ওপর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। রাস্তা দখল নিয়ে দোকানপাট, হাটবাজার গড়ে তোলা, অতঃপর যানবাহন ও নাগরিকদের পথ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা। পথ-পুলিশের হাত পেতে থাকা। প্রশাসন তথা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে শব্দদানবের সীমাহীন তাণ্ডব। চলন্ত যানবাহনে একশ্রেণির চালকের মোবাইল-কথন।
একশ্রেণির চিকিৎসকের অস্বাভাবিক আয়করবিহীন ফি আদায়। স্কুলশিক্ষকদের লাগামছাড়া টিউশনি। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের একশ্রেণির কর্মীর সীমাহীন উৎকোচ গ্রহণের প্রবণতা। একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাঁধনছাড়া অশ্লীল বাক্য ব্যবহার ইত্যাদি ব্যাপারে অনেক লেখালেখি হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। সুতরাং এ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান না পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ করতে বাধ্য হলাম।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]