ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

খুনখারাবি বন্ধ হোক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩২ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩২ এএম
খুনখারাবি বন্ধ হোক

পত্রপত্রিকা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া যেখানেই চোখ পড়ছে- চারদিক কেবল খুনের শিরোনামে ছেয়ে গেছে। এ যেন খুনের উৎসব চলছে। ছেলের হাতে মা খুন, মায়ের হাতে সন্তান খুন, স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী-সন্তান খুন, ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে বাবা খুন, ছেলের হাতে বাবা খুন, ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন- অসংখ্য শিরোনাম নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

দেশে যেন আইনের শাসনের চরম সংকট। সাম্প্রতিক সময়ের এমন বেপরোয়া শাসনব্যবস্থা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। এমতাবস্থায় দেশের যত্রতত্র নির্বিচারে মানুষের প্রাণহানির লাগাম টানতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা হলেই দেশের মানুষ নিরাপদে বাঁচবে।

রাশেদুল ইসলাম খোকন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
[email protected]

গলায় ফাঁস লাগলে দায় নেবে কে?

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৯ এএম
গলায় ফাঁস লাগলে দায় নেবে কে?

ঘর থেকে বের হলেই রাস্তায় রাস্তায় ডিশ ও ইন্টারনেটের তারের জঞ্জাল। কখন তারের মধ্যে কার গলা ঢুকে পড়ে যে বলা যায় না। হঠাৎ গলা ঢুকে গেলে ফাঁস লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। 

ফাঁস লেগে মানুষ মরলে দায় নেবে কে? সবই তো ডিশ ও ইন্টারনেটের তার। তারের এ জঞ্জাল যারা সৃষ্টি করে রেখেছে আর যাদের দায়িত্ব, তারের জঞ্জাল দূর করার উভয়ই কিন্তু তখন আসামি হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected] 

চারদিকে অবক্ষয় আর অস্থিরতা…

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৬ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:০৬ এএম
চারদিকে অবক্ষয় আর অস্থিরতা…

চারদিকে অবক্ষয়ের ধ্বনি কানে ভেসে আসছে। অবক্ষয় এবং অস্থিরতা যেন আমাদের অমাবস্যার অশনিসংকেত দিচ্ছে। নদী অবক্ষয় বর্ষার জলে। বেনজীর, মতিউর অবক্ষয় টাকায়। লোভের বিভীষণে আমাদের মননশীলতা অবক্ষয়ের কুরুক্ষেত্র তৈরি করছে। নীতি-নৈতিকতা থেকে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে শুধু অবক্ষয় আর অবক্ষয়। মা লোভের অনলে পড়ে হত্যা করছে সাত রাজার ধন নিজের সন্তানকে। বাবা পিটিয়ে হত্যা করছে মাদকাসক্ত ছেলেকে। ছেলে হত্যা করছে মা-বাবাকে। সমাজবিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে কী বলে? 

মানসিক অস্থিরতা নাকি অন্য কিছু। সামাজিকতার বন্ধন, পারিবারিক মায়ামমতা, মায়ের নিবিড় স্নেহের বাঁধন সবকিছুই কি ঘুনে ধরেছে। রাষ্ট্র থেকে শুরু করে পারিবারিক প্রেক্ষাপট কেন যেন ঠুনকো হয়ে গেছে সব। সবার মাঝেই এক অলিখিত অস্থিরতা। কেউ টাকার পাহাড় বানিয়ে অস্থিরতায় ভুগছে। কেউবা রাজনৈতিক মদদে খুনখারাবি করে অস্থির হচ্ছে। দেশের ব্যাংক খাত অস্থির ঋণখেলাপিতে। ক্ষমতাশালী অস্থির ক্ষমতার মোহে। 

বিরোধী দল অস্থির ফিরে আসার জন্য। সব ক্ষেত্রেই অবক্ষয় আর অবক্ষয়। ডাক্তার অস্থির রোগী মেরে। শাহেদ অস্থির ভুয়া চিকিৎসায়। সাবরিনা অস্থির জেল থেকে বেরিয়ে। সাকলায়েন অস্থির পরীর অবক্ষয়ে। নদীর কূল ভাঙছে। দিশেহারা পাড়ের মানুষ। রাস্তার বুভুক্ষু মানুষ কাঁদছে ক্ষুধার যন্ত্রণায়। অসহায় গরিব দুঃখী কাঁদছে এক টুকরো গোশত না পেয়ে। জীবনের বহমানতা যেন এখন শেষ পর্যায়ে এসে পড়েছে। চারদিকে অবক্ষয় আর অস্থিরতা।

তাওহীদ হোসাইন নাঈম
শিক্ষার্থী, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

আসলে দেশে জনসংখ্যা কত?

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
আসলে দেশে জনসংখ্যা কত?

দেশে পক্ষী গণনা, বৃক্ষ গণনা, বাঘ গণনা সবই চলছে। কিন্তু মানুষ গণনা হচ্ছে হচ্ছে করে হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে ভোট গণনাও শেষ হয়েছে। সেই ব্রিটিশ আমলে এ উপমহাদেশে প্রথম আদমশুমারি শুরু হয় ১৮৮১ সালে। শেষবার হয় ২০১১ সালে। সাধারণত প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা করা হয়ে থাকে। টানা ১৩ দশকে কোনো বাধাবিপত্তি ছিল না। 

কিন্তু এই শুনি জনগণনা হচ্ছে, আবার শুনি হচ্ছে না। কোভিডের সময় না হয় বাদ সেজেছিল। তারই রেস ধরে অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটেছে। করোনার দাপট কমেছে। অতি সক্রিয় করোনাভাইরাস এখন ঠাণ্ডা ঘরে। তবে লোকমুখে শুনি, বিভিন্ন অজুহাতে জনগণনা বন্ধ আছে। কত কিছু হচ্ছে, কিন্তু জনগণনা ঠিকমতো হচ্ছে না। এবার কি ২০২৪ সালে লোক গণনার কাজ শেষ হবে? 

কেউ বলে বাংলাদেশে লোকসংখ্যা ১৬ কোটি, কেউ বলে ১৮ কোটি, আবার কেউ কেউ বলে লোকসংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এসবের কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই। সবাই আন্দাজের ওপর ঢিল ছুড়ছে। যত বাধা জনগণনায়। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্টের কারণে আমাদের প্রাণ-প্রতিবেশে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের জটিলতা। পরিবেশের প্রতিটি কীটপতঙ্গই কোনো না কোনোভাবে আমাদের উপকারে আসছে। প্রাণ-প্রতিবেশ রয়েছে বলেই আমরা নিরাপদে খাদ্য উৎপাদন করতে পারি। বর্তমানে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে সারা দেশে মহা-আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে এখন মানুষ সাধারণ নির্বিষ সাপ পর্যন্ত নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে। এভাবে সাপ নিধনে পরিবেশে তার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব বিরাজ করবে, যা আমরা কোনো অর্থ দিয়েই পূরণ করতে পারব না। 

আমাদের দেশে যত প্রজাতির সাপ রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ সাপ বিষধর। বাকি ৯০ ভাগ সাপই নির্বিষ। তা হলে এখন রাসেলস ভাইপার মনে করে সব সাপ মেরে ফেললে পরিবেশের ব্যাঙ খাবে কে? ইঁদুর ধরে কৃষকের ফসল রক্ষা হবে কীভাবে? আবার ব্যাঙ না থাকলে পিঁপড়া নিধন করবে কে? তাই সাপ নিধনের ফলে পরিবেশের ইকো সিস্টেমে দেখা দেবে বড় ধরনের বিপর্যয়। রাসেলস ভাইপার সাপ মূলত পাহাড়ি জঙ্গলের সাপ। প্রাকৃতিক বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ বিষধর সাপটি পৌঁছে গেছে। এ সাপ মোকাবিলায় নিতে হবে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ।

অপরদিকে দেশের সুন্দরবনের খালগুলোয় জেলেরা বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের কুফল এখন আমরা সবাই ভোগ করছি। সেখানকার বিষাক্ত মাছ খেয়ে বনের প্রাণিকুল নির্বিচারে মারা যাচ্ছে। এতে করে বনের পশুপাখি বিলুপ্ত হওয়ায় কীটপতঙ্গ সুন্দরবনের গাছপালার রস চুষে খেয়ে গাছ হত্যায় মেতে উঠেছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার বিকল্প কিছু হতে পারে না।  

অলিউর রহমান ফিরোজ 
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজা, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]

কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:২৯ এএম
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান চেয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সেই সমস্যাগুলো হলো সূর্যোদয়ের পরও বিদ্যুৎকর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথবাতি জ্বলতে থাকা। গ্যারেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি। চলার পথের ওপর গৃহস্থের সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ ছুড়ে ফেলা। খাল, ডোবা, বিল, নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে ফেলা। 

টলমলে অবস্থায় একশ্রেণির মাতালের চলার পথের ওপর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। রাস্তা দখল নিয়ে দোকানপাট, হাটবাজার গড়ে তোলা, অতঃপর যানবাহন ও নাগরিকদের পথ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা। পথ-পুলিশের হাত পেতে থাকা। প্রশাসন তথা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে শব্দদানবের সীমাহীন তাণ্ডব। চলন্ত যানবাহনে একশ্রেণির চালকের মোবাইল-কথন। 

একশ্রেণির চিকিৎসকের অস্বাভাবিক আয়করবিহীন ফি আদায়। স্কুলশিক্ষকদের লাগামছাড়া টিউশনি। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের একশ্রেণির কর্মীর সীমাহীন উৎকোচ গ্রহণের প্রবণতা। একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতৃত্বের বাঁধনছাড়া অশ্লীল বাক্য ব্যবহার ইত্যাদি ব্যাপারে অনেক লেখালেখি হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। সুতরাং এ বিষয়গুলোর কোনো সমাধান না পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ করতে বাধ্য হলাম। 

লিয়াকত হোসেন খোকন 
রূপনগর, ঢাকা
[email protected]