![প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে](uploads/2024/06/29/postoffice-1719636903.gif)
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্টের কারণে আমাদের প্রাণ-প্রতিবেশে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের জটিলতা। পরিবেশের প্রতিটি কীটপতঙ্গই কোনো না কোনোভাবে আমাদের উপকারে আসছে। প্রাণ-প্রতিবেশ রয়েছে বলেই আমরা নিরাপদে খাদ্য উৎপাদন করতে পারি। বর্তমানে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে সারা দেশে মহা-আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভয়ে এখন মানুষ সাধারণ নির্বিষ সাপ পর্যন্ত নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে। এভাবে সাপ নিধনে পরিবেশে তার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব বিরাজ করবে, যা আমরা কোনো অর্থ দিয়েই পূরণ করতে পারব না।
আমাদের দেশে যত প্রজাতির সাপ রয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ সাপ বিষধর। বাকি ৯০ ভাগ সাপই নির্বিষ। তা হলে এখন রাসেলস ভাইপার মনে করে সব সাপ মেরে ফেললে পরিবেশের ব্যাঙ খাবে কে? ইঁদুর ধরে কৃষকের ফসল রক্ষা হবে কীভাবে? আবার ব্যাঙ না থাকলে পিঁপড়া নিধন করবে কে? তাই সাপ নিধনের ফলে পরিবেশের ইকো সিস্টেমে দেখা দেবে বড় ধরনের বিপর্যয়। রাসেলস ভাইপার সাপ মূলত পাহাড়ি জঙ্গলের সাপ। প্রাকৃতিক বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ বিষধর সাপটি পৌঁছে গেছে। এ সাপ মোকাবিলায় নিতে হবে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যকর পদক্ষেপ।
অপরদিকে দেশের সুন্দরবনের খালগুলোয় জেলেরা বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের কুফল এখন আমরা সবাই ভোগ করছি। সেখানকার বিষাক্ত মাছ খেয়ে বনের প্রাণিকুল নির্বিচারে মারা যাচ্ছে। এতে করে বনের পশুপাখি বিলুপ্ত হওয়ায় কীটপতঙ্গ সুন্দরবনের গাছপালার রস চুষে খেয়ে গাছ হত্যায় মেতে উঠেছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার বিকল্প কিছু হতে পারে না।
অলিউর রহমান ফিরোজ
সাংবাদিক
মিরাপাড়া, রিকাবীবাজা, মুন্সীগঞ্জ
[email protected]