![শিবলির সেঞ্চুরিতে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ](uploads/2023/12/14/1702528743.Shibli.jpg)
ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে (অপরাজিত ১১৬) শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে পা রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে ২০০ রানে আটকে রেখে বাংলাদেশের যুবারা সেই রান পাড়ি দেয় ৪ উইকেট হারিয়ে ৪০.৫ ওভারে ২০৪ রান করে। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ শতভাগ জয় নিয়ে সেমিতে গিয়েছে। আগের দুই ম্যাচে তারা হারিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানকে। সেমিতে এই গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে শ্রীলঙ্কাও। বাংলাদেশ সেমি ফাইনাল খেলবে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ ভারতের বিপক্ষে ১৫ ডিসেম্বর। ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ডিসেম্বর।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দুই দেশের জাতীয় দলের খেলা ক্রিকেটের ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ম্যাথিউসের টাইমড আউটের কারণে। এর রেশ ছিল অনেকদিন। তারপর মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশের যুবারা। বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা দাঁড়াতেই পারেনি। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর লঙ্কান ব্যাটররা বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে পড়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুতে লঙ্কানদের অবস্থা বেশ ভালো ছিল। উইকেট আগলে রেখে ওভারপ্রতি চার থেকে পাঁচ রান করে আসছিল। এক পর্যায়ে ২৫ ওভারে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১১। সেখানে পরের ২৫ ওভারে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে যোগ করে মাত্র ৮৯ রান। এ সময় বাংলাদেশের বোলাররা খুবই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে যান।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস বড় না হওয়ার কারণ ছিল বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি তাদের ব্যাটাররা নিজেদের ইনিংস বড় করতে না পারা। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে ওপেনার পুলিন্দো পেরেরার ব্যাট থেকে। এ ছাড়া শ্রীনাথ জয়াবর্ধনে ২৫, বিশ্ব লাহিরু ২৫, রুসান্দা গামাগি ২৪, রাভিশান ডি সিলবা ২১, সারুজান সানমুগানথান ২১, দিনুরা কালোপাহানা ২০, রুভিশান পেরেরা ১৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী ৩২ রানে ৩টি এবং মারুফ মৃধা ৩৪ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৪০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
২০১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার জিসান আলমকে (০) হারালেও ওপেনার আরিফুর রহমান শিবলি তা পুষিয়ে দেন চৌধুরী মো. রিজওয়ান (৩২), আরিফুল ইসলাম (১৮), আহরার আমিনকে (২৩) নিয়ে। এই তিনজনকে নিয়েই আরিফুর রহমান শিবলি ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তিনি চৌধুরী মো. রিজওয়ানকে নিয়ে ৭৪ রান যোগ করেন ১৫.২ ওভারে। আরিফুল ইসলামকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪.২ ওভারে অবদান রাখেন ৫৭ রানের। এরপর আহরার আমিনকে নিয়ে দলকে জেতানোর কাছাকাছি নিয়ে যান। জুটিতে মাত্র ৮.১ ওভারে ৬০ রান যোগ হওয়ার পর আউট হয়ে যান আহরার আমিন ২৩ বলের ইনিংসে একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে। এরপর জয়ের বাকি কাজ সারেন মোহাম্মদ সিহাব জেমসকে (২*) সঙ্গে নিয়ে। শিবলি ১১৯ বলে ২ ছক্কা ও ৯ চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৩০ বলে ২ ছক্কা ও ১১ চারে ১১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। জয় সূচক রানও আসে তার ব্যাচ থেকে বাউন্ডারির মাধ্যমে