ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

সালতামামি অ্যাথলেটিকস ও অন্যান্য লাইলস-লেব্রনে মার্কিনি দাপট

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৫ এএম
লাইলস-লেব্রনে মার্কিনি দাপট
ছবি : সংগৃহীত

২০০৮ থেকে ২০১৭। ৯টি বছর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে রীতিমতো গতির কাঁপন তুলেছিলেন জ্যামাইকার উসাইন বোল্ট। গ্রহের সবচেয়ে দ্রুততম মানবটি অবসরে যাওয়ার পর তার জায়গা নিতে পারেনি কেউ। বিশেষ করে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে বোল্টের রেকর্ড আজও অক্ষত, জ্বলজ্বলে দেদীপ্যমান বোল্টপরবর্তী অ্যাথলেটিকস যুগ তাই অনেকটা ধূসর। তার পরও ২০২৩ সালে গতির ঝড় তুলে লাইমলাইটে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট নোয়া লাইলস। দ্রুততম মানবী একই দেশের রিচার্ডসন। বাস্কেটবলে অল টাইম স্কোরারের সুবাদে অমরত্বের দিকে লেব্রন জেমস। বছরটা ছিল যেন মার্কিনিদের দখলে। বিদায়ী বছরে অ্যাথলেটিকসসহ অন্যান্য ইভেন্ট নিয়ে লিখেছেন মাহমুদুন্নবী চঞ্চল- 

বোল্টকে ছোঁয়ার নেশা লাইলসের

উসাইন বোল্ট। গ্রহের দ্রুততম মানব। কয়েক বছর আগে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডকে বিদায় জানালেও জ্যামাইকান এই কিংবদন্তির কয়েকটি রেকর্ড এখনো জ্বলজ্বলে। বিশেষ করে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে। ২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্টের করা দুই রেকর্ড এখনো ভাঙতে পারেননি কেউ। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ৯.৫৮ সেকেন্ড, ২০০ মিটারে ১৯.১৯ সেকেন্ড; বিশ্বরেকর্ড আজও অক্ষত। প্রায় ১৪ বছর ধরে এই রেকর্ড সমুন্নত রয়েছে বোল্টের।

সেই বোল্টকে স্পর্শ করার প্রবল নেশায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার নোয়া লাইলস। সাম্প্রতিক সময়ে লাইলসের সঙ্গে ফ্রেড কার্লি ও ফার্দিনান্দ ওমানিয়ালাও উচ্চকিত নাম। তবে সবার চেয়ে এগিয়ে অনেকটা লাইলস। কারণ ২০২৩ সালটি দারুণ কেটেছে এই মার্কিনির। বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ ও ২০০ মিটারসহ তিনটি স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। এ বছরের দ্রুততম মানবও তিনি। জিতেছেন বিশ্ব অ্যাথলেট অব দি ইয়ারের পুরস্কারও।

১০০ মিটার স্প্রিন্টে সাম্প্রতিক সময়ে বোল্টের কাছাকাছি যেতে পারেননি কেউ। ২০২২ সালে ফ্রেড কার্লির সর্বোচ্চ টাইমিং ছিল ৯.৭৬ সেকেন্ড। একই বছরে কমনওয়েলথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন ফার্দিনান্দ ১০০ মিটারে সময় নিয়েছিলেন ৯.৭৭ সেকেন্ড। সেই তুলনায় ২০২৩ সালে পিছিয়ে ছিলেন লাইলস। ব্যক্তিগত সেরা ৯.৮৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি জেতেন বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ। ২০০ মিটারে ১৯.৩১ সেকেন্ড, যা লাইলসের ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং। একই আসরে লাইলস জেতেন ৪০০ মিটার রিলেতেও। সব মিলিয়ে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের এ বছরটি ছিল ৫ ফুট ১১ ইঞ্চির উচ্চতার ২৬ বছর বয়সী এই স্প্রিন্টারের। 
উসাইন বোল্ট সব অ্যাথলেটদের জন্য আদর্শ তথা অনুপ্রেরণার নাম। জ্যামাইকান কিংবদন্তির ভক্ত নোয়া লাইলসও। গুরু মানলেও বোল্টের রেকর্ড স্পর্শ করার স্বপ্ন রয়েছে তার মনে। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে লাইলস বলেছিলেন, ‘বোল্ট গ্রহের সেরা। তার রেকর্ড ভাঙা বেশ কঠিন। তবে রেকর্ড হয়ই রেকর্ড ভাঙার জন্য। সে লক্ষ্যেই আমার পথচলা।’

দ্রুততম মানবী রিচার্ডসন

নোয়া লাইলসের মতো বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে এবার আলো ছড়িয়েছেন সা ক্যারি রিচার্ডসন। ২৩ বছর বয়সী মার্কিন এই তরুণী প্রথমবারের মতো জেতেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ। বুদাপেস্টে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তিনি সময় নেন ১০.৬৫ সেকেন্ড। যা ছিল এই চ্যাম্পিয়নশিপের রেকর্ড টাইমিং। স্বর্ণ জেতার এই লড়াইয়ে রিচার্ডসন পেছনে ফেলেন জ্যামাইকার শেরিকা জ্যাকসন ও শেলি অ্যান্ড ফ্রেজার প্রাইসকে। ১০.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হন শেরিকা। ১০.৭৭ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতেন শেলি। ১০০ মিটার জিতে বছরের দ্রুততম মানব হলেও ২০০ মিটারে হতাশ করেন রিচার্ডসন। ২১.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি জেতেন ব্রোঞ্জ। এই ইভেন্টে স্বর্ণ জেতেন জ্যামাইকার শেরিকা জ্যাকসন। রৌপ্য পদক জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাব্রিয়েল থমাস। ২০০ মিটারে হারলেও প্রথমবারের মতো বিশ্বের দ্রুততম মানবী হওয়ার আনন্দে বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন রিচার্ডসন। কারণ প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে এসেই বাজিমাত করেন তিনি। 

বর্ষসেরা নারী অ্যাথলেট ফেইথ কিপয়েগন

দূরপাল্লার দৌড়ে বেশ সুখ্যাতি কেনিয়ার ফেইথ কিপয়েগনের। এ বছরটা ছিল তার জন্য সোনায় সোহাগা। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়ে তিনি স্বর্ণ জেতেন ১৫০০ ও ৫০০০ মিটার দৌড়ে। তার সুবাদে বর্ষসেরার নারী অ্যাথলেটের পুরস্কারও যায় তার শোকেসে। ১৫০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণ জিততে কিপয়েগন সময় নেন ৩ মিনিট ৫৪.৮৭ সেকেন্ড। পেছনে ফেলেন ইথোপিয়ার দিরিব ওয়েলজি ও নেদারল্যান্ডসের সিফান হাসানকে। ৫ হাজার মিটার দৌড়ে কিপয়েগন সময় নেন ১৪ মিনিট ৫৩.৯৯ সেকেন্ড। কেনিয়ার বিট্রিস চেবেট হন তৃতীয়। ডাচ দৌড়বিদ সিফান হাসান জিতে নেন রৌপ্য পদক। 

বসের অশ্রুসিক্ত বিদায়

২০২৪ সালে প্যারিসে বসবে অলিম্পিকের জমজমাট আসর। তার আগেই স্বপ্নভঙ্গ ফ্রান্সের পিয়ের-অ্যামব্রোস বসের। ইনজুরির কাছে হার মেনে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ৮০০ মিটারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই অ্যাথলেট। অথচ বসের স্বপ্ন ছিল নিজ দেশে অনুষ্ঠেয় প্যারিস অলিম্পিকে দাপিয়ে বেড়ানো। কিন্তু উরুর ইনজুরি থেকে আর মুক্তই হতে পারেননি। গত বছরে চোটে পড়া বস ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের বাইরে এ বছরের এপ্রিল থেকে। চোট সারাতে তাকে করতে হয়েছে অস্ত্রোপচারও। তার পরও ফিট হতে পারেননি। গত মঙ্গলবার অশ্রুসিক্ত নয়নে দেন অবসরের ঘোষণা। ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক এল’ইকুয়েপে তিনি বলেন, ‘ফেরার চেষ্টা ছিল অনেক। কিন্তু ব্যথা যাচ্ছিল না। অপারেশনের পর ভালো লাগছিল। সাহস পাচ্ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অ্যাথলেটিক আর উপভোগ করতে পারছি না। তাই বিদায় বলাটাই শ্রেয়।’

২০১৭ সালে লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হন পিয়ের-অ্যামব্রোস বস। এরপর থেকে সেই ফর্মে আর ফেরাই হয়নি ধারাবাহিক চোটের কারণে। প্রিয় ইভেন্টে ২০১২ ও ২০১৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। স্বপ্ন ছিল প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে। কিন্তু তাকে হার মানতে হলো ইনজুরির কাছে। 

অল টাইম স্কোরার লেব্রন জেমস

বাস্কেটবলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা কে? মাইকেল জর্ডান না লেব্রন জেমস? জর্ডান ছয়বার এনবিএ শিরোপা জিতেছেন, আর জেমস এখন পর্যন্ত জিতেছেন চারবার, জর্ডান পাঁচবার এনবিএর মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার হয়েছেন, জেমস জিতেছেন চারবার। অলিম্পিকে দুবার করে স্বর্ণপদক জিতেছেন দুজনই। তবে জেমস এ বছর যে রেকর্ড গড়েছেন, তাতে সেরা বলা হচ্ছে তাকেই। এনবিএর ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরার এখন লেব্রন জেমস। যুক্তরাষ্ট্রের এই কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় ভেঙেছেন করিম আব্দুল জব্বারের দীর্ঘদিনের রেকর্ড।

গত ফেব্রুয়ারিতে ৩৮,৩৫২ পয়েন্ট নিয়ে ম্যাচে নেমেছিলেন জেমস। বাস্কেটবলে প্যাট রাইলি, জুলিয়াস আরভিংদের চোখে শেষ কথা করিমের রেকর্ড ভাঙতে ৩৬ পয়েন্ট দরকার ছিল তার। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে অমরত্বের তালিকায় নিজেকে সবার ওপরে নিয়ে যান জেমস (৩৮,৩৯০ পয়েন্ট)। ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০.৯ সেকেন্ড আগে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে ছাড়িয়ে বল থ্রো করতে একটু পিছিয়ে (ফেডওয়ে জাম্প) ঝুড়িবন্দি করেন জেমস। এরপর থেকে অনেকটা ক্রিস গেইলের মতো নিজেকে সেরা বলতে দ্বিধাবোধ করেন না লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সের হয়ে খেলা জেমস। রেকর্ড স্কোরার হওয়ার পর লেব্রন যেমনটি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এই খেলায় যে কাউকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। আমি জানি, আমি কি করতে পারি, তাই সব সময় মনে হয়, এই খেলায় আমিই সর্বকালের সেরা।’

শ্রীলঙ্কার অন্তবর্তীকালীন কোচ হলেন জয়সুরিয়া

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
শ্রীলঙ্কার অন্তবর্তীকালীন কোচ হলেন জয়সুরিয়া
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড।  তার জায়গায় অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সনাথ জয়সুরিয়াকে।

ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজেও শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। লঙ্কান সংবাদমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

ঘরের মাঠে আগামী শ্রীলঙ্কা জুলাই ও আগস্টে ভারতের বিপক্ষে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনটি টেস্ট খেলবে লঙ্কানরা তার অধীনেই।

খেলোয়াড়ি জীবনে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানডেতে ১৩ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন তিনশ’র বেশি। টেস্টে তার নামের পাশে রানের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার রান এবং উইকেটসংখ্যা ৯৮। 

সালমান খানকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটলেন ধোনি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
সালমান খানকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটলেন ধোনি
ছবি : সংগৃহীত

ভারত তথা গোটা ক্রিকেটবিশ্বেরই অন্যতম সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মদিন আজ। ৪৩ বছরে পা দেওয়া ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ভাসছেন সবার শুভেচ্ছা ও শুভকামনায়। তবে মাঝরাতে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে ধোনির সঙ্গে সাক্ষাত করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান।

মধ্যরাতে কেক কাটার সময় ধোনির স্ত্রী সাক্ষীসহ উপস্থিত ছিলেন বলিউডের এই জনপ্রিয় তারকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় জন্মদিনের কেক কেটে ধোনি প্রথমে তার স্ত্রী সাক্ষীকে এবং পরে সালমান খানকে খাইয়ে দিচ্ছেন কেক।

ইনস্টাগ্রামে ধোনির সঙ্গে ছবি পোষ্ট করে সালমান খান ্লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে কাপ্তান সাহেব!’

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানীর ছেলে অনন্ত আম্বানীর বিয়েতে যোগ দিতেই বর্তমানে মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন ধোনি। একই সময়ে সালমান খান ব্যস্ত রয়েছেন তার আসন্ন চলচ্চিত্র ‘সিকান্দার’ এর শুটিংয়ে। দুই তারকাকে একসঙ্গে দেখে আনন্দে ভাসছে ভক্তরাও।

এনদ্রিকের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
এনদ্রিকের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা কোথাও সাফল্য ধরা দিচ্ছে না ব্রাজিলের ঝুলিতে। বিশ্বকাপের পর কোপারও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। দুই আসরেই টাইব্রেকারে হেরে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের। উরুগুয়ের কাছে তারা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে।

আরও একবার ব্যর্থ হলেও নিজ দেশের সমর্থকদের আশার বাণীই শুনিয়েছেন ব্রাজিলের সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার এনদ্রিক। ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড পরের বিশ্বকাপকে লক্ষ্যে রাখার কথা বলেছেন।

চলমান কোপা আমেরিকার মতোই ২০২৬ বিশ্বকাপও হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। তবে সহ আয়োজক হিসেবে থাকছে কানাডা ও মেক্সিকোও। সেই বিশ্বকাপ নিয়েই ভাবার কথা বলেছেন এনদ্রিক।

কোপা আমেরিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এনদ্রিক বলেছেন, ‘আমরা ব্রাজিলকে শীর্ষে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকব।’

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বিদায় নেওয়ার পর এমনটা তখনও বলেছিলেন ব্রাজিল দলের ফুটবলাররা।

পরপর দুই আসরে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেওয়া কঠিন সমর্থকদের মতো দলের সদস্যদেরও। অনেক চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা মিলছে না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

এমন দুঃসহ অবস্থায় এনদ্রিক একটি অনুরোধও করেছেন দলের সমর্থকদের কাছে, ‘আমরা জানি যে এটা কঠিন মুহূর্ত। কিন্তু আমরা সব ব্রাজিলিয়ানদের কাছ থেকে সমর্থন আশা করছি।’

অবসরের ঘোষণা দিলেন জন সিনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১০ পিএম
অবসরের ঘোষণা দিলেন জন সিনা
ছবি : সংগৃহীত

১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন জন সিনা বিদায় বললেন রেসলিংকে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার ২২ বছরের বর্ণাঢ্য রেসলিং ক্যারিয়ারের।

শনিবার (৬ জুলাই) টরন্টোর স্কোটিয়াব্যাঙ্ক অ্যারেনায় ডব্লিউডব্লিউই এর মানি ইন দ্য ব্যাংক পে-পার-ভিউতে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এই রেসলার।

সেখানে উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে জন সিনা দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দুই যুগের বেশ সময় ধরে আমি ডাব্লিউডাব্লিউই তে এবং এটাই সময়। যখন কেউ আমার নাম জানতো না, কেউ বন্ধু হতে চাইতো না তখন আমার পাশে ছিল সমর্থকরা। আমি এই সময়ে একটা জিনিস দেখেছি, শীত হোক বা গ্রীষ্ম সমর্থকরা সবসময় থাকেন।’

বিদায় বললেও ২০২৫ সালের রয়্যাল রাম্বল, এলিমিনেশন চেম্বার এবং রেসেলম্যানিয়া ৪১ এ শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন রেসলিং রিংয়ে।

২০০২ সালে রেসলিং ক্যারিয়ার শুরুর পর বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তবে ২০১৮ সাল থেকে নাম লেখান অভিনয় জগতেও। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূমিকায় কাজ করেছেন বিভিন্ন সিনেমায়। বর্তমানে অভিনয় জগতেই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা তার।

১৩ বার ডব্লিউডব্লিউ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পাশাপাশি তিনবার জিতেছেন ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ। ডব্লিউডব্লিউয়ের ইতিহাসে রিক ফ্লেয়ার ও জন সিনা সমান ১৬বার চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। এছাড়া ডব্লিউডব্লিউই এর অন্য সব বেল্টও জিতেছেন সিনা।

অসীম শূন্যতা রেখে চির আড়ালে জিয়া

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
অসীম শূন্যতা রেখে চির আড়ালে জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

একদিন আগেই গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পল্টনের দাবা ফেডারেশন কার্যালয়ে এসেছিলেন খেলায় অংশ নিতে। ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি, গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেই জিয়া এলেন নিথর, প্রাণহীন হয়ে। সাদা কাফনে আবৃত জিয়াকে নামানো হলো লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি থেকে। দাবা ও ক্রীড়াঙ্গনের মানুষরা জানালেন শেষ শ্রদ্ধা। জানাজা ও বিদায়ী আনুষ্ঠানিকতা সারতে মিনিট চল্লিশেক সময় লাগল। এরপর জিয়াকে নিয়ে ফের ছুটে চলল লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি। চিরদিনের মতো দাবার প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে গেলেন এক কিংবদন্তি। বাংলাদেশ দাবায় অসীম শূন্যতা তৈরি করে চির আড়াল হলেন তিনি।

পরশু শুক্রবার ৪৮তম জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডে আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের সঙ্গে খেলা ছিল জিয়ার। সন্ধ্যার দিকে খেলতে খেলতেই চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু জাতীয় দাবার রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নকে আর ফেরানো যায়নি।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরান ভবনে দাবা ফেডারেশনের কার্যালয়। সেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ৪৮তম জাতীয় দাবা। জিয়া খেলতে খেলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মিনিট দশেক সময়ের মধ্যে তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তার পালস পাননি। দাবাসংশ্লিষ্টদের ধারণা, জিয়ার মৃত্যু হয়েছে দাবার হলরুমেই। যেখানে চলছিল জিয়া-রাজীবসহ বিভিন্ন প্রতিযোগীর খেলা। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাবার চৌষট্টি খোপে ঘুঁটির চাল নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন জিয়া। আদতে যার জীবনটাই ছিল দাবাময়।

২০০২ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব জিতেন জিয়া। এরপর আরও তিনজন মিলিয়ে বাংলাদেশে গ্র্যান্ডমাস্টারের সংখ্যাটা মাত্র ৫। গত ১৬ বছর ধরে সংখ্যাটা এই পাঁচে আটকে আছে। একই রকমভাবে ঠিক একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশের সামগ্রিক দাবাও। কেন এই জায়গা থেকে দাবা আর এগোতে পারছে না, এই হাহাকারের মাঝেই সবাইকে কাঁদিয়ে জিয়ার চির প্রস্থান। জাতীয় দাবায় সর্বোচ্চবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি যিনি দাবা অলিম্পিয়াডেও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সবচেয়ে বেশিবার।

সাদাসিধে একজন মানুষ ছিলেন জিয়া। কোনো অহম ছিল না। সব সময় ভেবেছেন কীভাবে দেশের দাবাকে এগিয়ে নেওয়া যায়। দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম জানাজায় এসে বলেন, ‘দাবা পরিবারের জন্যই একটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। একজন গ্র্যান্ডমাস্টার কমে যাওয়ায় আমাদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেও এখন অনেক বেগ পেতে হবে। তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়।’ জিয়ার অবদান তুলে ধরে শাহাবুদ্দিন শামীম আরও বলেন, ‘গ্র্যান্ডমাস্টার হলেও জিয়া কখনো বেছে বেছে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত না। অনেকে আছে প্রাইজমানি কম হলে খেলত না। কিন্তু সে কখনো এভাবে চিন্তা করত না। যে প্রাইজমানিই হোক, সে খেলত। বলত, আমি খেললে অন্যরা খেলার জন্য আসবে।’

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘জিয়ার অকালমৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তার যে পবিত্র স্থান, যে স্থানকে সে ভালোবাসত, সেখান থেকেই সে চলে গেল। দাবা খেলা অবস্থাতেই মারা গেল। ভালো একজন খেলোয়াড়কে হারিয়েছি আমরা।’ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘তার এই চলে যাওয়া জাতীয়ভাবে অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ দাবার গ্র্যান্ডমাস্টাররাই কিন্তু লাল-সবুজের পতাকা সর্বপ্রথম বিশ্বমানচিত্রে তুলে ধরেছিল।’

জীবনের শেষ কয়েক ঘণ্টা দাবার বোর্ডে জিয়া যার সঙ্গে কাটিয়েছেন, সেই রাজীবও উপস্থিত ছিলেন জানাজায়। রাজীবের গাড়িতে করেই হাসপাতালে নেওয়া হয় জিয়াকে। সারাক্ষণ থমথমে লাগছিল তাকে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। রাজীবের চোখে জিয়াই বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ু, ‘আমি মনে করি সে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সেরা খেলোয়াড়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে আমি মনে করি তার পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো। বাংলাদেশের দাবা যতদিন থাকবে, সব সময়ই তাকে মনে করবে সবাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা জিয়া নিজেকে অন্য কোনো পেশায় জড়াননি। নিজে দাবা খেলা এবং কোচিং করিয়ে গেছেন। স্বামীর দাবা ক্যারিয়ারের কথা ভেবেই তার স্ত্রী তাসমিন সুলতানা লাবণ্য বিসিএস ক্যাডারে যোগদান করেননি। জিয়ার চিরবিদায়ের দিনে তার স্ত্রী-সন্তানদের আর্থিক দিকের কথা বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেছেন, ‘উনার পরিবারের অর্থনৈতিক যে সমস্যা আছে, এই সমস্যার পাশে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থাকবে।’ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীমও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথা জানিয়েছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে বাবার কবরে শায়িত করা হয়েছে জিয়াকে। এখন তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে।