ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

সালতামামি দেশের অ্যাথলেটিকস ও অন্যান্য অ্যাথলেটিকসের নতুন প্রাণ ইমরানুর

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৪০ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৬ এএম
অ্যাথলেটিকসের নতুন প্রাণ ইমরানুর
ছবি : সংগৃহীত

ঝিমিয়ে পড়া বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিনে এ বছর নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছেন ইমরানুর রহমান। ক্রিকেট-ফুটবল বাদে অন্যান্য খেলার সারা বছরের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে সবার আগে এই লন্ডন প্রবাসী অ্যাথলেটের কথাই সামনে আসবে। এর বাইরে বড় অর্জনের চেয়ে হতাশার গল্পই বেশি। এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসর ছিল এ বছর। সেখানে ক্রিকেটের মাধ্যমেই মান রক্ষা হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয় বিভাগেই ব্রোঞ্জ পদক আসে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন তোফায়েল আহমেদ

ইতিহাস গড়ে ভরসার কেন্দ্রে ইমরানুর

আলোচিত এই স্পিন্টার একাধিক আন্তর্জাতিক আসরে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সবার আগে উল্লেখ করতে হবে ফেব্রুয়ারিতে কাজাখস্তানে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের কথা। এই আসরে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জিতে ইতিহাস গড়েন তিনি। বাংলাদেশের কোনো স্প্রিন্টারের জন্য এশিয়ান পর্যায়ে পদক জয় যেখানে স্বপ্নের ব্যাপার, সেখানে ইমরানুর স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব দেখান। জুলাইয়ে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়ে সেমিফাইনালে থামেন। তবে প্রথম রাউন্ডে ১০.২৫ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে চমক দেখান। আগস্টে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপেও চমক অব্যাহত রাখেন তিনি। প্রথম রাউন্ডে হিটে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব দেখান। এগুলো আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনায় বড় সাফল্যই। সেপ্টেম্বরে লন্ডনের একটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ১০.১১ সেকেন্ডে দৌড়ান ইমরানুর। যা এখন তার ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং।
যেভাবে পারফর্ম করছিলেন ইমরানুর, তাতে এশিয়ান গেমসেও তাকে নিয়ে বড় আশা তৈরি হয়েছিল। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হাংজুতে অনুষ্ঠিত আসরে সেমিফাইনালে উঠলেও ইমরানুর পারেননি ফাইনালে উঠতে। ২০২২ সালের শুরুতে প্রথমবার জাতীয় অ্যাথলেটিকসে অংশ নিয়ে ১০০ মিটারে শুধু স্বর্ণই জেতেননি ইমরানুর, ভেঙে দেন ২২ বছরের পুরোনো রেকর্ড। এরপর সামার ও জাতীয় অ্যাথলেটিকস মিলিয়ে আরও দুটি আসর বসে ওই বছর। সেখানেও শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ন রাখেন তিনি। তখন থেকেই তাকে নিয়ে আলোড়ন। আর এ বছর দেশ ছাপিয়ে বিশ্ব আসরেই রেখেছেন নিজের প্রতিভার সাক্ষর। তবে ইমরানুরে আশার আলো দেখা যাওয়ায় ফেডারেশনকে শুধু তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। অন্যরা যেন কিছুটা অবেহেলিতই থেকে গেছেন। 

এশিয়ান গেমসে দুই ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্টি

এক আসর পর এবার এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট ফিরেছিল। সেই ক্রিকেটই মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের। এই ডিসিপ্লিনের পুরুষ ও নারী- দুই ইভেন্টেই ব্রোঞ্জ জিতে বাংলাদেশ। দুই দলই হারায় পাকিস্তানকে। পুরো আসরে এই দুটি ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশের বিশাল বহরকে। বাকি ইভেন্টগুলোতে ছিল হতাশার চিত্র। একটা সময় এশিয়ানে বাংলাদেশের ভরসার কেন্দ্রে থাকত কাবাডি। ১৯৯০ থেকে ২০১৪ আসর পর্যন্ত টানা পুরুষ বা নারী কাবাডি দলের মাধ্যমে পদক এসেছে। ২০১৮ সালে প্রথমবার কাবাডি থেকে পদক জিততে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। এবারও সেই ব্যর্থতা বজায় ছিল। এশিয়ান গেমস থেকে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত পদক একটিই। ১৯৮৬ সালের আসরে বক্সার মোশাররফ হোসেন জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বক্সার সেলিম হোসেন ব্যক্তিগত পদক জেতার সম্ভাবনা তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি। অ্যাথলেটিকসে ইমরানুর রহমানের ওপর চোখ ছিল সবার। সেমিফাইনালে উঠে বড় আশাও তৈরি করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ নন তিনি। শুটিং, সাঁতার, আর্চারি, দাবা, ব্রিজ, ভারোত্তোলন, জিমন্যাস্টিক্স, ফেন্সিংয়ে কেবল হতাশাই ছিল সঙ্গী। হকি দল অষ্টমও হতে পারেনি। নারী ফুটবল দল প্রথমবার অংশ নিয়ে শক্তিশালী জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে। নেপালের বিপক্ষেও জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয়। ড্র করে ম্যাচটা। নারী দলের মতো পুরুষ দলও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। তবে স্বাগতিক চীনের বিপক্ষে তাদের ড্র করা ছিল বড় প্রাপ্তি। ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে হারলেও বেশ লড়াই করেন ফুটবলাররা।

এএইচএফ কাপে শিরোপা, ঘরোয়া হকি স্থবির

বাংলাদেশ হকির জন্য বছরের শুরুটা ছিল দারুণ। ৬ থেকে ১২ জানুয়ারি ওমানের মাসকাটে বসেছিল জুনিয়র এএইচএফ কাপ হকি প্রতিযোগিতা। ৮ দলের এই আসরে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ফাইনালে তারা হারায় স্বাগতিক ওমানকে। অনূর্ধ্ব-২১ বয়সীদের এই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের সুবাদে জুনিয়র এশিয়া কাপও নিশ্চিত হয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে মে-জুনে ওমানেই অনুষ্ঠিত সেই আসরে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। ১০ দলের আসরে বাংলাদেশ বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। পাকিস্তানকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো এই আসরে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। এ তো গেল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার চিত্র। ঘরোয়া হকির প্রসঙ্গে আসলে কেবলই হতাশার গল্প। হকি খেলোয়াড়দের ভাগ্য ফেরেনি এবারও। প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ হকি আয়োজন করে ফেডারেশন। তবে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনে এবারও ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বরে সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ শেষ হয়েছে। এরপর আর দেশের শীর্ষ হকি আসর মাঠে ফেরেনি। খেলোয়াড়দের তাই মাঠে ফেরার জন্য ব্যাকুল সময় গেছে।

আর্চারির অম্ল-মধুর বছর

ক্রিকেট-ফুটবলের বাইরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আর্চারি এখন মানুষের প্রত্যাশার বড় জায়গা। সেই আর্চারির জন্য এ বছরকে অম্ল-মধুরই বলতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এই ডিসিপ্লিনে সাফল্য এসেছে, তবে এরই সঙ্গে বেশ কিছু আসরে হতাশও করেছেন আর্চাররা। সাফল্যের কথা বললে দিয়া সিদ্দিকী ও হাকিম আহমেদ রুবেলের নাম আসবে সবার আগে। মার্চে এশিয়া কাপ ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং টুর্নামেন্ট স্টেজ-১ এ রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্টে দেশকে স্বর্ণ উপহার দেন দিয়া-রুবেল জুটি। চাইনিজ তাইপেতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই প্রতিযোগিতা। জুনে সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ল্ড আর্চারি স্টেজ-৩ প্রতিযোগিতায় দলগত ব্রোঞ্জ পদক জিতে বাংলাদেশ। ওই আসরে একের পর এক ইভেন্টে হতাশ করছিলেন আর্চাররা। শেষে মান রক্ষা করেন রিকার্ভ পুরুষ দল। দলগত ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করেন সাগর ইসলাম, হাকিম আহমেদ রুবেল ও রামকৃষ্ণ সাহা। তবে বিশ্বকাপ স্টেজ-১, স্টেজ-২ প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও সাফল্য আনতে পারেনি বাংলাদেশের আর্চাররা। এশিয়ান গেমসেও আর্চারদের ওপর বাড়তি নজর ছিল। তবে নজরকাড়া কিছু করতে পারেননি রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকী, রুবেলরা। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গত বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রোমান সানা। শাস্তি থেকে মুক্তির পর এশিয়ান গেমস দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফেরেন তিনি। তবে নজরকাড়া কিছু করতে পারেননি। সতীর্থ আর্চার দিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে তার জীবনের জুটি বাঁধাটা ছিল এই বছর খেলাটার বড় এক খবর।

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

মার্চে ঢাকায় বসেছিল বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসর। এতে ১২টি দেশ অংশ নেয়। আগের দুই আসরের মতো এবারও স্বাগতিকরা শিরোপা ধরে রেখে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নেয়। ফাইনালে বাংলাদেশ তিনটি লোনাসহ ৪২-২৮ পয়েন্টে চাইনিজ তাইপেকে পরাজিত করে। প্রতিযোগিতায় কোনো ম্যাচেই হারেনি বাংলাদেশ। ফাইনালের সেরা হওয়ার সঙ্গে আসরের বেস্ট ক্যাচার নির্বাচিত হন বাংলাদেশ অধিনায়ক তুহিন তরফদার। বেস্ট রেইডারের সঙ্গে টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি জিতেন মিজানুর রহমান। বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে ফাইনালে উঠার মধ্য দিয়ে আগামী বছর বিশ্বকাপ কাবাডিতে খেলাও নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।

যুব গেমস ও অন্যান্য আয়োজন

এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছিল শেখ কামাল বাংলাদেশ যুব গেমস। ২৪টি ডিসিপ্লিনে চূড়ান্ত পর্বে প্রায় ৪ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। আরও বেশকিছু বড় আয়োজন দেখা গেছে বছরজুড়ে। দেশি-বিদেশি দৌড়বিদদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয় বছরের শুরুতে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিচ ভলিবল, বঙ্গবন্ধু আইএইচএফ কাপ হ্যান্ডবল, করপোরেট কাবাডি লিগের মতো প্রতিযোগার আয়োজন ছিল।

শ্রীলঙ্কার অন্তবর্তীকালীন কোচ হলেন জয়সুরিয়া

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
শ্রীলঙ্কার অন্তবর্তীকালীন কোচ হলেন জয়সুরিয়া
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার হেড কোচ ক্রিস সিলভারউড।  তার জায়গায় অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সনাথ জয়সুরিয়াকে।

ভারতের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজেও শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। লঙ্কান সংবাদমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

ঘরের মাঠে আগামী শ্রীলঙ্কা জুলাই ও আগস্টে ভারতের বিপক্ষে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে তিনটি টেস্ট খেলবে লঙ্কানরা তার অধীনেই।

খেলোয়াড়ি জীবনে শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানডেতে ১৩ হাজারের বেশি রান করেছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন তিনশ’র বেশি। টেস্টে তার নামের পাশে রানের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার রান এবং উইকেটসংখ্যা ৯৮। 

সালমান খানকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটলেন ধোনি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
সালমান খানকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটলেন ধোনি
ছবি : সংগৃহীত

ভারত তথা গোটা ক্রিকেটবিশ্বেরই অন্যতম সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্মদিন আজ। ৪৩ বছরে পা দেওয়া ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ভাসছেন সবার শুভেচ্ছা ও শুভকামনায়। তবে মাঝরাতে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে ধোনির সঙ্গে সাক্ষাত করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলিউড তারকা সালমান খান।

মধ্যরাতে কেক কাটার সময় ধোনির স্ত্রী সাক্ষীসহ উপস্থিত ছিলেন বলিউডের এই জনপ্রিয় তারকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় জন্মদিনের কেক কেটে ধোনি প্রথমে তার স্ত্রী সাক্ষীকে এবং পরে সালমান খানকে খাইয়ে দিচ্ছেন কেক।

ইনস্টাগ্রামে ধোনির সঙ্গে ছবি পোষ্ট করে সালমান খান ্লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থডে কাপ্তান সাহেব!’

হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানীর ছেলে অনন্ত আম্বানীর বিয়েতে যোগ দিতেই বর্তমানে মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন ধোনি। একই সময়ে সালমান খান ব্যস্ত রয়েছেন তার আসন্ন চলচ্চিত্র ‘সিকান্দার’ এর শুটিংয়ে। দুই তারকাকে একসঙ্গে দেখে আনন্দে ভাসছে ভক্তরাও।

এনদ্রিকের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
এনদ্রিকের লক্ষ্য পরের বিশ্বকাপ
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা কোথাও সাফল্য ধরা দিচ্ছে না ব্রাজিলের ঝুলিতে। বিশ্বকাপের পর কোপারও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। দুই আসরেই টাইব্রেকারে হেরে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের। উরুগুয়ের কাছে তারা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে।

আরও একবার ব্যর্থ হলেও নিজ দেশের সমর্থকদের আশার বাণীই শুনিয়েছেন ব্রাজিলের সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার এনদ্রিক। ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড পরের বিশ্বকাপকে লক্ষ্যে রাখার কথা বলেছেন।

চলমান কোপা আমেরিকার মতোই ২০২৬ বিশ্বকাপও হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। তবে সহ আয়োজক হিসেবে থাকছে কানাডা ও মেক্সিকোও। সেই বিশ্বকাপ নিয়েই ভাবার কথা বলেছেন এনদ্রিক।

কোপা আমেরিকা থেকে ছিটকে যাওয়ার পর এনদ্রিক বলেছেন, ‘আমরা ব্রাজিলকে শীর্ষে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকব।’

২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বিদায় নেওয়ার পর এমনটা তখনও বলেছিলেন ব্রাজিল দলের ফুটবলাররা।

পরপর দুই আসরে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই মেনে নেওয়া কঠিন সমর্থকদের মতো দলের সদস্যদেরও। অনেক চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা মিলছে না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

এমন দুঃসহ অবস্থায় এনদ্রিক একটি অনুরোধও করেছেন দলের সমর্থকদের কাছে, ‘আমরা জানি যে এটা কঠিন মুহূর্ত। কিন্তু আমরা সব ব্রাজিলিয়ানদের কাছ থেকে সমর্থন আশা করছি।’

অবসরের ঘোষণা দিলেন জন সিনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১০ পিএম
অবসরের ঘোষণা দিলেন জন সিনা
ছবি : সংগৃহীত

১৬ বারের চ্যাম্পিয়ন জন সিনা বিদায় বললেন রেসলিংকে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো তার ২২ বছরের বর্ণাঢ্য রেসলিং ক্যারিয়ারের।

শনিবার (৬ জুলাই) টরন্টোর স্কোটিয়াব্যাঙ্ক অ্যারেনায় ডব্লিউডব্লিউই এর মানি ইন দ্য ব্যাংক পে-পার-ভিউতে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী এই রেসলার।

সেখানে উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে জন সিনা দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দুই যুগের বেশ সময় ধরে আমি ডাব্লিউডাব্লিউই তে এবং এটাই সময়। যখন কেউ আমার নাম জানতো না, কেউ বন্ধু হতে চাইতো না তখন আমার পাশে ছিল সমর্থকরা। আমি এই সময়ে একটা জিনিস দেখেছি, শীত হোক বা গ্রীষ্ম সমর্থকরা সবসময় থাকেন।’

বিদায় বললেও ২০২৫ সালের রয়্যাল রাম্বল, এলিমিনেশন চেম্বার এবং রেসেলম্যানিয়া ৪১ এ শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন রেসলিং রিংয়ে।

২০০২ সালে রেসলিং ক্যারিয়ার শুরুর পর বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তবে ২০১৮ সাল থেকে নাম লেখান অভিনয় জগতেও। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূমিকায় কাজ করেছেন বিভিন্ন সিনেমায়। বর্তমানে অভিনয় জগতেই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা তার।

১৩ বার ডব্লিউডব্লিউ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পাশাপাশি তিনবার জিতেছেন ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ। ডব্লিউডব্লিউয়ের ইতিহাসে রিক ফ্লেয়ার ও জন সিনা সমান ১৬বার চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। এছাড়া ডব্লিউডব্লিউই এর অন্য সব বেল্টও জিতেছেন সিনা।

অসীম শূন্যতা রেখে চির আড়ালে জিয়া

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
অসীম শূন্যতা রেখে চির আড়ালে জিয়া
ছবি : সংগৃহীত

একদিন আগেই গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান পল্টনের দাবা ফেডারেশন কার্যালয়ে এসেছিলেন খেলায় অংশ নিতে। ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি, গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেই জিয়া এলেন নিথর, প্রাণহীন হয়ে। সাদা কাফনে আবৃত জিয়াকে নামানো হলো লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি থেকে। দাবা ও ক্রীড়াঙ্গনের মানুষরা জানালেন শেষ শ্রদ্ধা। জানাজা ও বিদায়ী আনুষ্ঠানিকতা সারতে মিনিট চল্লিশেক সময় লাগল। এরপর জিয়াকে নিয়ে ফের ছুটে চলল লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি। চিরদিনের মতো দাবার প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে গেলেন এক কিংবদন্তি। বাংলাদেশ দাবায় অসীম শূন্যতা তৈরি করে চির আড়াল হলেন তিনি।

পরশু শুক্রবার ৪৮তম জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ডে আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের সঙ্গে খেলা ছিল জিয়ার। সন্ধ্যার দিকে খেলতে খেলতেই চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু জাতীয় দাবার রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নকে আর ফেরানো যায়নি।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরান ভবনে দাবা ফেডারেশনের কার্যালয়। সেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ৪৮তম জাতীয় দাবা। জিয়া খেলতে খেলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মিনিট দশেক সময়ের মধ্যে তাকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তার পালস পাননি। দাবাসংশ্লিষ্টদের ধারণা, জিয়ার মৃত্যু হয়েছে দাবার হলরুমেই। যেখানে চলছিল জিয়া-রাজীবসহ বিভিন্ন প্রতিযোগীর খেলা। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাবার চৌষট্টি খোপে ঘুঁটির চাল নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন জিয়া। আদতে যার জীবনটাই ছিল দাবাময়।

২০০২ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসেবে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব জিতেন জিয়া। এরপর আরও তিনজন মিলিয়ে বাংলাদেশে গ্র্যান্ডমাস্টারের সংখ্যাটা মাত্র ৫। গত ১৬ বছর ধরে সংখ্যাটা এই পাঁচে আটকে আছে। একই রকমভাবে ঠিক একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশের সামগ্রিক দাবাও। কেন এই জায়গা থেকে দাবা আর এগোতে পারছে না, এই হাহাকারের মাঝেই সবাইকে কাঁদিয়ে জিয়ার চির প্রস্থান। জাতীয় দাবায় সর্বোচ্চবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি যিনি দাবা অলিম্পিয়াডেও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সবচেয়ে বেশিবার।

সাদাসিধে একজন মানুষ ছিলেন জিয়া। কোনো অহম ছিল না। সব সময় ভেবেছেন কীভাবে দেশের দাবাকে এগিয়ে নেওয়া যায়। দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম জানাজায় এসে বলেন, ‘দাবা পরিবারের জন্যই একটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। একজন গ্র্যান্ডমাস্টার কমে যাওয়ায় আমাদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেও এখন অনেক বেগ পেতে হবে। তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়।’ জিয়ার অবদান তুলে ধরে শাহাবুদ্দিন শামীম আরও বলেন, ‘গ্র্যান্ডমাস্টার হলেও জিয়া কখনো বেছে বেছে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত না। অনেকে আছে প্রাইজমানি কম হলে খেলত না। কিন্তু সে কখনো এভাবে চিন্তা করত না। যে প্রাইজমানিই হোক, সে খেলত। বলত, আমি খেললে অন্যরা খেলার জন্য আসবে।’

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘জিয়ার অকালমৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। তার যে পবিত্র স্থান, যে স্থানকে সে ভালোবাসত, সেখান থেকেই সে চলে গেল। দাবা খেলা অবস্থাতেই মারা গেল। ভালো একজন খেলোয়াড়কে হারিয়েছি আমরা।’ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘তার এই চলে যাওয়া জাতীয়ভাবে অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ দাবার গ্র্যান্ডমাস্টাররাই কিন্তু লাল-সবুজের পতাকা সর্বপ্রথম বিশ্বমানচিত্রে তুলে ধরেছিল।’

জীবনের শেষ কয়েক ঘণ্টা দাবার বোর্ডে জিয়া যার সঙ্গে কাটিয়েছেন, সেই রাজীবও উপস্থিত ছিলেন জানাজায়। রাজীবের গাড়িতে করেই হাসপাতালে নেওয়া হয় জিয়াকে। সারাক্ষণ থমথমে লাগছিল তাকে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। রাজীবের চোখে জিয়াই বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ু, ‘আমি মনে করি সে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সেরা খেলোয়াড়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে আমি মনে করি তার পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো। বাংলাদেশের দাবা যতদিন থাকবে, সব সময়ই তাকে মনে করবে সবাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা জিয়া নিজেকে অন্য কোনো পেশায় জড়াননি। নিজে দাবা খেলা এবং কোচিং করিয়ে গেছেন। স্বামীর দাবা ক্যারিয়ারের কথা ভেবেই তার স্ত্রী তাসমিন সুলতানা লাবণ্য বিসিএস ক্যাডারে যোগদান করেননি। জিয়ার চিরবিদায়ের দিনে তার স্ত্রী-সন্তানদের আর্থিক দিকের কথা বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। বিওএ মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেছেন, ‘উনার পরিবারের অর্থনৈতিক যে সমস্যা আছে, এই সমস্যার পাশে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থাকবে।’ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীমও ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার কথা জানিয়েছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে বাবার কবরে শায়িত করা হয়েছে জিয়াকে। এখন তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে।